কলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও পুষ্টিকর ফল। এটি কাঁচা ও পাকা দু’ভাবেই খাওয়া যায়। কাঁচা কলা রান্না করে খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ইদানিং কাঁচা কলার চিপসও পাওয়া যায়, যা খেতে সুস্বাদু ও মজাদার।
কাঁচা কলার পুষ্টিমান:
১. কাঁচা কলায় রয়েছে উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফেট।
২. ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬ ও ভিটামিন সি-এর আদর্শ উৎস হচ্ছে কাঁচা কলা।
৩. এতে কার্বোহাইড্রেট কমপ্লেক্স স্টার্চ হিসেবে থাকে।
৪. এতে রয়েছে হাইড্রোফলয়েড নামক সলিউবল ফাইবার।
৫. ব্যতিক্রম হিসেবে এতে আছে ফ্রুকটোঅলিগোস্যাকারাইড।
৬. আরো থাকে শর্ট চেইন ফ্যাটি এসিড।
৭. একটি মাঝারি আকারের কাঁচা কলা রান্না করার পর এর থেকে- কার্বোহাইড্রেট ৫০-৮০ গ্রাম, প্রোটিন ২-৩ গ্রাম, ফাইবার ৪-৬ গ্রাম, ফ্যাট ০.০১-০.৩ গ্রাম পাওয়া যায়। প্রতি গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থেকে ৪ ক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়। তাই ১টি কাঁচা কলা থেকে আমরা কমপক্ষে ২৬০ ক্যালরি এনার্জি বা শক্তি পেতে পারি।
উপকারিতা:
১. এটি হার্টকে ভালো রাখে, হাইপারটেনশন ও হার্ট অ্যাটাক রোধ করে।
২. উচ্চরক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
৩. কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। অন্ত্রের পুষ্টি জোগায়। বিশেষ করে ক্ষুদ্রান্তের। ডায়াবেটিস রোগীদের একদিকে উচ্চ মাত্রার এনার্জি যোগায়। অন্যদিকে কার্বোহাইড্রেটের নিম্নমাত্রার ক্যালরি প্রদান করে।
৪. ভিটামিনের কারণে এটি চোখ ও ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
৫. এটি হজমে সাহায্য করে।
৬. ডায়রিয়া রোগে খুবই সাহায্য করে।
৭. কিডনি সমস্যায় কাজ করে।
৮. ওজন কমাতে সাহায্য করে।