class="post-template-default single single-post postid-14836 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

কুকুর কামড়ালে কী করবেন, কী করবেন না

কুকুরপথে ঘাটে চলতে ফিরতে কখন যে কী ঘটে যায়, তা কে বলতে পারে! যেমন, কুকুরে কামড়ানো। কুকুরের কামড় অনেক বেশি যন্ত্রণাদায়ক এবং মারাত্নক। কুকুরের কামড় থেকে জলাতঙ্ক রোগ হতে পারে। রেবিস নামক ভাইরাস থেকে জলাতঙ্ক রোগ হয়ে থাকে। এটি একটি স্নায়ুর রোগ। রেবিস ভাইরাস কুকুরের লালা থেকে ক্ষতস্থানে লেগে যায় এবং সেখান থেকে স্নায়ুতে পৌঁছে জলাতঙ্ক রোগে সৃষ্টি কেরে। সময় মতো চিকিত্সা না করানো গেলে জলাতঙ্কের কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তবে কুকুর কামড়ালে সঙ্গে সঙ্গে কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। কুকুর কামড়ানোর পর সময় মতো এই কাজগুলি করতে পারলে তেমন আর কোনও ঝুঁকি থাকে না। আসুন এ বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক।

১) রক্ত বন্ধ করুন: ক্ষত স্থানে চাপ দিয়ে কিছুক্ষণ ধরে রাখুন। এতে রক্ত পরা বন্ধ হয়ে যাবে।

২) ক্ষত পরিষ্কার করুন: প্রথমে একটি পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে ক্ষত স্থানটি চেপে ধরুন। তার পর ক্ষত স্থানটি ভালভাবে পরিষ্কার করুন। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করতে পারেন। তবে ক্ষত স্থান পরিষ্কার করার সময় খুব বেশি চাপ দিয়ে ঘষাঘষি করবেন না।

৩) ব্যান্ডেজ: ক্ষতস্থানটিতে অ্যান্টিবায়েটিক ক্রিম বা অয়েন্টমেন্ট লাগিয়ে তার পর একটি গজ দিয়ে ভাল করে ব্যান্ডেজ করে ফেলুন। ক্ষত স্থান খোলা থাকলে এতে বিভিন্ন রোগ জীবাণুর সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে।

৪) চিকিৎসকের কাছে যাওয়া: প্রাথমিক চিকিৎসার পর দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে এবং তার চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে টিটেনাস ইনজেকশন দিতে হবে। কুকুর কামড়ের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই ইনজেকশন দেওয়া উচিত। রাস্তার কুকুরের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে পরবর্তী ওষুধ, ইনজেকশন বা প্রয়োজনীয় চিকিত্সা অবশ্যই করাতে হবে।

সতর্কতা: কুকুরের কামড়ে অনেক সময় রোগী মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন বা মারাত্মক ভয় পেয়ে যান। তবে এই পরিস্থিতিতে ভেঙে পড়লে চলবে না। প্রাথমিক চিকিৎসার পর অব্যশই রোগীকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে এবং দ্রুত প্রয়োজনীয় চিকিত্সা শুরু করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!