class="post-template-default single single-post postid-16915 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

ওয়াইফাই ৬ সুবিধা পেতে যা প্রয়োজন হবে?

ইন্টারনেট ব্যবহারে ঘরে ঘরে ডেস্কে ডেস্ক তার টানার ঝামেলা এড়াতে চান সকলেই। এ কারণে জনপ্রিয় ওয়াইফাই প্রযুক্তিতে বিশ্বজুড়ে ডিভাইস চলছে ৪০০ কোটি।

ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, কম্পিউটার, ট্যাবলেট বা ড্রোনে ইন্টারনেট ব্যবহারে ওয়াইফাই ব্যবহার করা হয়। প্রতিনিয়ত বাড়ছে এর ব্যবহার।

এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ওয়াইফাই সেবার মান বাড়াতে প্রযুক্তির উন্নয়নের দিকেও নজর গবেষকদের। সেই সূত্রেই চলতি বছর আসছে পরবর্তী প্রজন্মের ওয়াইফাই প্রযুক্তি, যার নাম ওয়াইফাই ৬। এই প্রযুক্তি কী এবং কি কি সুবিধা মিলবে এর মাধ্যমে তা থাকছে এ টিউটোরিয়ালে।

নামকরণ

আগের ওয়াইফাই সংস্করণগুলোর নাম ছিল তিন বা চার অক্ষরের নম্বর। যা দেখে বোঝা যেত না কোনটি আগের আর কোনটির পরের প্রযুক্তির ওয়াইফাই।

যেমন সর্বশেষ ওয়াইফাই প্রযুক্তির সংস্করণের নাম ‘802.11ac’। এ সংখ্যা থেকে ধারণা করা কষ্টকর এটি কত প্রজন্মের সংস্করণ। তাই ওয়াইফাই সংস্থা সংস্করণগুলোর নাম পরিবর্তনের ঘোষণা দেয়। এরই অংশ হিসেবে এবার যষ্ঠ প্রজন্মের সংস্করণের নাম রাখা হচ্ছে ‘ওয়াইফাই ৬’।

এ নিয়ম অনুযায়ী ২০০৯ সালে বাজারে আসা 802.11n প্রযুক্তির নাম হবে ওয়াইফাই ১। ২০১৪ সালে চালু হওয়া 802.11ac-এর নাম ওয়াইফাই ৫ এবং ২০১৯ সালে আসতে যাওয়া 802.11ax প্রযুক্তির নামকরণ করা হবে ওয়াইফাই ৬।

যেসব সুবিধা মিলবে ওয়াইফাই ৬ প্রযুক্তিতে

আরও গতিময়
ওয়াইফাই ৬ প্রযুক্তিতে রয়েছে আরও কার্যকর ডাটা এনকোডিং প্রযুক্তি। এতে আগের সংস্করণের তুলনায় আরও গতিময় ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা পাওয়া যাবে। আগের সংস্করণের তুলনায় ৪০ শতাংশ দ্রুত ডাটা ট্রান্সফার করতে সক্ষম এ প্রযুক্তি।

বর্তমানে উন্নত দেশগুলোতে নতুন ৫ গিগাহার্টজের ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশসহ বহু দেশের বেশিরভাগ ইলেকট্রিক ডিভাইস এখনও পুরানো ২.৪ গিগাহার্টজ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে।

নতুন ওয়াইফাই ৬ পুরনো এ নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রেও দ্রুত গতিতে ওয়াইফাই ব্যবহার করা যাবে।

 

বেশি ব্যাটারি ব্যাকআপ

স্মার্টফোন বা ল্যাপটপসহ স্মার্ট ডিভাইসে ওয়াইফাই ব্যবহার করলে দ্রুত চার্জ ফুরিয়ে যায়। এ নিয়ে অনেকেই বিপাকে পরেন। এ সমস্যা সমাধানে ওয়াইফাই ৬-এ রয়েছে টার্গেট ওয়ার্ক টাইম (টিডব্লিউটি) নামের বিশেষ ফিচার।

যখন কোনো ডিভাইস ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে যুক্ত হবে, তখন ডিভাইসটিতে কখন ডাটা আদান-প্রদান হবে আর কখন হবে না, সেটির তথ্য জানাবে ফিচারটি। ফলে ব্যাটারি খরচ কমবে এবং অধিক সময় ব্যাকআপ সুবিধা পাওয়া যাবে।

জনাকীর্ণ স্থানে আরও ভালো কার্যক্ষমতা

বহু মানুষ একত্রে ওয়াইফাই ব্যবহার করছে এমন স্থানে ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের কার্যক্ষমতা কমে যায়। ফলে ব্যবহারকারীরা কম গতির ইন্টারনেট সুবিধা পান। ওয়াইফাই ৬-এ এই সমস্যার সমাধান মিলবে।

ওয়াইফাই ৬ প্রযুক্তির মাধ্যমে জনাকীর্ণ এলাকায় প্রত্যেক ব্যবহারকারী আগের তুলনায় চার গুণ বেশি গতি পাবেন। ফলে স্টেডিয়াম, হোটেল, খেলার মাঠ, অনেক কর্মীর অফিস ও বাসায় একাধিক মানুষ একই নেটওয়ার্কে যুক্ত থেকে দ্রুত গতির ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন।

ওয়াইফাই ৬ সুবিধা পেতে যা প্রয়োজন হবে?

এ প্রযুক্তির সুবিধা পেতে হলে স্মার্ট ডিভাইসটি অবশ্যই নতুন ওয়াইফাই প্রযুক্তি সমর্থিত হতে হবে।  প্রেরক ও গ্রাহক উভয় ডিভাইসকেই হতে হবে ওয়াইফাই ৬ সমর্থিত।

নতুন এ প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হলে রাউটার ও স্মার্টফোন দুটোই ওয়াইফাই ৬ সমর্থিত হতে হবে। ধরুণ আপনার রাউটারটি ওয়াইফাই ৬ সমর্থিত কিন্তু স্মার্টফোনটি ওয়াইফাই ৫ সমর্থিত, এমন হলে আপনি স্মার্টফোনটি দিয়ে ওয়াইফাই ৫ প্রযুক্তির সুবিধা পাবেন। ওয়াইফাই ৬ নয়।

তাই নতুন ওয়াইফাই সুবিধা যুক্ত ডিভাইস কিনতে গেলে লক্ষ্য রাখবেন সেটি যেন ওয়াইফাই ৬ সমর্থিত হয়। চলতি বছর থেকে এ প্রযুক্তির ডিভাইস বাজারে আসবে।

অন্যদিকে অনেক ডিভাইসে ‘ওয়াইফাই ৬ সাটিফাইয়েড’ লোগো যুক্ত থাকবে। ফলে খুব সহজেই বোঝা যাবে এটি দিয়ে নতুন প্রযুক্তির ওয়াইফাই ব্যবহার করা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!