জীবনধারায় কিছু পরিবর্তন, চুলের যত্ন, স্বাস্থ্যকর অভ্যাস এবং সুষম খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে আপনি থাকবেন খুশকিমুক্ত।
খুশকির জন্য সর্বাধিক সাধারণ চিকিৎসা হলো চুল ও মাথার ত্বকের উপযোগী শ্যাম্পু ব্যবহার করা। হালকা খুশকির জন্য নিয়মিত হালকা, নন-মেডিকেটেড শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। যদি কাজ না হয়, মেডিকেটেড শ্যাম্পু ব্যবহার করা যেতে পারে।
চুলে জেল, হেয়ার স্প্রে-এর মতো স্টাইলিং পণ্য ব্যবহার বন্ধ করুন। এগুলো মাথার ত্বককে শুষ্ক করে তোলে। চুলের রং করতে হলে হেনার মতো প্রাকৃতিক বিকল্প উপকারে আসতে পারে।
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খুশকি দূর করতে শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। যদি তাতে কাজ না হয় তবে অন্যান্য উপায় নিয়েও চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
খুশকি নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত ব্যায়াম করুন। গ্রহণ করুন স্বাস্থ্যকর সুষম খাবার।
প্রথমে সপ্তাহে একবার অ্যান্টি ডানড্রাফ ট্রিটমেন্ট শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। তাতে কাজ না হলে সপ্তায় একাধিকবার ব্যবহার করুন।
দস্তা, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খান। সুষম খাবার বিশেষ করে তাজা ফল ও সবজির মতো সুষম খাবার গ্রহণ করুন। প্রাকৃতিক সালফার সমৃদ্ধ খাবার খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন। বাঁধাকপি, ডিম, পেঁয়াজ ইত্যাদি এ ধরনের খাবারের মধ্যে পড়ে।
প্রত্যেকবার চুল ধোয়ার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। চুলের ধরন অনুযায়ী কারো হালকা কন্ডিশনার, কারো ঘন কন্ডিশনার প্রয়োজন হতে পারে।
মানসিক ও শারীরিক চাপ কমাতে মেডিটেশন ও ইয়োগা অনুশীলন করুন। এটি আপনার শারীরিক স্বাস্থ্য ও চুলে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
খুশকি হয় মূলত মাথার ত্বকের শুষ্কতা এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে। সুতরাং, আপনার খাদ্যাভ্যাস, জীবনধারা এবং স্বাস্থ্যবিধিতে কিছু পরিবর্তন চুলের অবস্থায় উন্নতি আনতে পারে।
সূত্র : এনডিটিভি