class="post-template-default single single-post postid-1155 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

ঈদে যত ভেজাল পণ্য

ভেজাল

নগরীর আনাচে-কানাচে তৈরি এবং বিক্রি হচ্ছে ভেজাল পণ্য। জেলা প্রশাসন, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিএসটিআই অভিযান অব্যাহত রাখলেও ভেজাল পণ্য উৎপাদন এবং বিক্রি বন্ধ হচ্ছে না। জেল-জরিমানা ও পণ্য আটক করার পরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে নগরীর ভেজাল চক্র।
নগরীর বেকারী, হোটেল, মুড়ি এবং মিষ্টির কারখানায় নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের তৈরি হচ্ছে খাদ্য পণ্য। বাড়তি মুনাফা লাভের আশায় রমজান মাস এবং ঈদকে কেন্দ্র করে বাড়ছে ব্যবসায়ীদের ভেজালের কারবার। ফলে প্রতিনিয়ত হচ্ছে নগরীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অভিযান এবং জরিমানা। ঈদে বাড়তি আয়ের জন্য বেকারীর মধ্যে তৈরি হচ্ছে লাচ্ছা সেমাই। দফায় দফায় প্রশাসনের অভিযানের ফলে কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে দাবি প্রশাসনের। নোংরা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি, ক্ষতিকর রঙ ও রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার, মূল্য তালিকা না থাকা, পণ্যের গায়ে নির্ধারিত মূল্য না থাকা, আমদানিকারকের স্টিকার না থাকাসহ রয়েছে নানা অভিযোগ আর ভেজালের কারসাজি। কারাখানাগুলোর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে ভেজাল এবং মানহীন বাংলা সেমাই, লাচ্ছা সেমাই, পাউরুটি, কেক এবং তৈরি করছে দেশি-বিদেশি নামীদামী কোম্পানির মোড়কে পণ্য। মেয়াদোত্তীর্ণ কাঁচামাল, বিষাক্ত রঙ, ভেজাল পামঅয়েল, পচা ডিম ইত্যাদি মেশানো হচ্ছে খাদ্যপণ্যে। বেকারী রয়েছে নগরীর দৌলতপুর, জোড়াগেট প্রেমকানন রোডে, শেখপাড়া বাগানবাড়ি, গল্লামারি আলীর মোড়, নতুন বাজার কাগজীবাড়ি এলাকায়ও রয়েছে বেকারী। এছাড়া নগরীর বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে কারখানার বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে আলো-আঁধারি পরিবেশে ভেজাল ও নকল সেমাইসহ নানা খাদ্য ও পণ্য উৎপাদন করা হচ্ছে। আর এসব খাবার খেয়ে অসুস্থ হচ্ছেন নগরীর শিশুসহ সকল বয়সের মানুষ। এসব খাদ্য গ্রহণ এবং পণ্য ব্যবহারের ফলে বাড়ছে ক্যান্সারের মতো মারাত্মক ব্যাধির আশঙ্কা। যদিও রমজান মাস এবং ঈদকে সামনে নিয়ে প্রতিনিয়ত বাজার তদারকিমূলক অভিযান অব্যাহত রেখেছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আর অভিযানে প্রতিনিয়ত করছেন জরিমানা।
ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড হেলথ কেয়ার সোসাইটি’র মহানগরীর সভাপতি অ্যাড. আমিনুল ইসলাম মুকুল জানান, মহানগরীর বিভিন্ন হাটবাজার ছাড়াও গ্রামের বাজারগুলোতে এসব ভেজাল পণ্য সরবরাহ করা হয়। শুধু রমজান মাস নয়, সারা বছরই এসব ভেজাল পণ্যের ব্যবসা চলে। মোড়ে মোড়ে গড়ে ওঠা মৌসুমী ইফতার সামগ্রীর দোকানগুলোতেও চলছে ভেজালের কারবার। খাওয়ার অনুপযোগী উপকরণ দিয়ে তৈরি হচ্ছে ইফতার সামগ্রী। এসব বিষয়ে প্রশাসনসহ জনগণকেও সচেতন হতে হবে।
কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) খুলনার সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আজম ডেভিড জানান, নগরীতে ভেজাল খাদ্যপণ্য উৎপাদন বেড়ে গেছে। ভেজাল ও মানহীন খাদ্য জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ ওয়ালিদ বিন হাবিব জানান, আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমরা সারা বছর ধরে বাজার তদারিকমূলক অভিযান করে থাকি এবং সমস্যা পেলে জরিমানা করে থাকি।
জেলা কার্যালয়ের অভিযানে সহকারী পরিচালক শিকদার শাহীনুর আলম জানান, আমরা অভিযানে জরিমানার পাশাপাশি তাদেরকে সচেতন করার জন্য লিফলেট দিয়ে থাকি। তবে নগরীতে এখন অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা অনেকটা শুধরে গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!