সিনেমা নাটকে ব্লাড ক্যান্সার বা লিউকেমিয়া হতে তো অনেকবার দেখেছেন, কিন্তু শুধুমাত্র নিজের আপন কারো হলেই বোঝা যায় এর কষ্ট কতটুকু। ব্লাড ক্যান্সার হওয়ার পরে সুস্থভাবে বেঁচে ফিরে আসার সম্ভাবনা খুবই কম।
কিন্তু ব্লাড ক্যান্সার কি সবার হতে পারে? এবং কারা এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে বেশি থাকে? চলুন জেনে নিই-
ব্লাড ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা যাদের অনেক বেশি
নিম্ললিখিত মানুষের লিউকেমিয়া হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি-
- যদি কোনো ব্যক্তি পূর্বে কোনো ক্যান্সারে আক্রান্ত থাকেন এবং এর চিকিৎসার জন্য কেমোথেরাপি ও রেডিয়েশন থেরাপি নিয়ে থাকেন তবে তার ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়।
- কোনো ধরনের ব্লাড ডিজঅর্ডার (যেমন মাইলোডিস্প্লাস্টিক সিন্ড্রোম) (Myelodysplastic syndromes) থাকলে লিউকেমিয়াতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
- জিনগত অস্বাভাবিকতার কারণে লিউকেমিয়া হতে পারে। কিছু জেনেটিক ডিজঅর্ডার [যেমন- ডাউন সিন্ড্রোমের (Down syndrome)] এর কারণে লিউকেমিয়া হতে পারে।
- যারা রেডিয়েশন বা বিভিন্ন কেমিকেলের সংস্পর্শে বেশি থাকেন তাদের লিউকেমিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
- ধূমপান ও অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণেও লিউকেমিয়া হতে পারে।
- কোনো ব্যক্তির পরিবারের কারো যদি লিউকেমিয়া থাকে তবে তারও এই রোগটি হতে পারে।
লক্ষণ
ব্লাড ক্যান্সার হলে শরীরে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। এগুলো হতে দেখলে সাথে সাথে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। লক্ষণগুলো হলো-
- অবসাদ বা শরীর অত্যন্ত দুর্বল হয়ে যাবে।
- ঘন ঘন জ্বর আসবে।
- মুখে ব্যথা হবে।
- ত্বক ফ্যাকাসে বা বিবর্ণ হয়ে যাবে।
- মাংসপেশী শক্ত হয়ে যাবে।
- মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়বে।