Monday, December 23
Shadow

শিক্ষিত তরুণদের উদ্যোক্তা বানাতে কৃষি বায়োস্কোপের উদ্যোগ

শিক্ষিত যুবসমাজকে সফল কৃষি উদ্যোক্তা বানাতে অনন্য উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি বায়োস্কোপ। ধারাবাহিক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গায় তরুণ কৃষি উদ্যোক্তাদের নিয়ে কৃষি প্রশিক্ষণ কর্মশালাও শেষ হয়েছে। সারা দেশ থেকে কৃষিতে আগ্রহী তরুণ উদ্যোক্তারা কৃষি বায়োস্কোপ আয়োজিত ধারাবাহিক এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় হাতেকলমে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। গত শুক্র ও শনিবার দু’দিনে সর্বশেষ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। ইতোমধ্যে তিন ব্যাচে ৬০টি জেলার ১২৫ জন তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকার প্রশিক্ষণার্থী সানজিদা রহমান বলেন, ‘ইউটিউবের মাধ্যমে জেনে কৃষি বায়োস্কোপ বরাবর আবেদন করি এবং নির্বাচিত হই। এখানে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ নিচ্ছি। আমার ১০ বিঘা জমিতে একটি আমবাগান আছে। সেটির যাতে সঠিক ব্যবহার করতে পারি, সেই জ্ঞান আহরণের চেষ্টা করছি।’

কিশোরগঞ্জের প্রশিক্ষণার্থী মুর্শেদ ফয়সাল বলেন, ‘তিন বছর আগে থেকে কৃষি বায়োস্কোপের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। আমি ইতালি প্রবাসী। কৃষি, এলাকা এবং দেশের প্রতি ভালোবাসা থেকে কৃষি নিয়ে কিছু করতে চাই। তাই আমি এখানে প্রশিক্ষণ নিতে এসেছি।’

কৃষি বায়োস্কোপ চুয়াডাঙ্গার পরিচালক ও সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবাইর মাসরুর বলেন, ‘তরুণ উদ্যোক্তাদের হাত ধরেই বদলে যাবে আমাদের বর্তমান কৃষি। সামনের কৃষি হবে আরও সমৃদ্ধশালী। সে লক্ষ্যেই কৃষি বায়োস্কোপের উদ্যোগে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন।’

শেষদিনে সভাপতির বক্তব্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সদস্য, বিশেষজ্ঞ পুল ও কৃষি বায়োস্কোপ উপদেষ্টা ড. হামিদুর রহমান বলেন, ‘কৃষি উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহী দেশের শিক্ষিত বেকারদের খুঁজে বের করতে হবে। তারা কী কী বিষয়ে কাজ করতে চাই, সে বিষয়ে প্রশিক্ষিত করে গড়ে তোলা।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল বলেন, ‘দেশের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তারা দুদিন করে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, তারা আরও প্রশিক্ষণ নিতে চায়। চুয়াডাঙ্গা জেলার এত ফুল-ফল দেখে আমি অভিভূত। এ জেলার কৃষকরা আসলেই পরিশ্রমী।’

গত শনিবার রাতে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার মেহেরুন্নেছা পার্ক ও কৃষি খামারে শেষ হয়েছে এ কর্মশালা। পর্যায়ক্রমে ৫০০ কৃষি উদ্যোক্তাকে কর্মশালার মাধ্যমে একত্রে করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে কৃষি উদ্যোক্তা তৈরির পাঠশালা।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আলী হাসান, দামুড়হুদা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শেখ মনিরুজ্জামান, জীবননগর কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সারমীন আক্তার প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!