class="post-template-default single single-post postid-405 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

চাইনিজ খাবার সম্পর্কে এই কথাগুলো জানতেন?

প্রায় সকলেই ভালবাসেন চাইনিজ খেতে। বাঙালিদের চাইনিজের প্রতি আকর্ষণের কারণে কলকাতার বিভিন্ন অলিতে-গলিতে গড়ে উঠেছে নানা চাইনিজ রেস্তোরাঁ। এ ছাড়াও রয়েছে চিনাপট্টি আর টেরিটি বাজারের বিখ্যাত চাইনিজ খাবার।

food

নিয়মিতভাবে এই খাবার খেলেও চাইনিজ খাবার আসলে ঠিক কেমন, তার স্বাদ কেমন, কী ভাবে খাওয়া হয়— তার প্রায় কিছুই আমরা জানি না। চাইনিজ খাবার সম্পর্কে এমনই কিছু অজানা তথ্য আজ আমরা জেনে নিই।

স্যুপ:

আমরা যখন চাইনিজ রেস্তোরাঁয়  খেতে যাই তখন স্যুপ দিয়েই খাওয়া শুরু করি। স্যুপটা মোটেও চাইনিজদের কাছে অ্যাপিটাইজার নয়। এটি তারা মেন কোর্স হিসেবেই খেয়ে থাকে।

 

নিরামিষ:

আপনি যদি ভেবে থাকেন চাইনিজ খাবারের মধ্যে নিরামিষ খাওয়ার সুযোগ নেই তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। এর কারণ চাইনিজরা পশ্চিমাদের তুলনায় অনেক বেশি সবজি খেতে পারে। চিনারা প্রচুর পরিমাণে তেতো শশা, বিভিন্ন রকম শাকের ফলন হয়ে থাকে। যার সবই রান্নায় ব্যবহৃত হয়।

বাইট সাইজ:

চাইনিজরা সব কিছুই  তৈরি করেন বাইট সাইজ আকৃতির। যা সহজেই চপস্টিকের সাহায্যে  খাওয়া যায়। খাওয়ার সময় চিনারা ছুরি বা কাঁটা ব্যবহার করেন না। তাদের কাছে ওগুলো অস্ত্র।

চাল ও ময়দা:

চাল ও ময়দার পার্থক্য নিয়ে চিনারা খুবই সচেতন। শীত বেশি পড়ে সাধারণত উত্তর চিনে। সেসব অঞ্চলের মানুষেরা তাই ডাম্পলিং, নুডলস সবই ময়দা দিয়ে তৈরি করেন। অপরদিকে দক্ষিণ চিনে শীত কম পড়ে। তাই সেই  অঞ্চলের মানুষেরা তাদের মিল তৈরি করেন মূলত চাল দিয়ে।

হাড়সমেত মাংস:

রেস্তোরাঁয়  গিয়ে আমরা বোনলেস চাইনিজ খাবারের অর্ডার করলেও মূলত চিনারা তার থেকে কিছু ফেলেন না। হাড়সমেত মাংস খাওয়ার রীতি রয়েছে চিনে। তারা মাংস এমনভাবে রান্না করেন যাতে হাড় নরম হয়ে যায় ও তা চিবিয়ে খাওয়া যায়।

ফরচুন কুকি:

শুধুমাত্র চিন ছাড়া বিশ্বের চাইনিজ রেস্তোরাঁ গুলোতে খাবারের পর ফরচুন কুকি দেওয়া হয়। কারণ ফরচুন কুকির ব্যাপারে চাইনিজরা কিছু জানেন না। সান ফ্রান্সিসকোতে ১৯৯০ সালে প্রথম ফরচুন কুকির চল শুরু হয়।

ফ্লেভার:

প্রচুর ফ্লেভার রয়েছে চাইনিজ খাবারের মধ্যে। চাইনিজ মেডিসিনের মতে যেকোন খাবারের মধ্যে মিষ্টি, টক, নোনতা, তেতো ও ঝাল এই পাঁচ স্বাদের সমতা থাকা প্রয়োজন। সিজুয়ান চাইনিজে ঝালের মাত্রা বেশি থাকে, আবার ক্যান্টোনিজ খাবারে ঝাল, মশলার মাত্রা থাকে একেবারেই কম।

রান্নার পদ্ধতি:

একই খাবার চিনে বিভিন্ন ভাবে তৈরি করা হয়। চিকেন স্টিমড, ফ্রায়েড, স্টার ফ্রায়েড, পিকলড ইন ব্রাইন, ডিপ ফ্রায়েড, রোস্টেড, নানা ভাবে রান্না করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!