class="post-template-default single single-post postid-1110 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

উবার চালকের অভিনব প্রতারণা!

uber fraud

রাত সোয়া নয়টা। উবার ডাকলাম বিজয় সরণি থেকে। মোটামুটি মিনিট পাঁচেকের মধ্যে উবার হাজির। ড্রাইভারের নাম শিহাব। সুন্দর চেহারা তার। চিনির মতো মিষ্টি ব্যবহার। মিরপুর রোডে আসার পরে ভয়াবহ জ্যাম। শিহাব এবিসি রেডিও ছেড়ে রেখেছেন তার গাড়িতে। সাফা কবিরের উদ্ভট বকবকানি শুনতে শুনতে পৌঁছে গেলাম নিউমার্কেট। ৫৪ মিনিটের জার্নি।

নামার আগে জিজ্ঞেস করলাম, ভাড়া কত এলো ভাই? শিহাব বললেন, ৩৮০। আমি বললাম, বলেন কী? এত বেশি? শিহাব বললেন, হুম, এই যে দেখেন। উনি তার সেলফোনের স্ক্রিন দেখালেন। দেখলাম, ভাড়া ৩৮০ টাকাই। প্রোমো কোড তা হলে কাজ করেনি? জ্যামও ছিল অনেকক্ষণ। নতুন বাজেট ঘোষণার পর কিছু ভ্যাট-ট্যাক্সও যোগ হয়েছে নাকি? এ-সব ভাবতে ভাবতে ৫০০ টাকার নোট এগিয়ে দিলাম একটা। শিহাব বললেন, ভাংতি নেই। মানিব্যাগ থেকে ভাংতি বের করে অপ্রসন্ন মনে ভাড়া চুকিয়ে গাড়ি থেকে নামলাম।

কিছুক্ষণ পরে উবার থেকে জিমেইলে বিজয় সরণি টু নীলক্ষেত রোডের ভাড়ার হিসাব এলো। ভাড়া হয়েছে ২৫৪ টাকা। তা থেকে ১০৪ টাকা ডিসকাউন্ট। প্রদেয় ভাড়া ১৫০ টাকা! ঘটনাটা কী দাঁড়ালো সেক্ষেত্রে?

আমাকে সম্ভবত অন্য কোনো জার্নির, যেটাতে ৩৮০ টাকা ভাড়া এসেছিল, স্ক্রিনশট দেখানো হয়েছিল। এরপর শিহাব সাহেবের মোবাইল নম্বরে ফোন দিলাম দুইবার। মিষ্টভাষী আর ফোন ধরছেন না! এসএমএসও দিলাম একটা। সেটারও জবাব নেই।

মিস্টার শিহাব, ভয় পাবেন না; যে ২৩০ টাকা অতিরিক্ত নিয়েছেন সেটা আমাকে ফেরত দিতে হবে না। শুধু একবার ‘স্যরি’ বললেই চলবে।

তারিক সালমনের ফেসবুক থেকে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!