class="post-template-default single single-post postid-20574 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

বাচ্চা কবুতরের রোগ উপসর্গ এডিনো ভাইরাস

বাচ্চা কবুতর বাচ্চা কবুতরেরতরুন বা বাচ্চা কবুতরের রোগ উপসর্গ এডিনো ভাইরাস:( Baby pigeons effected with Adino Virus)
20 বছরেরও বেশী আগে প্রাচীন এডিনো ভাইরাস ধরন I আমাদের অঞ্চলে পাওয়া যায় নি; তারপর থেকে এটি বিশ্বব্যাপী নানাভাবে বর্ণিত হয়েছে। সন্দেহাতীত ভাবে এটা একটি ভাইরাস দ্বারা ঘটিত রোগ এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এটি একটি আতংকে পরিণত হয়েছে, খামারিদের কাছে এটি এক দুঃস্বপ্নর মত। এই রোগ প্রায়ই ই Coli ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংঘটিত হয়। যেহেতু এডিনো ভাইরাস হিসাবে পরিচিত হয় তাই একে Adenocoli বা তরুণ পায়রার disease.Adenocoli নামে বর্ণনা করা হয়।প্রাথমিকভাবে, রোগ শুধুমাত্র তরুণ পায়রা এবং ঘুঘু (এডিনো ভাইরাস বা প্রাচীন এডিনো ভাইরাস ধরন I নামে পরিচিত) দেখা যাই, কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনেক বেশি গুরুতর হচ্ছে পায়রা (হেপাটাইটিস necrotizing এডিনো ভাইরাস বা প্রাচীন এডিনো ভাইরাস ধরন II নামের)। এডিনো ভাইরাসের ধরনের সঙ্গে মূল পার্থক্য হল, প্রাচীন I টাইপ বয়স্ক পায়রাও সংক্রমিত হতে পারে এবং সম্ভাব্য কোন কার্যকরী চিকিৎসা নাই । অনেক মৃত্যুর কারণ হিসেবে এ রোগ অবশ্যই অনেক খারাপ! এ রোগ সাধারণত শ্বাসকষ্ট বা পরিপাক সিস্টেমকে প্রভাবিত করে।
উপসর্গ:
প্রজনন সময় এটি অল্প বয়স্ক কবুতরের মধ্যে অসম বৃদ্ধি নিরীক্ষণ করা খুবই সাধারন ব্যাপার, ঘন vomits রোগের সবচেয়ে চরিত্রগত লক্ষণ ।
– রোগ হঠাৎ ঘটে।
– খুব ঘন ঘন বমি ও
– ডায়রিয়া।
– পায়রার শারীরিক আবস্থা খারাপ এর সাধারণ শর্ত।
– প্রথম সপ্তাহে এর লক্ষন প্রকাশ হয় খামারে।
– মৃত্যু হার বেশি না।
– অনেক ক্ষেত্রে একই সমস্যা যা e-coli সংক্রমণ প্রদর্শিত হবে।
– বাচ্চার দেরিতে বৃদ্ধি ।
– হঠাৎ Nestlings মৃত্যু।
– খুব কম বা শূন্য দৈহিক কর্মক্ষমতা।
– হরিদ্রাভ,সবুজাভ বা হলুদ watery মল।
– শুকিয়ে যাওয়ার প্রবনতা।
এডিনো ভাইরাস সঙ্গে সংক্রমণ থেকে যেমন নিউমোনিয়া, পেট এবং পেটের সমস্যা, এমনকি মৃত্যু ছাড়াও আরো গুরুতর সমস্যা হতে পারে।
একটি ভাল প্রতিরোধের এবং একটি ভাল আকৃতি পাবার জন্য একটি ভাল সঠিক কিছু নিয়ম জরুরীঃ
১. স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ, ও সবচে গুরুত্বপূর্ণ ঠাসাঠাসি করে না রাখা।
২. একটি ভাল মৌলিক স্বাস্থ্যবিধি মাধ্যমে পায়রার রোগের সংক্রমণ এর প্রধান কারন স্ট্রেস বা চাপ কম থাকে তা নিশ্চিত করুন।
৩. ভাল মানের খাদ্য ও ভিটামিন প্রদান।
৪. অন্ত্রের উদ্ভিদকুল/পারাসাইট সর্বোত্তম অবস্থায় নির্মূল নিশ্চিত করা।
৫।পনি নিয়মিত acidified পানীয় জল সরবরাহ মাধ্যমে অবদান রাখতে পারেন।
(আপেল Cider ভিনেগার, রসুন, কালো জিরা, কালো বা সবুজ চা ভাল ভেষজ প্রতিকারক)
৬. জীবাণু বিরোধী স্প্রে: Vircon S, Temson, অথবা Tramisol ইত্যাদি
৭.Thuja 200 এবং Rhus Tox 200 এই রোগের জন্য একটি ভাল প্রতিকার। এছাড়াও Borax 30 এই রোগ ছড়ান থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
৮. প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং electrolytes ব্যবহার নিশ্চিত করা।
এই ভাইরাস কোন নিদিষ্ট ভ্যাকসিন নেই। পোল্ট্রি জন্য ব্যবহৃত একটি এডিনো ভাইরাস টিকা এডিনো ভাইরাস বিরুদ্ধে পায়রা রক্ষার জন্যও ব্যবহৃত হয়। (NeoVac DA2-এডিনো ভাইরাস ভ্যাকসিন)। যতদুর জানি কোন বৈজ্ঞানিকভাবে নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষা করা এই টিকা এডিনো ভাইরাস বিরুদ্ধে পায়রা রক্ষা করতে কার্যকর ভুমিকা আছে কিনা তা প্রমাণ পাওয়া যাইনি । এটা অবশ্যই হারপিস ভাইরাস এবং Circo বিরুদ্ধে প্রতিরোধ এর বিরুদ্ধে আল্পই ভুমিকা রাখে। এই ভাইরাস অবস্থার চিকিৎসা প্রয়োগ করা হয় তবে এর 100% কার্যকরী একক প্রতিকার নেই। তবে নিয়মিত যত্ন ও তরল ও পুষ্টিকর খাদ্য দ্রুত আরোগ্য লাভের অন্তর্নিহিত শর্ত।
প্রতিপালক কবুতর(Fostering) :
কিছুদিন আগে একটা ব্যাপার নিয়ে এক গ্রুপ এ বেশ তর্ক হচ্ছিল যে fostering or frostering কোনটা সঠিক। অনেকে frostering শব্দটা ব্যবহার করতে বেশি সাছন্দ বোধ করছিলেন কারন frost মানে যেহেতু জমা আর ডিম জমানোর জন্য যেহেতু এটা করা হয় তাই । কিন্তু কবুতরের জন্য frostering ব্যবহার করা হয়ই না, এটার আসল শব্দ fostering এর আভিধানিক অর্থ প্রতিপালক। যে প্রতিপালন করে। সাধারণত fostering কেন করা হয় এবং কোন জাতের কবুতর fostering এর জন্য ভাল। কিছু কবুতর তাদের ডিম পাড়ার পর তা/অম দেয় না এই ধরনের কবুতরের ডিম অন্য কবুতরের কাছে চেলে দিতে হয়। যদি তা না করা হয়ই তাহলে ডিম নষ্ট হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই ডিম চেলে দেয়া ভাল, বা কোন কবুতর একটা সময় পর টার বাচ্চা কে খওয়াই না, এই ধরনের পরিতাক্ত বাচ্চা কে পালন করার জন্য fostering করা হয়। fostering জোড়া সেই কবুতর হতে হয় যারা ভাল খাওয়া তে পারে ও শারীরিক ভাবে সবল বা foster সাধারণত সেই সব কবুতর নির্বাচন করা উচিৎ যে গুলো ভাল মারকিং না, বা বাজারে এর বাচ্চা ভাল দাম পাওয়া যাবে না এই রকম কবুতর । ডিম চালা ও fostering এর ক্ষেত্রে কিছু পাবারে খেয়াল রাখতে হবেঃ
)৪/৫ দিন পর ডিম আলত করে নিয়ে আলোতে দেখতে হবে যে ডিম জমেছে কিনা। যদি রক্ত জমা থাকে,তাহলে সেটাকে আলাদা ভাবে যত্ন নিতে হবে।
)ডিম ধরার সময় বেশি ঝাঁকানো যাবে না। এতে ভ্রন এর ক্ষতি হতে পারে।
)ডিম চালার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন আপস অ্যান্ড ডাউন ঠিক থাকে।
)ডিম রাতে চালা ভাল। এবং যে কবুতর থেকে ডিম নেয়া হচ্ছে তাকে নকল ডিম দিয়ে বসিয়ে রাখতে হবে, তা না হলে ঘনঘন ডিম দেবার কারনে কবুতর অসুস্থ হতে পারে।
)ডিম ধরার সময় হাতের চেটো উপরে রাখতে হবে তা না হলে মাদার কবুতর ঠোকর দিয়ে ডিম ভেঙ্গে ফেলতে পারে।
)ডিম চালার পর তারিখ দিয়ে রাখতে হবে। যাতে ফুটার আগে হালকা করে ডিম পানি দেয়ে মুছে দেওয়া যাই। এতে ডিমের আদ্রতা বজাই থাকবে ও ফুটতে সাহায্য করবে।
) Foster নির্বাচন করার আগে খেয়াল রাখবেন যেন। জোড়া টা সুস্থ থাকে।
)বড় কবুতরের fostering এর জন্য বড় foster দরকার হয় তা না হলে কবুতরের আকার ভাল হবে না।
অনেকে উপদেশ দেন যে foster কে আলাদা কিছু ঔষধ দিবার জন্য যাতে foster ভাল মত তৈরি হয়, কিন্তু তা ঠিক না, foster আলাদা কোন কিছু দেবার দরকার নাই ভিটামিন ছাড়া। শুধু তাই নয়, foster কে নিয়মিত খাবার সরবরাহ করা খুব জরুরি। যদি সম্ভব হয়ই তবে সারাদিন খাবার দিয়ে রাখতে হবে। ভাল foster ছাড়া ভাল কবুতরের বাচ্চা তুলা খুবই কষ্টকর, আর তাই ভাল বা দামি কবুতর আপনার খামারে তুলার আগে fostering এর ব্যাপারে আগে নজর দেওয়া ভাল, আর তা না হলে আপনার অভীষ্ট লক্ষ আরজন করতে বার্থ হবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!