বাংলাদেশের পাট পাতায় তৈরি দুরন্ত চা, মজেছে জার্মানি! - Mati News
Saturday, December 13

বাংলাদেশের পাট পাতায় তৈরি দুরন্ত চা, মজেছে জার্মানি!

 পাট পাতায়

বাংলাদেশের পাট পাতায় তৈরি দুরন্ত চা, মজেছে জার্মানি!

সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে জার্মানিতে দুই টন পাট পাতা আমদানি করা হয়েছে। খাদ্যপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জার্মানি বেশ কিছু কড়া নিয়মকানুন মেনে চলে। যাঁরা বাংলাদেশ থেকে পাটের পাতা আনছেন, তাঁরাও সে সব নিয়মকানুন মানার ক্ষেত্রে বেশ সচেতন। কিন্তু কেন? কারণ এই পাট পাতা দিয়ে চা বানাচ্ছে জার্মানি!

স্টুটগার্টে বুধবার এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পাটমন্ত্রীর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল, জার্মানিতে বাংলাদেশের পাটের পাতা দিয়ে চা তৈরি করা এক স্টার্টআপ ও জার্মান বিনিয়োগকারীদের দেখা মিলল। পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী সেই অনুষ্ঠানে আশার কথা শোনালেন।

পাটের সোনালি অতীতের কথা স্মরণ করে তিনি জানিয়েছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের পাট থেকে ব্যাপক মুনাফা করেছিল পশ্চিম পাকিস্তান। যদিও সেই মুনাফার তেমন কোনও সুফল সে সময় বাঙালিরা পায়নি,

বাংলাদেশের পাট পাতায় তৈরি দুরন্ত চা, মজেছে জার্মানি!

তবে পাট পরিচিতি পেয়েছিল সোনালি আঁশ হিসেবে। পরবর্তী সময়ে পলিথিনের প্রসার বাড়লে পাটের চাহিদা কমে যায়। তবে এখন আবার গোটা বিশ্বে পলিথিনবিরোধী আন্দোলন গড়ে ওঠায় পাটের সোনালি দিন ফিরে আসার সম্ভাবনা দেখছেন পাটমন্ত্রী। আর সেই সম্ভাবনার আলোকেই জার্মানি সফর তাঁর।

পাটের নানাবিধ ব্যবহারের একটি হতে পারে পাট পাতা থেকে তৈরি চা। যদিও এটি প্রচলিত অর্থে চা নয়, তবে ‘পাট চা’ নামেই সেটি পরিচিতি পেতে শুরু করেছে। এটি মূলত পাটের পাতা দিয়ে তৈরি বিশেষ এক পানীয় যার নানাবিধ ভেজষ গুণাবলী রয়েছে। জার্মানিতে পাটের চা বাজারজাত করার উদ্যোগ নিয়েছে ‘ইন্টারট্রোপ’ নামের একটি স্টার্টআপ। এক বাংলাদেশি আর দুই জার্মান গড়েছেন এই প্রতিষ্ঠান, যাঁরা পাট নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখছেন।

প্রতিষ্ঠানটির প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্ট মিজানুর রহমান জানালেন, তাঁদের প্রাথমিক লক্ষ্য হচ্ছে জার্মানির ঔষধের দোকানগুলোতে পাটের চা বিক্রি করা। ইতোমধ্যে কিছু দোকানে সেটি বিক্রি শুরুও হয়েছে। চা বিক্রির দোকানগুলোতেও তাঁরা পাটের চা বিক্রির ব্যবস্থা করতে চাইছেন। সেই লক্ষ্যে পাঁচটি ফ্লেভারে পাটের চা প্রস্তুত করেছে ইন্টারট্রোপ।

বলাবাহুল্য, জার্মানিতে ভেজষ চায়ের বেশ বড় বাজার রয়েছে। একজন জার্মান বছরে গড়ে সাড়ে সাতাশ লিটার কালো এবং সবুজ চা পান করেন। ৬৩টি দেশ থেকে চা আমদানি করে ইউরোপের এই দেশটি, যার মধ্যে ভারত শীর্ষস্থানে রয়েছে। ইন্টারট্রোপ আপাতত জার্মানির এই বিশাল বাজারের ০.৫ শতাংশ দখলে নেয়ার লক্ষ্য স্থির করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *