করোনা দিনের কড়চা-২
আহমেদ তাকদীর
৫
বিদায় পকু মকু
প্রয়োজনীয় অপ্রয়োজনীয় সব কিছুই আমাদের মধ্যে এক প্রকার মায়া তৈরী করে। সহসা এটা বোঝা যায় না। দূরত্ব বা বিয়োজন এটা স্পষ্ট করে। আমার চেয়ারের পাশেই আমাদের পাখির খাঁচাটি থাকে। দুটো কোয়েল। সারাদিন কিচমিচ করে। ডানা ঝাপটায়। কোয়েলের ডাক অতি উচ্চ স্কেলে। মিতার পড়াশুনোর ব্যঘাত যাতে না ঘটে তাই মাঝে মধ্যে আমরা বারান্দায় খাঁচাটি রেখে আসি। সকালে বা রাতে মন চাইলে ল্যাপটপটি নিয়ে একটু বসি। এক আধ লাইন লেখার চেষ্টা করছি। কিন্তু কি অদ্ভুদ ওদের ডাক না শুনলে মন ভালো লাগে না। মনে হয় কি যানি নেই। চার দিনের ব্যবধানে আমার দুটো পাখিই শেষ। মেয়েটার কান্নাকাটি, পাখিদের দেহাবশেষ ফেলে দেয়া ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ততায় ওদের প্রতি মায়া অনুভবের সময় হয়নি। আজ বৌদ্ধ পূর্ণিমা। আকাশে ইয়া বড় চাদ। কিছুক্ষণ বারান্দায় বসে সিগারেট খেলাম। আকাশ দেখলাম। চাদ দেখলাম। ল্যাপটপ নিয়ে বসতেই কেমন উস্কুখুস্কু। কি জানি নে...