class="post-template-default single single-post postid-18126 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

এ্যাপোলো হাসপাতালের পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরীর পরামর্শ : জ্বর হলে খাবারদাবার

শিশুরোগ জ্বরে

এ্যাপোলো হাসপাতালের পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরীর পরামর্শ : জ্বর হলে খাবারদাবার

জ্বরের সময় খাবারে যথেষ্ট অরুচি থাকে। কিন্তু জ্বর কমাতে বা নিয়ন্ত্রণে আনতে  কিছু খাবার দারুণ কার্যকর। এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন এ্যাপোলো হসপিটালস্, ঢাকার প্রধান পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরী

 

তরল খাবার

জ্বরের সময় শরীর দ্রুত পানিশূন্য হয়ে পড়ে বলে তরল খাবার হজমে সহায়তা করতে, তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে, পানিশূন্যতা রোধ ইত্যাদিতে ভালো কাজ করে। তাই এ সময় অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি পানি পান করা উচিত। পানি ছাড়া তরল খাবার হিসেবে যা যা খেতে পারেন তা হলো—

ফলের রস :  বিশেষ করে ভিটামিন ‘সি’যুক্ত লেবু, আনারস, কমলা, মালটার মতো টকজাতীয় ফলের রস বেশ উপকারী। দিনে দুই থেকে তিনবার এসব ফলের রস পান করা সম্ভব হলে তা তাত্ক্ষণিক শক্তি জোগানোসহ জ্বরের সংক্রমণের বিরুদ্ধে সাহায্য করে।

চিকেন স্যুপ : জ্বর হলে শরীরের বিপাকক্রিয়া বাড়ে, প্রয়োজন হয় বাড়তি ক্যালরির। এ সময় তাই প্রোটিনের ভূমিকা অনেক। কিন্তু মাছ-মাংসের মতো প্রোটিন তখন চিবিয়ে খেতে চান না অনেকে। পুষ্টি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দ্রুত আরোগ্য লাভে চিকেন স্যুপ বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে ভাইরাল ফ্লুর বিরুদ্ধে। এর সঙ্গে সবজি মেশালে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়।

সবজির স্যুপ :  যেহেতু জ্বরে অরুচি থাকে, তাই অনেকেই সঠিকমতো খাবার খেতে পারে না। আবার অনেকে খাবার হজমও করতে পারে না। তাই দেখা যায়, দৈনিক সবজির চাহিদা পূরণ করতে রোগীরা ব্যর্থ হয়। এ ক্ষেত্রে সবজির স্যুপ বিকল্প হিসেবে কাজে আসে। সবজি ভালোমতো সিদ্ধ করে ছেঁকে তার সঙ্গে যদি আদা যোগ করা হয়, তবে সেই পানিও রোগীর জন্য অনেক উপকারী।

লাল চা : সর্দি-কাশিজনিত জ্বরে লাল চা বেশ উপকারী। সবচেয়ে ভালো হয় আদা, লং, এলাচ পানির সঙ্গে ফুটিয়ে অর্ধেক করে এর সঙ্গে লেবু ও মধু মিশিয়ে খেলে। এ ছাড়া পান করা যেতে পারে তুলসী চা। এ ছাড়া খেতে পারেন গ্রিন টি।

 

নরম খাবার

জ্বরের সময় প্রচুর দৈনন্দিন খাবার একটু নরম বা অর্ধতরল করে খাওয়াতে পারলে ভালো। এসব খাবার বেশি চিবোতে হয় না বলে সহজে গেলা যায়। হজমও হয় সহজে। নরম ও পাতলা মুগডালের খিচুড়ি, জাউভাত, সুজি, সাগু, পুডিং, নরম ও কাঁটা ছাড়া মাছ ইত্যাদি রোগীকে দেওয়া যেতে পারে।

 

যা খাবেন না

জ্বরের রোগীদের জন্য উপকারী খাবারের পাশাপাশি অপকারী কিছু খাবার আছে, যা ওই সময় এড়িয়ে চলা উচিত। যেমন—ফাস্ট ফুড, তৈলাক্ত ও ভাজাপোড়া, গুরুপাক খাবার, সালাদ ইত্যাদি।

►     শক্ত খাবার, দুধ চা, কফি, কোল্ড ড্রিংস ইত্যাদি না খাওয়াই ভালো। কেননা এসব খাবার শুধু হজমেই অসুবিধা করে না;  বরং দ্রুত আরোগ্য লাভের ক্ষেত্রে বাধা প্রদান করে।

https://www.youtube.com/watch?v=wfEPaBfx6p4

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!