Monday, May 13
Shadow

অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে ৩০ কোটি মানুষ মৃত্যুর ঝুঁকিতে

অকারণে এবং অতিরিক্ত ডোজে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের কারণে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স পাওয়ার তৈরি হওয়ায় ২০৫০ সালনাগাদ বিশ্বের প্রায় ৩০ কোটি লোক মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকবে।

আজ ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এই আশংকা ব্যক্ত করে বলেন, জীবন রক্ষাকারী অ্যান্টিবায়োটিক অতিরিক্ত মাত্রায় মানুষ ও প্রাণী স্বাস্থ্য রক্ষায় এবং প্রাণীখাদ্য ও খামারের উৎপাদন বাড়াতে ব্যবহৃত হয়।

তারা বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। এখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বাড়ছে গবাদিপশু ও কৃষি পণ্যের উৎপাদন, যা জুনোটিক প্যাথোজেন্স সৃষ্টির প্রধান ক্ষেত্র। এর ফলে এখানে সংক্রামক ব্যধির সৃষ্টি হচ্ছে। যা থেকে মানব স্বাস্থ্য রক্ষায় অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স পাওয়ারের ভুমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ওয়ান হেলথ বাংলাদেশ- আইসিডিডিআর,বি, পশুসম্পদ বিভাগ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আরো কতিপয় সংস্থার সহযোগিতায় আজ সকালে আইসিডিডিআরবি এই সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেসজ্ঞরা বলেন, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের পাশাপাশি বিশেষ করে বাংলাদেশের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশসমূহের সরকারগুলোকে আইন প্রণয়ন ও তা কঠোরভাবে প্রয়োগ করে অ্যান্টিবায়োটিকের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার রোধ করতে হবে। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি ও ব্যবহার সীমিত করে আনতে হবে।

একই সঙ্গে তারা আরো বলেন, এ ধরনের ওষুধের অপ্রয়োজনীয় ও অতিরিক্ত ব্যবহারে চিকিৎসকদের প্রভাবিত করার ব্যাপক বিক্রয় প্রচারণা বন্ধে ওষুধ কম্পানি ও চিকিৎসকদের ওপর কঠোর নজরদারি করা প্রয়োজন।

মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রাইসুল আলম মন্ডল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পশুসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. হিরেশ রঞ্জন ভৌমিক।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওয়ান হেলথ-এর সিনিয়র কারিগরি উপদেষ্টা ও পশু চিকিৎসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র টেকনিক্যাল এডভাইজার অধ্যাপক ডা. নিশিথ সি দেবনাথ।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে ডেপুটি এফএও প্রতিনিধি ডেভিড ডোলান ও আইসিডিডিআরবির সংক্রামক রোগ বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টর অধ্যাপক এলেন রোস।

বাংলাদেশে এফএও-ইসিটিএডি টিম লিডার ডা. এরিক ব্রুম ও ‘এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্টেন্স : ট্রাইপেট্রিয়েল এফোর্ট টু কম্বেট’ শীর্ষক একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

এছাড়া বাংলাদেশ সেন্টার ফর কম্যুনিকেশন প্রোগ্রাম (বিসিসিপি) ‘আউট ব্রেক কম্যুনিকেশন এন্ড এডভোকেসি’ শীর্ষক একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!

error: Content is protected !!