Wednesday, April 24
Shadow

বেদানার উপকারগুলো জানলে রোজই খাবেন

বেদানার উপকারগুলো জানলে রোজই খাবেন

বিজ্ঞান বলছে সুস্বাদু এই ফলটিকে যদি রোজের ডায়েটে রাখতে পারেন, তাহলে কোনও দিন হাসপাতালের মুখে দেখতে হয় না। কেন জানেন…?

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-টিউমার প্রপাটিজে পরিপূর্ণ এই ফলটি প্রতিদিন খাওয়া শুরু করলে দেহের রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থা এতটাই শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে ক্যান্সারের মতো রোগ দূরে থাকতেও বাধ্য হয়।

বেদানা আদৌ কতটা উপকারি, এই উত্তর জানতে নানা সময় নানা গবেষণা হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেখা গেছে এই রক্তিম ফলটির ভেতরে থাকা নানাবিধ উপকারি উপাদান সারা শরীরে অক্সিডেন সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বাড়িয়ে দিয়ে মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত শরীরে প্রতিটি অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা নিয়ে থাকে। সেই সঙ্গে ত্বককে সুন্দর করে তুলতেও সাহা্য্য করে। তবে এখানেই শেষ নয়, আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিকাল নিউট্রিশন অনুসারে নিয়মিত বেদান খাওয়া শুরু করলে…

 

. নানাবিধ পেটের রোগ দূর হয়:

শীত মানেই মাত্রা ছাড়া খাওয়া-দাওয়া। মাঝে মাঝে অতিরিক্ত খাবারের কারণে পেট ব্যথা হয়ে যায়। এমন হলে একটি বেদনা খেয়ে দেখবেন কষ্ট কমে যাবে। কারণ বেদানর ভেতর থাকা একাধিক উপকারি উপাদান স্টমাকের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতার উন্নতিতেও সাহায্য করে।  বেদানার পাতা দিয়ে বানানো চা খেলেও এক্ষেত্রে দারুন উপকারি পাওয়া যায়।

 

. হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ায়:

প্রতিদিনের ডায়েটে এই ফলটিকে রাখলে সারা শরীরে রক্তের প্রবাহ মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে কমে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের মতো মরণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও। বেদানার শরীরে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও নানাভাবে হার্টের খেয়াল রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

 

. ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে:

বেদানায় ফ্লেবোনয়েড নামক একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা রক্তে উপস্থিত ক্যান্সার সৃষ্টিকারি টক্সিক উপাদানদের শরীর থেকে বের করে দেয়। ফলে কোনও ভাবেই দেহের ভেতর ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা থাকে না। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে প্রস্টেট এবং ব্রেস্ট ক্যান্সারকে দূরে রাখতেও এই ফলটি নানাভাবে সাহায্য করে থাকে।

 

. দাঁতের দেখভালে কাজে আসে:

অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল প্রপাটিজে পরিপূর্ণ এই ফলটি খাওয়া মাত্র মুখ গহ্বরের ভেতর উপস্থিত ক্ষতিকর জীবাণুরা সব মরে যায়। ফলে ক্যাভিটির মতো সমস্যা হওয়ার আশঙ্কাও কমে।

 

. জয়েন্টের সচলতা বাড়ায়:

শরীরে যখন ক্যালসিয়ামের মাত্রা কমতে শুরু করে তখন এমন কিছু ক্ষতিকর এনজাইমের ক্ষরণ বেড়ে যায় যে জয়েন্টের সচলতা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে হাড় এত মাত্রায় দুর্বল হয়ে পরে যে অস্টিওআর্থ্রাইটিস মতো রোগ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। এক্ষেত্রেও কিন্তু বেদানা নানাভাবে কাজে আসে। কীভাবে? যে এনজাইমের কারণে হাড়ের ক্ষয় হতে থাকে, তার ক্ষরণ কমিয়ে দিয়ে আর্থ্রাইটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমাতে এই ফলটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!

error: Content is protected !!