class="post-template-default single single-post postid-1557 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

প্রতিদিন সকালে ডিম খাওয়ার এত গুণ!

ডিম

ডিম একটি পুষ্টিকর খাদ্য। আগে ধারণা করা হতো, বেশি ডিম খাওয়া ভালো না। কারণ ডিমে থাকে অনেক কোলেস্টেরল, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ডিমে যে চর্বি থাকে, তার তিন-চতুর্থাংশই হচ্ছে হার্ট ও রক্তনালির জন্য উপকারী অসম্পৃক্ত চর্বি। সপ্তাহে তিনদিন সকালের নাস্তায় ডিম খাওয়ার রয়েছে নানা উপকারিতা। কী সেই উপকারিতাগুলো তা জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

১. হার্ট ভালো থাকে
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত ডিম খাওয়া শুরু করলে দেহের ভেতরে উপকারি কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে কোনো ভাবেই হার্টের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।

২. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে
ডিমে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, লুটিন এবং জিয়েক্সসেনথিন নামে বেশ কিছু উপকারি উপাদান দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে ছানি হওয়ার আশঙ্কাও কমায়।

৩. শক্তি বৃদ্ধি করে
দিন শুরুর জন্য প্রয়োজন শক্তি। সকালে একটা ডিম সেদ্ধ খেয়ে নিতে হবে। তাহলেই দেখবেন ক্লান্তি তো দূর হবেই, সেই সঙ্গে কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে। আসলে ডিমে উপস্থিত স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান নিমেষে দেহের প্রয়োজনীয় জ্বালানির চাহিদা পূরণ করে। ফলে শরীর হয়ে উঠে চাঙ্গা।

৪. পুষ্টিকর উপাদানের ঘাটতি দূর হয়
প্রতিদিন একটা করে ডিম খাওয়া শুরু করলে দেহের ভেতরে প্রোটিন এবং ভিটামিনের চাহিদা তো মেটেই, সেই সঙ্গে ফসফরাস, সেলেনিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং জিঙ্কের ঘাটতিও দূর হয়। ফলে শরীরে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে না।

৫. ক্ষুধা সহজে মিটে
সকালের নাস্তায় দুটো ডিমের অমলেট বা পোচ খেয়ে দেখুন তো কী হয়! দেখবেন দুপুরের আগে ক্ষিদে পাওয়ার নামই নেবে না।

৬. প্রোটিনের চাহিদা মেটায়
ডিমে উপস্থিত অ্যালবুমিন নামে এক ধরনের প্রোটিন পেশির গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্যও সকাল সকাল ডিম খাওয়াটা জরুরি।

৭. মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
বুদ্ধির জোর বাড়াতে কে না চায়! আপনিও যদি সেই দলে থাকেন, তাহলে রোজ সকালে ডিম খাওয়া শুরু করুন। আসলে ডিমে উপস্থিত বেশ কিছু পুষ্টিকর উপাদান মস্তিষ্কের ক্ষমতা মারাত্মক বাড়িয়ে দেয়। ফলে একদিকে যেমন বুদ্ধির বিকাশ ঘটে, তেমনি স্মৃতিশক্তি এবং মনোযোগও বৃদ্ধি পায়।

৮. ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে
অনেকেই মনে করেন ডিম খেলে ওজন। ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। ডিম খেলে ওজন তো বাড়েই না বরং কমে! পেনিংটন বায়োমেডিকাল রিসার্চ সেন্টারের করা এক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে সকাল সকাল ডিম খেলে দিনের অনেকটা সময় পর্যন্ত ক্ষিদে পায় না। ফলে খাওয়ার পরিমাণ কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে শরীরে মাত্রাতিরিক্ত ক্যালরি জমার সম্ভাবনাও কমে যায়। ফলে স্বাভাবিকবাবেই ওজন কমতে শুরু করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!