Monday, April 14

পিজি হাসপাতালের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডা. ফরিদ উদ্দিনের পরামর্শ : ডায়াবেটিস রোগীর স্বাভাবিক জীবনযাপন

ডায়াবেটিস

ডায়াবেটিস রোগীর জন্য

সচেতন হলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রেখেও প্রায় স্বাভাবিক জীবন যাপন করা যায়। পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও কোর্স কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ডা. ফরিদ উদ্দিন

সুস্থ মানুষের চেয়ে ডায়াবেটিস রোগীদের সব কিছুতেই ঝুঁকি একটু বেশি থাকে। তাই সুস্থতার জন্য তাদের নিজেদের সম্পর্কে একটু বাড়তি যত্নবান হওয়া আবশ্যক। তাই কিছু করণীয় হলো—

♦ খাবারদাবারে নিয়ম মেনে পরিমিত সুষম খাবার গ্রহণ করুন। চিনি, মিষ্টিযুক্ত খাবার পরিহার করুন। শাকসবজি ও আঁশজাতীয় খাবার খান।

♦ ক্যালরিবহুল খাবার, যেমন তেল-চর্বিযুক্ত খাবার (তেল, ঘি, মাখন, ডালডা, চর্বি, ডিমের কুসুম, মগজ ইত্যাদি) কম খান।

♦ শর্করাবহুল খাবারগুলো (চাল, আটা ইত্যাদি দিয়ে তৈরি খাবার) কিছুটা হিসাব করে খান। শাকসবজি, ফলমূল বেশি খান।

♦ ফাস্ট ফুড ও কোল্ড ড্রিংকস পরিহার করে প্রতিদিন পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি পান করুন।

♦ ধূমপানসহ সব ধরনের তামাক বর্জন করুন। অ্যালকোহল মোটেই নয়।

♦ প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট করে সপ্তাহে ১৫০ মিনিট দ্রুত পায়ে হাঁটুন। সাইকেল চালান, সাঁতার কাটুন কিংবা সিঁড়ি ভাঙুন। মনে রাখবেন, রক্তের গ্লুকোজগুলো পোড়াতে হবে কাজের মাধ্যমেই।

♦ একটানা বেশি সময় বসে কাজ করা নয়, কাজের ফাঁকে উঠে দাঁড়ান, পায়চারী করুন।

♦ উচ্চতা অনুযায়ী ওজন স্বাভাবিক মাত্রায় রাখুন। মেদভুঁড়ি যেন না বাড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখুন।

♦ বিষণ্নতা ডায়াবেটিস বাড়ায়, তাই মনকে প্রফুল্ল বা মানসিক চাপমুক্ত রাখার চেষ্টা করুন।

♦ খাওয়ার ওষুধ বা ইনসুলিন—যা-ই হোক, চিকিৎসা নিয়মিত চালাবেন। রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে থাকলে শরীরের সব অঙ্গই ঠিক থাকবে।

♦ নিয়মিত কিছু কায়িক পরিশ্রম বা ব্যায়াম করতে হবে।

♦ নিয়মিত রক্ত বা প্রস্রাবে সুগারের মাত্রা মেপে দেখতে হবে এবং কমবেশি হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

♦ পায়ের বিশেষ যত্ন নিতে হবে, যেমন—খালি পায়ে হাঁটা যাবে না, নরম জুতা পরতে হবে, নিয়মিত নখ কাটতে হবে, সব সময় পা পরিষ্কার রাখতে হবে, কোনো আঘাত পেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

♦ দাঁতের যত্ন নিতে দুই বেলা ব্রাশ ও টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত মাজা, ব্রাশ করার পর ১ মিনিট ধরে দাঁতের মাড়ি মালিশ করা উচিত। তা ছাড়া পান, জর্দা, সুপারি, চুন, তামাক—এসব ব্যবহার না করাই ভালো। দাঁতে কোনো সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে এবং প্রতিবছর কমপক্ষে একবার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

♦ শরীরে কোনো ছোটখাটো কাটাছেঁড়া হলেও চিকিৎসককে জানাতে হবে এবং তার প্রতি বিশেষ যত্নবান হতে হবে।

♦ ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া এ রোগের চিকিৎসা কখনোই বন্ধ রাখা যাবে না।

https://www.youtube.com/watch?v=wfEPaBfx6p4

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *