class="post-template-default single single-post postid-21124 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

নেটওয়ার্কিং কী ও কর্মজীবনে এর গুরুত্ব

বিভিন্ন রকম মানুষের সাথে সম্পর্ক গড়তে আমাদের যে দক্ষতাটির প্রয়োজন সেটিই হচ্ছে নেটওয়ার্কিং। এই দক্ষতাটি বিভিন্ন মানুষের সাথে আমাদের সম্পর্কের যেভাবে উন্নতি সাধন করে, ঠিক তেমনিভাবে নিজেদের যেকোনো দরকারেই আমাদের কাছে এনে দেয় অজস্র মানুষকে।

নেটওয়ার্কিংয়ের গুরুত্ব আমাদের ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা কর্মজীবন- প্রতিটি ক্ষেত্রেই রয়েছে। কর্মজীবনে নেটওয়ার্কিংয়ের গুরুত্ব নিয়ে আমাদের এ আর্টিকেলটি। চলুন জেনে নিই কর্মক্ষেত্রে কী কী গুরুত্ব রয়েছে নেটওয়ার্কিংয়ের:

  • এমন ঘটনা অনেক সময়েই ঘটে যে, কোন একটি কোম্পানিতে খুব কম সংখ্যক পদ শূন্য রয়েছে এবং সেখানে কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হবে। তো সেক্ষেত্রে কিন্তু আর বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় না চাকরির জন্য। এসকল ক্ষেত্রে যেটি করা হয়, তা হচ্ছে পরিচিতদের মধ্য থেকে যে দক্ষ ঐ পদটির জন্য তার সাথে যোগাযোগ করা হয় এবং  যোগ্যতার যাচাইয়ে উতরে গেলে সেই ব্যক্তিটি চাকরিটি পেয়ে যায়। বিষয়টি তাই পরিষ্কার যে, নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে সঠিক ও যোগ্য লোকদের সাথে যুক্ত থাকতে পারলে তা চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সম্ভাবনার সৃষ্টি করে।
  • ‌চাকরিজীবনে এমন অনেক সুযোগ আসে,যখন কোন সহকর্মীর সাহায্যের দরকার হয়। নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে সহকর্মীদের সাথে ভালে সম্পর্ক তৈরি করলে কিন্তু খুব সহজেই তাদের কাছ থেকে সহায়তা পাওয়া যায়। এছাড়া অন্য কোন সহকর্মীর দরকারেও কিন্তু সহায়তা করা যায়। এই সহায়তা দেওয়া- নেওয়া সম্পর্ককে আরো বেশি গভীর করে। যার ফলাফল হিসেবে পাওয়া যায় চাকরিতে তুলনামূলক দ্রুত পদোন্নতি থেকে শুরু করে নানা ধরনের সফলতা।
  • ‌কর্মক্ষেত্রে এমন অনেক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যার সমাধান আসলে কোন বই পড়ে পাওয়া যায় না। কিন্তু নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রের অন্য কোন সেক্টরের কারো কাছ থেকে আইডিয়া নিয়ে এসকল সমস্যার সমাধান খুব সহজেই করা যায়। আইডিয়া প্রদানকারী ব্যক্তিটির কিন্তু কোন সময়ে নিজেরও অন্য সেক্টরের কারো কাছ থেকে কোন আইডিয়ার প্রয়োজন হতে পারে। হয়তো পূর্বে আইডিয়া নেওয়া কোন ব্যক্তি এবার আইডিয়া দিয়ে সমস্যাটির সমাধান করতে পারেন। নেটওয়ার্কিং কিন্তু এভাবে আইডিয়ার আদান-প্রদান ঘটিয়ে কঠিন সমস্যার সহজ সমাধান দেয়।
  • ‌নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে যোগ্য ব্যক্তিদের সাথে যুক্ত থাকার ফলে ক্যারিয়ারের নতুন সম্ভাবনার দ্বার যেকোন সময় খুলে যেতে পারে। এটি হয়তো হতে পারে  নতুন কোন চাকরি কিংবা হতে পারে এমন কোন ব্যক্তির সাথে পরিচয়, যা ঘুরিয়ে দিতে পারে ক্যারিয়ারের মোড়। এমনকি নিজের একটি ব্যবসা শুরু করার সুযোগও নিয়ে আসতে পারে জীবনে।
  • ‌নেটওয়ার্কিং এমন কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী তৈরী করে দেয়, যাদের কাছ থেকে পুরো ক্যারিয়ার জুড়েই বিভিন্ন বিষয়ে সহায়তা পাওয়া যায়। হতে পারে সহায়তাটি অভিজ্ঞতা শেয়ারিং কিংবা হতে পারে এমন কোন সাহায্য- যা পরিবর্তন করে দিতে পারে ক্যারিয়ারের গতিপথ।
  • ‌নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে নিজেকে সঠিক ও যোগ্য মানুষদের সাথে যুক্ত রাখতে পারলে নিজের কর্মক্ষেত্র নিয়ে সম্পূর্ণ ধারণা রাখা যায়, অনেক আইডিয়াসমৃদ্ধ থাকা যায়। সাথে সাথে অফিসের প্রতিটি কাজে অনেক বেশি দৃশ্যমান হওয়া যায়- যা এনে দেয় বেতন বৃদ্ধি কিংবা পদোন্নতির সম্ভাবনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!