ক্যানসার বা স্ট্রোক- সাধারণভাবে পুরুষের থেকে মহিলাদের উচ্চতা কমই হয়। তবে অনেকেই আবার মাথায় ছাড়িয়ে যান পুরুষদেরও। আবার অনেকের উচ্চতা গড়পড়তার চেয়েও কম হয়। তবে এই উচ্চতাই রোগ বলে দিতে পারে, সেকথা বোধহয় অনেকেই জানেন না। অর্থাৎ, কার কেমন উচ্চতা, তা থেকেই বুঝে নেওয়া সম্ভব যে তাঁর শরীরে কোন রোগের সম্ভাবনা বেশি।
১. ক্যান্সার প্রবণতা:
থাইরয়েড, কিডনি, ব্রেস্ট কিংবা রেকটাম ক্যানসারের সঙ্গে উচ্চতার বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। নিউ ইয়র্কের অ্যালবার্ট আইনস্টাইন কলেজের মেডিসিন বিভাগের গবেষক জিওফ্রে কাবাট জানিয়েছেন, তিনটি পর্বে স্টাডি করার পর গবেষকরা এই রিপোর্ট দিয়েছেন। সেখানে বলা হচ্ছে, ৫ফুট ১০ ইঞ্চির মহিলাদের এইসব ক্যান্সারের প্রবণতা বেশি থাকে। এক্ষেত্রে কিছুটা নিরাপদ ৫ফুট ২ বার তার কম উচ্চতার মহিলারা।
লম্বা মহিলাদের বিভিন্ন অঙ্গও তুলনায় বড় হয়, ফলে টিউমার তৈরি হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ে।
২. স্ট্রোকের প্রবণতা:
যদি আপনার উচ্চতা হয় ৫ফুট ২ ইঞ্চি বা তার কম, তাহলে আপনার রক্ত জমাট বাঁধার সম্ভাবনা অনেক কম। নরওয়ের ট্রমসো ইউনিভার্সিটির গবেষণা বলছে রক্ত জমাট বেঁধে স্ট্রোক হওয়ার প্রবণতা সেক্ষেত্রে কম। তবে লম্বা হলেও যদি ওজন কম থাকে, তাহলে স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমে যায়।
৩. আয়ু:
বেঁটে হলেই বাড়ে আয়ু। এমনটাই বলছে গবেষণা। অ্যালবার্ট আইনস্টাইন কলেজ অফ মেডিসিন বলছে, উচ্চতা কম হলে ৯০ বছর বয়সেই বেশ শক্তিশালী থাকতে দেখা যায়। তবে লম্বা হলে বয়স বাড়লে দুর্বল হয়ে পড়ার সম্ভাবনাই বেশি।
৪. হৃদরোগ:
এক্ষেত্রে অবশ্যই লম্বারাই নিরাপদ। ৫ ফুট ৮ ইঞ্চির মহিলাদের হৃদরোগের সম্ভাবনা কম, ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি বা তার কম উচ্চতার মহিলাদের সেই সম্ভাবনা থেকেই যায়। তবে শুধু লম্বা হলেই হৃদরোগ হবে না এমনটা নয়। অতিরিক্ত ধূমপান, জাংক ফুড খাওয়া এসবে কিন্তু হৃদযন্ত্রে প্রভাব পড়েই।
৫. মানসিক স্বাস্থ্য:
৫ ফুট ৭ ইঞ্চির মহিলাদের ডিমেনশিয়া হওয়ার সম্ভাবনা অপেক্ষাকৃত কম। বেঁটে হলে অনেক ক্ষেত্রেই শিশু বয়সে কোনও রোগ হতে পারে। মানসিক চাপও পড়ে বেশি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানসিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ে।
৬. গর্ভবতী হওয়ার প্রবণতা:
৫ ফুট ২ ইঞ্চির মহিলাদের ক্ষেত্রে সন্তানের জনমের সময় অনেক রকম কমপ্লিকেশন দেখা দিতে পারে। উচ্চতা বেশি হলে শরীরে গ্লুকোজের মাত্রাও ঠিক থাকে গর্ভাবস্থায়।