class="post-template-default single single-post postid-20544 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

কোন ধরনের প্লাস্টিকের পাত্র কত বার ব্যবহার করা নিরাপদ?

প্লাস্টিকেরপ্লাস্টিকের বোতলে আমরা অনেকেই জল রাখি, জল খাই। প্লাস্টিকের তৈরি পাত্রে খাবার রাখি। অনেকেই খেয়াল করে থাকবেন, প্রতিটি প্লাস্টিকের বোতল বা পাত্রের নীচে ত্রিভুজাকৃতি ছাঁচের মধ্যে কিছু নম্বর লেখা থাকে। এই নম্বরই নির্দেশ করে প্লাস্টিকের তৈরি ওই পাত্রটি কত দিন বা কত বার ব্যবহার করা উচিত। আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন নম্বরের কী মানে…

১) ত্রিভুজের মধ্যে ‘১’ লেখা থাকলে তার অর্থ হল, পাত্রটি পলিথাইলিন টেরেপথ্যালেট জাতীয় পলিথিন দিয়ে তৈরি। অর্থাৎ, এই প্লাস্টিকের পাত্রগুলি মাত্র এক বারই ব্যবহারযোগ্য। একবারের বেশি এগুলি ব্যবহার করা মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়।

২) যদি পাত্রের নীচে ত্রিভুজের মধ্যে ‘২’ লেখা থাকে তাহলে তার অর্থ হল, পাত্রটি ঘন, অস্বচ্ছ পলিথিন বা এইচডিপিই জাতীয় পলিথিন দিয়ে তৈরি। ডিটারজেন্ট, শ্যাম্পু, টয়লেট ক্লিনারের বোতল এই জাতীয় পলিথিন দিয়ে তৈরি হয়। এগুলিতে খাবার বা পানীয় জল রাখা মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়।

৩) পাত্রের নীচে ত্রিভুজের মধ্যে ‘৩’ লেখা থাকলে তার অর্থ হল, এই ধরনের পাত্র পলিভিনিল ক্লোরাইড বা পিভিসি দিয়ে তৈরি। খাবারের শক্ত মোড়ক বা রান্নার তেলের পাত্র এই জাতীয় পলিথিন দিয়ে তৈরি করা হয়। একবারের বেশি এগুলি ব্যবহার করা মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়।

 

৪) যদি পাত্রের নীচে ‘৪’ লেখা থাকে তাহলে তার অর্থ হল, এই ধরনের পাত্র এলডিপিই জাতীয় পলিথিন দিয়ে তৈরি। এই ধরনের পাত্রে একাধিকবার পানীয় জল বা খাবার রাখা যেতে পারে। তবে সপ্তাহ খানেকের বেশি ব্যবহার না করাই ভাল।

৫) যদি পাত্রের নীচে ত্রিভুজের মধ্যে ‘৫’ লেখা থাকে তাহলে তার অর্থ হল, এই ধরনের পাত্র ব্যবহার করা একেবারে নিরাপদ। সসের বোতল, জলের বোতল বা সিরাপের বোতল এই জাতীয় পলিথিন দিয়ে তৈরি।

৬) পাত্রের নীচে ত্রিভুজের মধ্যে ‘৬’ লেখা থাকলে তার অর্থ হল, এই ধরনের পাত্র পলিস্টিরিন বা স্টাইরোফোম জাতীয় উপাদান দিয়ে তৈরি। এই জাতীয় পলিথিন দিয়ে তৈরি পাত্রে খাবার গরম করা মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। আর বেশি ব্যবহার না করাই ভাল।

৭) যদি পাত্রের নীচে ত্রিভুজের মধ্যে ‘৭’ লেখা থাকে তাহলে তার অর্থ হল, এই ধরনের পাত্র ব্যবহার করা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর ও ঝুঁকিপূর্ণ। খাবার বা কোনও রকম পানীয় রাখা একেবারেই উচিত নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!