Sunday, May 5
Shadow

ডায়াবেটিস ইনসুলিন | ইনসুলিনের ধরণ ও ইনসুলিন সম্মন্ধে কিছু কথা

ডায়াবেটিসআমাদের দেশে প্রধানত ডায়াবেটিস-এ দুই ধরণের  ইনসুলিন ব্যবহার করা হয়ঃ

১. স্বচ্ছ, নিয়মিত বা স্বল্প মেয়াদী ইনসুলিন (Regular Insulin) (হিউমোলিন আর, ইনসুমান র‍্যাপিড ইত্যাদি) এবং

২. ঘলাতে বা মধ্য মেয়াদী ইনসুলিন (Intermediate Insulin) (হিউমোলিন –এন, ইনসুমান ভেজাল ইনসুলেটার্ড ইত্যাদি)

প্রথমটি দেখতে পানির মত স্বচ্ছ, কাজ আরম্ভ করে ইনজেকশন দেবার ৩০ মিনিট পরে, ২ থেকে ৪ ঘণ্টার মধ্যে এটি সবচেয়ে বেশী কাজ করে এবং এর কাজের স্থিতিকাল ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা।

দ্বিতীয় দেখতে ঘোলাটে; এর কাজ আরম্ভ হই ইনজেকশন দেবার দেড় ঘণ্টা পড়ে। এটি ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত সবচেয়ে বেশী কাজ করে। এর কাজের স্থিতিকাল ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত হতে পারে।

অন্যান্য ইনসুলিন

প্রিমিক্সিড ইনসুলিন(Premixed Insulin): এই ইনসুলেনের বোতলে স্বচ্ছ এবং ঘোলাটে ইন্সুলেনের বিভিন্ন নির্দিষ্ট অনুপাতে থাকে। যেমন- ৩০:৭০; ২৫:৭৫; ৫০:৫০; ৪০:৬০ ইত্যাদি। আদের কাজ শুরু হয় ৩০ মিনিটে এবং কার্যকারিতা থাকে ১৮-২০ ঘণ্টা যথা-

ক) ইনসুলিন মিক্সটার্ড ৩০:৭০; ৫০:৫০    খ) ইনসুলিন ইনসুমান ২৫:৭৫    গ) হিউমুলিন ৭০:৩০ ইত্যাদি।

উল্লেখিত ইনসুলিন গুলো খাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে নিতে হবে।

সাম্প্রতিক ইনসুলিন

১. ইনসুলিন এনালগ- দ্রুত কার্যকরী (Rapid Acting Analogues)

ক) ইনসুলিন এসপার্ট (নভো রেপিড) খ) ইনসুলিন লিসপ্রো (হিউমালগ)

এই ইনসুলিন ১০-১৫ মিনিটে রক্তে আসে এবং এক ঘণ্টায় সর্বোচ্চ কাজ শুরু করে। স্থায়িত্ব কাল ৩-৪ ঘণ্টা। এই ধরণের ইনসুলিন খাওয়ার আগে আগে বা খাওয়ার পর পর দেয়া যেতে পারে।

২. ইনসুলিন এনালগ দীর্ঘ মেয়াদী (Long Acting Analogues)

ক) ইনসুলিন গ্লারজিন (ল্যান্টাস) খ) ইনসুলিন ডিটেরিম (লেভেমির)

এই ইনসুলিন কাজ শুরু করে ১ ঘণ্টায়। স্থায়িত্ব কাল ২৪ ঘণ্টা। এই ধরণের ইনসুলিন দিনে একবার নির্দিষ্ট সময়া দেয়া যেতে পারে। বেশীর ভাগ ক্ষত্রে রাতে নির্দিষ্ট সময়ে দিলে ভাল। খাবারের সাথে কোন সম্পর্ক নাই।

৩. প্রিমিক্সড এনালগ (Premixed Analogues)

ক) ইনসুলিন এসপার্ট মিক্স (নভো মিক্স-৩০)    খ) ইনসুলিন লিসপ্রো মিক্স (হিউমালগ ২৫, হিউমালগ ৫০)

এই ইনসুলিন কাজ শুরু করে ১৫ মিনিটে। স্থায়িত্ব কাল ২৪ ঘণ্টা।

ডায়াবেটিস-এর ইনসুলিন সংরক্ষন

ইনসুলিন ঠান্ডা জায়গায় রাখা প্রয়োজন। না হলে আর কার্যক্ষমতা কমে যায়। এক মাসের বেশী সময় রাখতে হলে ফ্রিজে ২° থেকে ৮° সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় রাখতে হবে। গ্রামাঞ্চলে যেখানে ফ্রিজ নেই বা যাদের বাসায় ফ্রিজ নাই তারা মাঝারী আকারের একটি মাটির হাড়িতে পরিষ্কার কাপড়ে ইনসুলিনের বোতল পেঁচিয়ে হাড়ির ঢাকনি বন্ধ করে অপেক্ষাকৃত ঠাণ্ডা জায়গায় রাখবেন। ফ্রিজ না থাকলে এক মাসের প্রয়োজনের বেশী ইনসুলিন না কেনাই বাঞ্ছনীয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!

error: Content is protected !!