class="post-template-default single single-post postid-45590 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

ড্রিম লেডি পেঁপের চাষ পদ্ধতি

ড্রিম লেডি পেঁপের চাষ পদ্ধতিড্রিম লেডি পেঁপের চাষ পদ্ধতি জেনে নিন । ড্রিম লেডি জাতটি একটি অধিক উৎপাদনশীল, হাইব্রিড বামন প্রজাতির পেঁপের জাত, যা বাংলাদেশের আবহাওয়াতে চাষ উপযোগী। বাংলাদেশের অনেক স্থানে এর চাষ হচ্ছে। বিশেষ করে পাহাড়ি অঞ্চলসহ বরেন্দ্র অঞ্চল ও উপকূলবর্তী জেলা সমূহে ফলন খুবই ভালো হচ্ছে।

 

চারার হার

হেক্টর প্রতি ৩০০০-৩২০০টি চারা ।

 

চারা সংগ্রহ

১.৫ থেকে ২ মাস বয়সী রোগমুক্ত সুস্থ সবল চারা সংগ্রহ করতে হবে।

 

ড্রিম লেডি পেঁপের চাষ পদ্ধতি : চারা রোপনের সময়

বর্ষাকাল ছাড়া সারা বছরই পেঁপের চারা লাগানো যায় তবে অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি চারা লাগানোর উত্তম সময় । তবে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের জন্য আগাম রোপন অধিক লাভজনক ।

 

ড্রিম লেডি পেঁপের চাষ : বৈশিষ্ট্য

  • এটি  উচ্চ ফলনশীল বামন প্রজাতির হাইব্রিড পেঁপে।
  • মাটির উর্বরতা অনুসারে গাছের উচ্চতা দেড় থেকে তিন ফুট হলে ফল ধরা শুরু হয়।
  • ড্রিম লেডি জাতের প্রত্যেকটি গাছে পেঁপে ধরে। এই জাতের গাছে পুরুষ হয় না।
  • ড্রিম লেডি জাতের পেঁপে গাছ সর্বোচ্চ ৮-১০ ফুট হয়।
  • এই জাতের পেঁপে আকারে বেশ বড় হয়।
  • ১৫০থেকে ১৮০দিরে মধ্য ফুল আসে এবং প্রথম ফল পাওয়া যায় ২১০থেকে ২৪০দিনের মধ্য।
  • প্রতিটি গাছে ৬০-১৫০টি পর্যন্ত ফল ধরে।
  • এ জাতের পেঁপে কাঁচা অবস্থায় সবুজ রঙের হয় এবং পাকলে হলুদ হয়।
  • এক একটি ফলের ওজন দেড় থেকে আড়াই কেজি হয়।
  • ফলের মাংস বেশ পুরু, হলুদ রঙের, স্বাদে হালকা মিষ্টি ও সুগন্ধিযুক্ত।
  • কাঁচা ও পাকা উভয়ভাবে বাজারজাত করা যায়। তবে এই জাতের পেঁপে সবজির জন্য বেশি উপযোগী।
  • এই জাতের পেঁপে রিং স্পট, মোজাইক ও অন্যান্য ভাইরাস রোগ সহনশীল।
  • এই জাতের পেঁপের জীবনকাল ২ বছরের অধিক।

 

সার ব্যবস্থাপনা

চারা লাগানোর পর নতুন পাতা আসলে ইউরিয়া ও এমপি সার ৫০ গ্রাম করে প্রতি ১ মাস অন্তর প্রয়োগ করতে হবে। গাছে ফুল আসলে এ মাত্রা দ্বিগুণ হবে। শেষ ফল সংগ্রহের আগেও সার দিতে হবে।

 

ড্রিম লেডি পেঁপে চাষ : গাছের পরিচর্যা

বাগান সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। গাছের গোড়া থেকে আগাছা তুলে ফেলে দিতে হবে। গাছের গোড়ার মাটি কোদাল দিয়ে হালকা করে দিতে হবে। গাছে অতিরিক্ত ফল ধরলে কিছু ফল ছিড়ে নিয়ে হালকা করে দিলে, ফলে বাকি ফল গুলো বড় হওয়ার সুযোগ পাবে। পেঁপে গাছে বিভিন্ন হরমোন প্রয়োগ করে বেশ সুফল পাওয়া যায়।

 

ফল সংগ্রহ

পেঁপে গাছে সাধারণত ৫-৬ মাসের মধ্য ফুল আসে এবং প্রথম ফল পাওয়া যায় ৭-৯ মাসের মধ্যে। পুষ্ট হওয়ার সময় কোন কোন ফলে হলুদ রং ধারণ করবে। পুষ্ট ফলে কিছু দিয়ে খোচা দিলে ফল থেকে পানির মতো তরল আঠা বের হবে। অপুষ্ট ফল থেকে দুধের মতো ঘন আঠা বের হবে।

ফলন

  • ড্রিম লেডি জাতের প্রতিটি পেঁপে গাছ থেকে প্রায় ৬০-১৬০টি ফল পাওয়া যায়।
  • ক্লাইমেন্ট স্মার্ট কৃষি দিচ্ছে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে, পলি হাউস ও নেট হাউসের মধ্যে কোকো পিটের মাধ্যমে মাটির স্পর্শ ছাড়া উৎপাদিত, ১০০% শিকড় যুক্ত সুস্থ ও সবল, অধিক উৎপাদনশীল হাইব্রিড জাতের পেঁপের চারা।

 

পেঁপে চাষ , পেঁপে চাষে লাভ কেমন , পেঁপে চাষ কীভাবে করতে হয় ,  ড্রিম লেডি পেঁপে , হাইব্রিড পেঁপে চারার দাম , হাইব্রিড জাতের পেঁপের চাষ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!