মাছির

মাছির উৎপাতে ম্যাজিকের মতো কাজ করবে এই নিয়ম

ভাল রান্নার মূল তুকটা কী? বেশির ভাগ মানুষই এক উত্তর দেবেন। পরিপাটি, সাজানো গোছানো রান্নাঘরই পারে ভোজনরসিকের সঙ্গে সুবিচার করতে। কিন্তু এক বালতি দুধে এক ফোঁটা চোনার মতো, আপনার সাধের রান্নাঘরটিও মুহূর্তে নষ্ট হয়ে যেতে পারে বেশ কিছু সমস্যার কারণে।

যেমন ধরুন, এই চূড়ান্ত গরমের দুপুরে যদি দেখেন খাবারে মাছি ভনভন করছে, মাথা ঠিক রাখা মুশকিল হয়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যে আপনার প্রিয় জায়গাটা অস্বাস্থ্যকর তো হলই।  খাবারও বিষাক্ত হয়ে যাবে কিছু ক্ষণেই। কিন্তু খালি হাতে একে জব্দ করাও তো সহজ কথা নয়। তাহলে উপায়?

গবেষকরা বলছেন ঘরোয়া মাছি প্রায় ৩৫১ রকম জীবাণু বহন করে। মাছি তার পা, পায়ের পাতা এবং পাখার সাহায্যে এসব ব্যাকটিরিয়া এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় খুব দ্রুত ছড়িয়ে দিতে পারে। খাবারে বসলে সাধারণ পেটের রোগ থেকে বড়  ধরণের বিষক্রিয়াও হতে পারে৷ সুতরাং রান্নাঘরে তার প্রবেশ নিষিদ্ধ করতেই হবে। কী ভাবে সম্ভব? রইল মাছি তাড়ানোর মোক্ষম দাওয়াই।

পুদিনা পাতা দিয়েই মাছিকে জব্দ করুন। ছবি: শাটারস্টক।

  • রান্নাঘরে ছোট পুদিনা পাতার গাছ লাগান। পুদিনা পাতার গন্ধে মাছি পালাবে রান্নাঘর ছেড়ে।
  • রান্নাঘরের কোণগুলিতে ভিনিগার স্প্রে করুন। ভিনিগার মাছির যম।
  • ল্যাভেন্ডার বা লেবুর গন্ধওয়ালা এসেনশিয়াল অয়েল সপ্তাহে এক দিন স্প্রে করলেও মাছি আপনার রান্নাঘর থেকে দূরে থাকবে।
  • দারচিনির তাজা গন্ধে কাজ দেবে ম্যাজিকের মতো। রান্নাঘরের জানলায় দু’টুকরো দারচিনি রাখুন। জানলা থেকেই বিদায় নিতে হবে তাকে।
  • শুকনো কমলালেবুর খোসা শীত কালে ভাল কাজ দেয়।
  • লবঙ্গের গন্ধও মাছি সহ্য করতে পারে না। লবঙ্গ ছড়িয়ে রেখে কাজ হাসিল হতে পারে।
  • সব থেকে ভাল উপায় পুরনো অভ্যেস ফিরিয়ে আনা। রোজ সন্ধেয় ধুনো জ্বালাতে পারলে সব পোকামাকড়ই চম্পট  দেবে। ফল পেতে ধুনোয় কর্পূর ফেলে দিন।

এগুলো তো গেল টোটকা। রোগের প্রকোপ থেকে বাঁচতে প্রয়োজন বাড়তি  সতর্কতাও। কোনও ভাবেই খাবার খোলা রাখা চলবে না। উল্টো ভাবে বললে খোলা জায়গায় রাখা রয়েছে, এমন খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।