হোটেলের শৌচাগারে লুকিয়ে রাখা ছিল গোপন ক্যামেরায় । সেই ক্যামেরাতেই এক আবাসিকের নগ্ন অবস্থায় স্নান করার ভিডিয়ো রেকর্ড করা হয়। তার পর ওই তরুণীর নাম দিয়ে সেই ফুটেজ ছড়িয়ে দেওয়া হল বিভিন্ন পর্নোগ্রাফিক সাইটে। তিন বছর পর সেই ভিডিয়ো দেখে হিল্টন হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতি এবং মানসিক যন্ত্রণা দেওয়ার অভিযোগ আনলেন শিকাগোর এক তরুণী। একই সঙ্গে হিল্টন হোটেলের কাছে দশ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণও চেয়েছেন তিনি।
২০১৫ সালের জুলাইয়ে নিউইয়র্কের অ্যালবানিতে হিল্টন হোটেল গোষ্ঠীর হ্যাম্পটন ইন হোটেলে অতিথি হিসেবে উঠেছিলেন শিকাগোর ওই তরুণী। নিউইয়র্কে একটি পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন তিনি। সেই কারণেই হোটেলে থাকতে হয়েছিল তাঁকে।যদিও স্নান করার সময় সেখানে যে তাঁর ভিডিয়ো রেকর্ডিং করা হয়েছিল, তা প্রথম তিন বছর টের পাননি তিনি।
তিন বছর পরে, ২০১৮ সালে তাঁর কাছে একটি ই-মেল আসে। সেখানে লেখা ছিল, ‘এই ভিডিয়ো কি আপনার?’সঙ্গে দেওয়া ছিল একটি পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইটের লিঙ্ক। শুধু তাই নয়, সেই লিঙ্কে দেওয়া ছিল তাঁর পুরো নামও। এর পর থেকে ওই ব্যক্তি নিয়মিত উত্যক্ত করতে থাকেন ওই তরুণীকে। চলছিল ব্ল্যাকমেল করার চেষ্টা।এখানেই না থেমে ওই তরুণীর বিভিন্ন আত্মীয়-পরিজনদের কাছেওওই ব্যক্তি একের পর এক ভিডিয়ো পাঠানো শুরু করেন। দিশাহারা অবস্থায় তরুণী ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বড় অঙ্কের টাকা দাবি করে। একই সঙ্গে তিনি জানান, হোটেলের ওই শৌচাগারে স্নান করা আরও অনেকের ভিডিয়ো রেকর্ডিং আছে তাঁর কাছে। পুলিশের কাছে নিজের অভিযোগপত্রে পুরো ঘটনাটি জানিয়েছেন ওই তরুণী।
গোপন ক্যামেরায়
ঘটনাটি জানার পর স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছেন হিল্টন হোটেল কর্তৃপক্ষ। যদিও হোটেলে কোনও গোপন ক্যামেরা থাকার কথা অস্বীকার করেছে তারা। একটি বিবৃতিতে হোটেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, অতিথিদের সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে তাঁরা অত্যন্ত যত্নশীল। কিছু দিন আগেই ওই হোটেলটিতে আগাগোড়া মেরামতির কাজ হয়েছে।তাঁদের কর্মীরা তখন কোনও ক্যামেরা খুঁজে পাননি বলেও জানানো হয়। এই বিবৃতি দেওয়ার পাশাপাশি দোষীকে খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে হোটেল কর্তৃপক্ষের তরফে দেওয়া হয়েছে সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস।