কাঁধ বা ঘাড় ব্যথা আপনার জীবনের কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে। সারা দিন কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকতে থাকতে কখন কীভাবে ঘাড় ব্যথা সৃষ্টি হচ্ছে হয়তো বুঝতেই পারছেন না। এভাবেই দিনের পর দিন পার হয়ে যায়, কিন্তু ঘাড় ব্যথার কোনো চিকিৎসাই করা হয় না।
ধীরে ধীরে এই ব্যথা আরও বাড়তেই থাকে। সময়মতো চিকিৎসার জন্য বিস্তারিত পড়ুন-
ঘাড় ব্যথা নিয়ন্ত্রণের ৫টি উপায়
বরফ ব্যবহার করুন অথবা গরম শেক দিন
একটি প্লাস্টিকের ব্যাগের মধ্যে কয়েক টুকরা বরফ নিয়ে ব্যথাস্থলে ১০-১৫ মিনিট চেপে রাখুন। এভাবে কয়েক দিন ব্যবহার করলেই ব্যথা কমে যাবে।
বরফের মতো ব্যথাস্থলে গরম শেক দিলেও ব্যথা কমে যায়। একটি হট ওয়াটার ব্যাগে হালকা গরম পানি নিয়ে ব্যথার স্থানে ১০-১৫ মিনিট চেপে ধরে রাখুন।
চাপ দেওয়া
হয়তো অনেককেই বলতে শুনে থাকবেন, “ব্যথার উপর ব্যথা দিলে ব্যথা কমে যায়”। এটা সেরকমই একটা বিষয়। ব্যথার স্থানে চাপ প্রয়োগ বা মাসাজ করতে থাকলে ব্যথা কমে আসে। তবে এক্ষেত্রে কোনো পেশাদার ব্যক্তিকে নিয়োগ করাই শ্রেয়।
হলুদ
২ টেবিল চামচ হলুদের গুঁড়ার সাথে ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে ব্যথাস্থলে লাগিয়ে রাখুন। এসময় আলতোভাবে মাসাজ করতে পারেন। অথবা ১ গ্লাস গরম দুধের সাথে ১ চা চামচ হলুদ ও মধু মিশিয়ে দিনে ২ বার পান করুন।
আদা চা
দিনে ২-৩ কাপ আদা চা পান করতে পারেন। আদায় ইনফ্লামেশনরোধী উপাদান থাকায় এটি ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
অ্যাপল সিডার ভিনেগার
এক বালতি পানিতে ২ কাপ অ্যাপল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে ২০-৩০ মিনিট রাখুন। এরপর ওই পানি দিয়ে গোসল করে নিন।
অথবা এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ১ টেবিল চামচ অ্যাপল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে দিনে ২ বার পান করুন।