class="archive paged category category-stories category-11 wp-custom-logo paged-2 category-paged-2 group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

Stories

জয়নুল আবেদিনবিরুদ্ধ বাস্তবতায় শিল্পী : সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ

জয়নুল আবেদিনবিরুদ্ধ বাস্তবতায় শিল্পী : সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ

Stories
জয়নুল আবেদিনবিরুদ্ধ বাস্তবতায় শিল্পী লিখেছেন সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ (সূত্র: কালবেলা) করাচিতে জয়নুল আবেদিনের যে প্রদর্শনী চলছে তার চিত্রকর্মগুলোর দিকে তাকালে তাৎক্ষণিকভাবে মনে হয় যে, শিল্পী নিশ্চিত তাঁর মূল সুরেই আছেন—সেটা সাদাকালোতেই স্কেচ করেন কিংবা রংতুলিতে। তাঁর সর্বশেষ কাজটিও স্কেচ। একই ক্যানভাসে তেলরঙের চেয়ে স্কেচ করতে সময় অনেক কম লাগে। কিন্তু স্কেচের দ্রুত বয়ে চলার একটা প্রবণতা আছে। আর এ ব্যাপারটি সম্ভবত জয়নুল আবেদিনের ক্ষেত্রে আরও বেশি সত্য, আর শিল্পের এই বিশেষ রীতিতেই তাঁর কল্পনা ও শৈল্পিক প্রতিভা আত্মপ্রকাশের সবচেয়ে উপযুক্ত ফর্মটি খুঁজে পায় বলে মনে হয়। সেজন্যই তিনি তৈলচিত্রকে অতটা পছন্দ করেন না; একজন ব্যক্তির একান্ত আবেগিক অভিজ্ঞতার বিশদ বিবরণ দেওয়ার যে ধারণা তা তিনি এড়িয়ে চলেন এবং যখনই তিনি সুবিশাল আকারের কোনো পেইন্টিংয়ের কাজে হাত দেন, তিনি এর খুঁটিনাটি...
মুক্তিযুদ্ধের গল্প : আরেক যুদ্ধের শুরু : মুহম্মদ মোফাজ্জল

মুক্তিযুদ্ধের গল্প : আরেক যুদ্ধের শুরু : মুহম্মদ মোফাজ্জল

Stories
‘বাবা, যুদ্ধ এখন শেষ।’ দরজায় দাঁড়ানো কাজলের এ কথায় উমেদ আলী অবাক হয়ে তাকালেন। নাতি সকালের চোখেও বিরক্তি। বৌমা কাজলের এমন বেরসিক কথায় উমেদ আলী ভেতরে ভেতরে আহত হলেও মুখে হাসিটা ঝুলিয়ে রাখেন। ‘বাবা, ওকে এখন ছাড়ুন। ও ঘুমুতে যাবে। কাল ওর স্কুল আছে। সকাল সকাল উঠতে হবে।’ কাজল একনাগাড়ে বলে গেল। তার কথায় মাধুর্য নেই। চেহারায় কাঠিন্য আছে। উমেদ আলী এবার নাতির দিকে তাকিয়ে হাসলেন। ‘ও তাই তো! আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম। যুদ্ধের গল্পের বাকিটা আরেক দিন শোনাব। এখন তুমি ঘুমুতে যাও।’ উমেদ আলী সকালের মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন। ‘দাদু ভাই, প্রতিদিন এত সকাল সকাল আমার ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে করে না।’ গাল ফুলিয়ে বলল সকাল। ‘সে কী কথা! ওই যে কবিতায় পড়েছ না—আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে?’ ‘কিন্তু দাদু ভাই, যেদিন আমার স্কুল বন্ধ থাকে না সেদিন তো আমি সকালে উঠি না। তাই বলে কি আমি ওঠার আ...
প্রেমের গল্প : মধুরিমা একটি নদীর নাম

প্রেমের গল্প : মধুরিমা একটি নদীর নাম

Stories
মধুরিমা জলের মতো। আমি এমন কাউকেই চাচ্ছিলাম, যার ভেতর নিজেকে দ্রবীভূত করা যায়। গলে যাওয়া যাকে বলে। আমার ডিভোর্সটা সুপারনোভা ছিল না। সব নক্ষত্র তো বিস্ফোরিত হয় না। কিছু তারা ফুলেফেঁপে বড় হয়ে ফোঁড়ার মতো লাল হয়ে যায়। বড় হতে হতে ওটার কোনো মানে থাকে না। নীলিমার সঙ্গে আমার সংসারটা অমনই হয়ে গেল। তারপর একদিন ‘কী যেন মনে হলো’ ভান করে দুজন ঠিক করলাম, এভাবে চলতে পারে ঠিকই, তবে কী দরকার চালানোর। তারচেয়ে দুজন আরও বেশি সুখের সন্ধান করি। মধুরিমাই কি আমার সেই আরও বেশি সুখ? আমরা আজ বিয়ে করেছি। পরিচয় কয়েক মাস আগে। মধুরিমা আমার মতো কোনো সুখের সন্ধানে ছিল না সম্ভবত। আমি তার জীবনে অনেক উড়ে আসা ড্যান্ডালিয়ন ফুল। আর সে বুকভরা নদী। যে কিনা জল হয়ে অনায়াসে ধূসর বালিয়াড়িকেও গলিয়ে দিতে পারে এক লহমায়। ‘হুকটা খুলে দাও তো।’ ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে মধুরিমা কানের দুল খুলছিল। আয়ন...
ব্যর্থ প্রেমের গল্প : অপূর্ণ প্রেম

ব্যর্থ প্রেমের গল্প : অপূর্ণ প্রেম

Stories
দীর্ঘ ছুটি শেষে আজ লাবণ্য ও অমিতের দেখা হতে যাচ্ছে, অমিত প্রতিবার দেরি করে বের হলেও আজ একটু তাড়াহুড়ো করে বেরিয়েছি; নীলাভ একটা পাঞ্জাবি গায়ে একগুচ্ছ গোলাপ নিয়ে কদমতলায় অপেক্ষা করছে। প্রতিবার লাবণ্য আগে থেকে অপেক্ষা'র প্রহর গুনলেও আজ ওর আসতে অনেক দেরি হচ্ছে! অবশেষে লাবণ্য অনেকটা অগোছালো অবস্থায় রিক্সা থেকে নামল, লাবণ্যের মুখটা আজ ফ্যাকাসে হয়ে আছে, চোখ তার যেন শত শতাব্দীর নীল অন্ধকার! সব সময় পরিপাটি ও গুছানো থাকা লাবণ্য আজ অগোছালো! বিষন্ন কেন? এই প্রশ্ন অমিতকে খুব বিচলিত করে তুলল! কি হয়েছে তোমার? লাবণ্য কোনো উত্তর না দিয়ে বলল চন্দ্রবিন্দু ক্যাফেতে চল, তোমার সাথে কথা আছে। হঠাৎ লাবণ্যের মাঝে এত পরিবর্তন অমিতের ভেতর ভয় সৃষ্টি করে! বসা মাত্রই জিজ্ঞেস করল তোমাকে এমন লাগছে কেন? লাবণ্যের চোখ অশ্রুতে টলমল করছে, কিছু একটা বলতে চেয়েও বলতে পারছে না: মৃদুস্বরে কাঁপা গলায় বলল তোম...
শত্রুকে চেনা চাই : সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর কলাম

শত্রুকে চেনা চাই : সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর কলাম

Stories
কোনো আন্দোলনেরই সাফল্যের একেবারে প্রথম শর্তটি হচ্ছে শত্রুকে সঠিকভাবে চিহ্নিত করা। নারীমুক্তির প্রশ্নে পুঁজিবাদী সমাজ ও রাষ্ট্রকে মূল শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করতে আমরা যেন ভুল না করি। .. পড়ুন সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর কলাম.. নাটকে-উপন্যাসে, প্রবচনে— কথোপকথনে, আমরা অনেক সময় উল্লেখ পাই যে, নারীর শত্রু নারী নিজে। এ ধারণার সামাজিক ভিত্তি আছে। সেটা হলো এই—মেয়েদের নিজেদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি দেখা যায়। শাশুড়ি ঘরের বউয়ের প্রতি বিরূপ আচরণ করে। ঘরের বউও শাশুড়িকে পছন্দ করে না। এখন অবশ্য পরিবারগুলো আর আগের মতো নেই; ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র হয়ে গেছে, মেয়েরা কর্মক্ষেত্রে চলে এসেছে। কর্মক্ষেত্রে মেয়েরা একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে কথা বলে। বোনে-বোনে ঝগড়া হয়। কিন্তু এই যে ধারণা, মেয়েরাই মেয়েদের শত্রু, সেটা অবশ্যই ভ্রান্ত। শুধু ভ্রান্ত নয়, ক্ষতিকরও। আরও যেটা আপত্তিকর সেটা হলো, আসল শত্রুকে আড়ালে রাখা। নির্মম সত্য...
প্রত্যাশার প্রতিটি নতুন বছরে

প্রত্যাশার প্রতিটি নতুন বছরে

Stories
নতুন বছর আসে নতুন আশা নিয়ে। মনে করা হয় যে দিন বদলাবে। কিন্তু বদলায় না; এবং বদলায় না যে সেই পুরাতন ও একঘেয়ে কাহিনিই নতুন করে বলতে হয়। লিখেছেন ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী না বদলানোর কারণ একটি ব্যাধি, যার দ্বারা আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র আক্রান্ত। ব্যাধিটির নাম পুঁজিবাদ। এই ব্যাধি থেকে মুক্তির জন্য আমাদের চেষ্টার অবধি নেই। রাজনৈতিকভাবে আমরা বারবার চেষ্টা করেছি কিন্তু সফল হইনি।কিন্তু মুক্তি যে আসেনি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। জিনিসপত্রের দাম থেকে শুরু করে জীবনের সবক্ষেত্রে নিরাপত্তার অভাব পর্যন্ত সর্বত্রই ব্যর্থতার স্মারকচিহ্নগুলো জ্বলজ্বল করছে। --- সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর কলাম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর কলাম সবকিছুই গা-সওয়া হয়ে যায়। তবে মাঝেমধ্যে দুয়েকটি ঘটনা ঘটে যাতে আমরা ধাক্কা খাই, চমকে উঠি, পরস্পরকে বলি যে আমরা তো ...
পশ্চিমে মাথা ঠুকে মরার দুরারোগ্য ব্যাধি

পশ্চিমে মাথা ঠুকে মরার দুরারোগ্য ব্যাধি

Stories
দ্রাবিড় সৈকত অতীতের নিয়ন্ত্রণ যাদের কাছে থাকে, ভবিষ্যতের নির্মাণও তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছায় রূপায়িত হয়। আমাদের শিল্পকলার অতীত পুরোপুরি পশ্চিমের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। সাম্রাজ্যবাদী শক্তির পরিকল্পিত ভৃত্য বানানোর শিক্ষায় বুঁদ হয়ে আছেন আমাদের শিক্ষিতসমাজ। তাই অতীতের নিয়ন্ত্রণ, অতীতের প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে আমাদের ধারণা মূলত প্রভুদের শিখিয়ে দেওয়া এবং তাদের স্বার্থে নির্মিত অতীত। নিম্নবর্গের ইতিহাস-তাত্ত্বিক রণজিৎ গুহ বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন এভাবে—Education in history was thus designed as a servant’s education-an education to conform undeviatingly to the master’s gaze in regarding the past. It served the project of imperial dominance by annexing the past in order to preempt its use by the subject people as a site on which to assert their own identity. (Guha 1988: 21) আমরা আমাদের শিল্পকলা বা ইত...
রহস্যজট : বাগেশ্রীর শেষ আলাপ : ধ্রুব নীল

রহস্যজট : বাগেশ্রীর শেষ আলাপ : ধ্রুব নীল

Stories
আজ রইল ধ্রুব নীলের লেখা রহস্যজট বাগেশ্রীর শেষ আলাপ । এটি মূলত একটি গল্প ধাঁধা। প্রথম সমাধান করার চেষ্টা করুন। উত্তর দেখার জন্য একদম শেষে দেওয়া লিংকে ক্লিক করুন। রহস্যজট : বাগেশ্রীর শেষ আলাপ : ধ্রুব নীল আকাশের চাঁদ আর জলের চাঁদকে যখন এক বলে ভ্রম হয়, তখন অনেক আপাত সত্য নিরেট অর্থহীন ঠেকে কারও কারও কাছে। সবার কাছে সে অনুভূতি এক মনে না হলেও একেবারেই যে আলাদা আলাদা তা কিন্তু নয়। এমন কূলহারা পূর্ণিমায় সত্য গোসাইয়ের বড় মেয়েটা যখন আশপাশের শত অচেনা শঙ্কাকে চুলোয় তুলে এবং রাতের নিরবতাকে আরও এক ধাপ গভীরে পৌঁছে দিয়ে হারমোনিয়াম বাজিয়ে ধীরলয়ে গাইতে শুরু করে বাগেশ্রীর আলাপ, তখন পাইনসাদের পুকুর পাড়ের আধমরা নারকেল গাছের কাণ্ডের ফোকরে বাসা বাঁধা রহস্য পাখিটা সে গানে কান দেয়। তার সঙ্গে আরও একজন কান পেতে শোনে রাতের কিশোরীর আকুলতা। সে পান চাবায় আর আলাপের তালে মাথা নাড়ায় কিছুটা। ...
There are 9 Types of Women

There are 9 Types of Women

Stories
The Kamasutra, often associated with its explicit content, is a much more complex and nuanced ancient Indian text that delves into various aspects of human relationships, including the different types of women and their attributes. It states that, there are 9 types of women in the world. Written by Vatsyayana around the 4th century CE, the Kamasutra provides insights into human psychology, sexual dynamics, and social interactions. While it's important to approach the text with cultural sensitivity and recognize its historical context, we can still extract valuable lessons from its exploration of feminine archetypes. Understanding the Context Before delving into the types of women presented in the Kamasutra, it's crucial to understand that the text reflects the societal norms and ...
আশরাফ উদ্‌দীন আহ্‌মদের গল্প : স্বপ্নভূমি

আশরাফ উদ্‌দীন আহ্‌মদের গল্প : স্বপ্নভূমি

Stories
স্বপ্নভূমি আশরাফ উদ্‌দীন আহ্‌মদের গল্প । ভোর-ভোর থাকতেই, হাঁড়ির কোণে থাকা একটু পান্তা কাঁচা লঙ্কা আর লবণ চটকে খেয়ে নেয় আকালু... ভোর-ভোর থাকতেই, হাঁড়ির কোণে থাকা একটু পান্তা কাঁচা লঙ্কা আর লবণ চটকে খেয়ে নেয় আকালু। তারপর সাইকেলে চেপে বাতাসের বেগে ছুটে যায় ইউনিয়ন পরিষদে। আগেভাগে ধরতে হবে, সময় বলে কথা, সময়ের কাজ সময়ে না করলে পস্তাতে হয়; কিন্তু আকালু তো জীবনভর পস্তেই যাচ্ছে, হয়তো ওর ভবিতব্য! ফজর নামাজ পড়েই মেম্বার পরিষদে আসে। প্রথম সাক্ষাতে মেম্বারকে জানাতে হবে। খাঁড়ির জমিটুকুর জন্য যে গত মাসের আগের মাসে খুনোখুনির মতো একটা কিছু ঘটে গেছে, তার মামলার দিন পড়েছে, তাকে সদরে যেতে হবে। মামলা-মোকদ্দমা বলে কথা! ওই জায়গায় কেউ কি নিজের ইচ্ছেয় যেতে চায়। তারপরও যেতে হয়, ঠেকায় পড়ে। আকালু শেখ সাধারণত কারও সাতপাঁচে থাকে না বটে; কিন্তু বিপদ পিছু ছাড়ে না তার। সবকিছুতেই সে জ...
‘এক চিলতে উষ্ণতার স্পর্শ ছড়িয়ে দেওয়া একজন জাহাজির গল্প’

‘এক চিলতে উষ্ণতার স্পর্শ ছড়িয়ে দেওয়া একজন জাহাজির গল্প’

Stories
পাবনার সরদার পাড়া নামক  ছোট্ট এলাকায় তাঁর জন্ম। কাকলি, বাসন্তী,  নির্মল প্রকৃতির সঙ্গে তাঁর শৈশব-কৈশোর কেটেছে। বর্ণচোরা, ধোঁয়াটে, প্রকৃতির রং তাকে খুব বিস্মিত করেছে। কখনো বা বাড়ির সাথের পুকুরের কোকনদ কখনো বা কৃষ্ণচূড়া তাকে স্নিগ্ধ স্মিথ হাস্যোজ্জ্বল বানিয়েছে। প্রকৃতিতে গুঞ্জন জীমূতমন্দ্র, যেমন  তাকে কলতান দিয়েছে মধুর। তেমনি জীবনের সঙ্গে জীবন যোগ করে মর্মর, নির্ঘোষ, ঐকতান ও ভাবুক করে তুলেছে। খুব কাছ থেকে দেখেছেন বাস্তবতা।  কখনো তাঁর এক পসলা স্বপ্নকে উথান হতে দিলেও পতন হতে দেয়নি। জাহাজির মতো ধড়ে প্রাণ এসেছে মানুষের দিকে হাত বাড়িয়ে। মায়ের প্রেষণা থেকেই নিজের যা আছে তা নিয়ে অপরের পাশে থাকার আগ্রহ  থেকেই শুরু স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের। যেকোনো সচেতনতামূলক ও মানবিক কাজে রয়েছে তাঁর বিশেষ ভূমিকা। পরিবেশ পরিস্থিতি  তাকে যেখানেই নিয়ে যাক সব সময়ই তিনি চান ভালোর সঙ্গে আলোর ফোয়ারা হয়ে...
সর্বনাশা চাষ

সর্বনাশা চাষ

Stories
তুহীন বিশ্বাস  অতঃপর...  আকাঙ্ক্ষা আর স্বপ্নগুলো স্থির;  বহু ফসলী জমি অধিগ্রহণ করে- মুখোশধারী সর্বনাশা চাষে ব্যস্ত, ক্ষেতের কীটনাশক ভাসে জলাশয়।  পথচারী থুথু ফেলে সকাল - সাঁঝে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে যায় সভ্যতার অন্দরে, শেয়াল কুকুরের আনন্দ উল্লাস ;  অবশেষে... পরিত্যাজ্য পরিত্যক্ত সাইনবোর্ড!
রক্তখেলা | পর্ব ১ | ধারাবাহিক থ্রিলার গল্প

রক্তখেলা | পর্ব ১ | ধারাবাহিক থ্রিলার গল্প

Stories
ছয় জগতের ছয়জন মানুষ। আচমকা একদিন আটকা পড়েছেন একটি ঘরে। সেখানে বেজে চলেছে একটি রেকর্ডিং। বদ্ধ সেই ঘরে নেই কোনো খাবার। আছে শুধু ছয়টি পানির বোতল। ভেতরের ছয়জনকে খেলতে হবে একটি খেলা। যে খেলার ফল ঠিক করে দেবে ছয়জনের মধ্যে কারা শেষ পর্যন্ত বেঁচে থাকবে। গল্পটি লিখেছেন জনপ্রিয় গল্পকার ধ্রুব নীলএই লেখকের সমস্ত বই পাবেন এই লিংকে ধ্রুব নীলের রক্তখেলা ( রহস্য ও থ্রিলার গল্প ) পর্ব-১কাবাডি ‘আসুন আমরা একটা খেলা খেলি। খেলার নাম কাবাডি। নিয়মটা হলো…।’‘কে!’যে চেঁচিয়ে উঠল তার ঘুম ভেঙেছিল সবার আগে। টিমটিমে একটা টিউবলাইটের আলোয় চোখ সয়ে আসার পর কোটের ধুলো ঝাড়তে ঝাড়তে পুরোনো ঘরটার মলিন আসবাব ও ছুড়ে ফেলা জামাকাপড়ের মতো দলা পাকিয়ে থাকা বাকি দেহগুলোও তার নজরে আসে। শুনতে পায় রেডিওর অনুষ্ঠানে বিরতিতে বেজে ওঠা স্টিংগারের মতো মিউজিক। এরপর রেকর্ড করা কণ্ঠ- ‘আসুন আমরা একটা খেলা খেলি…।’‘কে কথা বলে! বেরিয়ে আসেন।...
গল্প: গুম

গল্প: গুম

Stories
আমি ভাবছিলাম রসুনরঙের দিনগুলোর কথা। যখন রোদের আলো তেরছাভাবে এসে পড়ত মানুষের গায়ে আর রসুনের ক্ষেতে। মানুষ নিজে এ রোদ থেকে বাঁচতে চাইলেও রসুনের ক্ষেতকে থাকতে দিতে চাইত এ রোদের তলেই। এরপর রসুনগুলো তাদের বার্ধক্যের কাছাকাছি এলেই এনে জড়ো করা হতো পুরাতন পৃথিবীতে বেড়ে ওঠা কোনো এক ঘরে। সেই ঘরের ওপরের দিকে ছনের চালার ঠিক নিচে, আগে থেকে বেঁধে রাখা বাঁশের কাঠামোর মধ্যে গিট্টু দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হতো। আর একটা বালক পথ ভুলে সেই পুরাতন পৃথিবীর ঘরটাতে গিয়ে তাকাত ঝুলন্ত রসুনগুলোর দিকে। রসুনের ঝাঁজ নাকে প্রবেশ করতেই তার মনে হয়েছিল, একদিন সে এই গন্ধের কথা বলবে সবাইকে। ঠিক এ সময় আমার পাশের খালি সিটটিতে আমারই বয়সী একটা লোক এসে বসলে আমি তাকাই তার দিকে। তাকে আমার পরিচিত কেউ মনে হয় না। যদিও আমরা একই শহরে যাব, শুধু আমরা না, এ বাসের সব যাত্রীই। তবুও কাউকেই আমার পরিচিত মনে হয় না। আমি প্রতিবারই বাস...
ধ্রুব নীলের আধিভৌতিক হরর গল্প : তিনি

ধ্রুব নীলের আধিভৌতিক হরর গল্প : তিনি

Stories
আধিভৌতিক হরর গল্প : তিনি ধ্রুব নীল চুলায় ডাল ফুটে উঠতেই রাবেয়ার বুক কাঁপতে শুরু করে। বারবার মিলির দিকে তাকায়। মনের মধ্যে কু-প্রশ্ন ভর করে—এই ডাল যদি মিলির গায়ে ছিটকে পড়ে! মিলি রাবেয়ার একমাত্র মেয়ে। বয়স ছ-সাত হবে। মিলি চায় রাতের বেলায় মায়ের পাশে গুটিসুটি মেরে বসবে আর মাটির চুলায় লাকড়ি ঠেলবে। রাবেয়া সেটা হতে দেয় না। কড়া ইশারায় মিলিকে বুঝিয়ে দিল চুলার আসপাশ আসলে তার পিঠে লাকড়ি ভাঙা হবে। রাবেয়া নিজেও জানে তার এ ভয় অহেতুক। ফুটন্ত ডাল খামাকা মেয়ের গায়ে পড়বে কেন? ‘আম্মা, একটা হিয়াল।’ ‘কোনো দিক যাবি না কইলাম। চুপচাপ ঘরে বইসা থাক। কোন দিকে হিয়াল?’ ‘জানি না।’ ‘কই দেখছস? সামনে যাইস না কইলাম।’ ‘ঘরের পিছে। ডেউয়া গাছের তলায়।’ রাবেয়ার মনে হলো তার লাফিয়ে উঠে এগিয়ে যাওয়া উচিত। কিন্তু নড়তে পারল না। হাত-পা অবশ লাগছে। চোখ বন্ধ করে দোয়া-দুরুদ...

Please disable your adblocker or whitelist this site!