Monday, December 23
Shadow

এশিয়ার বৃহত্তম ফুলের বাজার চীনের দোওনান

সিএমজি বাংলা ডেস্ক : বিশাল জায়গাজুড়ে ফুলের বাজার। বাহারি জাতের ফুলে দারুণ এক আবহ তৈরি হয়েছে এখানে। শুধু ফুলই নয়, ফুল দিয়ে তৈরি নানা পণ্য পাওয়া যায় এই বাজারে। ফুলের এই বাজারটি চীনের ইয়ুননান প্রদেশের কুনমিং শহরে অবস্থিত, যা পরিচিত দোওনান ফুলের বাজার নামে।

চীনের ৭০ শতাংশ ফুলের চাহিদা মেটায় এই ফুলের বাজার। দেশের প্রতি ১০ টি ফুলের ১টি ফুল আসে এই বাজার থেকে। প্রতিনিয়ত এই ফুল কিনতে বাজারে ভিড় করেন ফুলপ্রেমীরা। কেননা ফুল এখন নিত্য দিনের অনুসঙ্গ।

এক সময় এই ফুলের বাজার ছিল রাস্তায়। রাস্তার ধারে সারিবদ্ধভাবে ফুল বিক্রি করা হতো। কিন্তু কিন্তু এখন পাল্টেছে চিত্র। দিন যত অতিবাহিত হয়েছে ধীরে বড় হয়েছে বাজার। এটি এখন এশিয়ার বৃহত্তম এবং আমস্টারডামের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম তাজা ফুলের বাজার।

দোওনান ফুলের বাজার গ্রুপের প্রধান নির্বাহী ছিয়ান ছংকিউন বলেন, “ইয়ুননান প্রদেশে ৩০০ টিরও বেশি জাতের ফুল পাওয়া যায়। এই ইয়ুননান প্রদেশের উৎকৃষ্ট ফুলের বৈচিত্র্য ৫০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে পাওয়া যায়। চলতি বছরের প্রথম তিনমাসে ফুলের রপ্তানিমূল্য প্রায় ৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন ইউয়ানে পৌঁছেছে “।

এই বাজারে ফুল বিক্রির ব্যস্ততা মূলত দুই সময়ে বেশি দেখা যায়। স্থানীয় সময় সকাল ৮ টা সময় এবং বিকাল ৫ টার সময় দেখা যায়। এই সময়টায় বেশি করেন ক্রেতারা।

বিক্রেতা লি মিং বলেন, ভোরে আমরা স্টলে ফুল সাজানোর জন্য তাড়াতাড়ি আসি, নিজেরাই ফুল ছাঁটাই করি, প্যাকেজিং করি, এরপর ক্রেতাদের জন্য অপেক্ষা করি।

সময়ের সাথে সাথে সকাল ,বিকাল এবং রাতের চিত্র পাল্টাতে থাকে এই বাজারের। ক্রেতাদের আগমনে যেমঞ্জ ভিন্নতা আছে, তেমনি ফুলেও ভিন্নতা দেখা যায়।

বিক্রেতা, দোওনান ফুলের বাজারের বিক্রেতা চাং হান বলেন “রাতের সময়, আমাদের খুচরা বিক্রি কম হয়, এই সময় পাইকারী বিক্রি বেশি হয়। এই সময় আমরা তাজা ফুল পাইকারী ক্রেতাদের গন্তব্যে পাঠাই।

এই বাজারের ফুল মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় পৌছে যায় দেশের ২০০টিরও বেশি শহরে। শুধু সড়কপথ নয়, রেল এবং আকাশপথেও পাঠানো হয় এই ফুল। টাটকরা সতেজ ফুল পাঠাতে সব সময় কুরিয়ার পরিষেবা যেমন ইএমএস এবং জেডটিও এক্সপ্রেস ব্যবহার করা হয়।

ন্যাশনাল ফরেস্ট্রি অ্যান্ড গ্র্যাস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, দোওনানের ৭০ হাজার স্থায়ী বাসিন্দার ৪০ হাজার বাসিন্দাই এই ফুল শিল্পের সঙ্গে জড়িত। আর দেশটিতে ফুলের চারার বার্ষিক উৎপাদন মূল্য ছাড়িয়ে গেছে ৫০০ বিলিয়ন ইউয়ান । ফলে ফুল চাষে ৪০ লাখেরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

চীনের উন্নয়ন ও এগিয়ে চলার আরও খবর পড়ুন এই লিংকে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!