সাম্প্রতিক সময়ে অনুষ্ঠিত চার ধাপের উপজেলা নির্বাচনে নৌকার প্রতীকের প্রার্থীদের বিরোধিতা করা মন্ত্রী ও দলীয় সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। শিগগিরই ওই সব মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সূচনা বক্তব্যের পর দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে মূলত এ বছরের শেষের দিকে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে সাংগঠনিক তৎপরতার নানা পরিকল্পনা, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ, পহেলা বৈশাখ ও পহেলা মে-তে কর্মসূচি গ্রহণের
বিষয়ে আলোচনা হয়।
আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো জানায়, বৈঠকে উপজেলা নির্বাচনে যেসব মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য নৌকার প্রতীকের প্রার্থীদের বিরোধিতা করেছেন তাঁদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে কাদের এই নোটিশ দেওয়া হবে তা নিয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়নি। এই তালিকায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকসহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী সংসদ সদস্য থাকবেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সভায় সারা দেশের যেসব উপজেলায় মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি রয়েছে সেগুলোর একটি তালিকা দ্রুত তৈরি করার সিদ্ধান্ত হয়। জাতীয় সম্মেলন সামনে রেখে দলের আটটি টিম দেশের আটটি বিভাগে দ্রুত তৃণমূল আওয়ামী লীগের সম্মেলন আয়োজনের উদ্যোগ নেবে। প্রতিটি টিমের নেতৃত্বে থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর একজন সদস্য। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব টিম গঠন করা হবে।
সভায় ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইকরামুল হক টিটুকে দলীয় মনোনয়ন প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়।