Monday, December 23
Shadow

মাছের ক্ষতরোগের লক্ষণ , কারণ ও প্রতিকার

মাছের ক্ষতরোগের লক্ষণ

মাছের ক্ষতরোগের লক্ষণ , কারণ ও প্রতিকার

সাধারণত শোল, গজার, টাকি, পুঁটি, বাইম, কৈ, মেনি, মৃগেল, কার্পিও এবং তলায় বসবাসকারী অন্যান্য প্রজাতির ক্ষতরোগ (ইপিজুটিক আরসারেটিভ সিনড্রোম ) দেখতে পাওয়া যায়।

রোগের লক্ষন কারণ
ক. এ রোগের মুল কারণ এ্যাফানোমাইসিস ইনভাডেনস্ নামক ছত্রাক দ্ধারা মূলতঃ মাছের মাংসপেশী আক্রান্ত হয়। এছাড়া কিছু ব্যবকটিরিয়া, প্রোটোজোয়া সংশ্লিষ্ট আছে বলে জানা যায়। রোগাক্রান্ত হওয়ার পূর্বে পানির গুনাগুনের অবনতি ঘটে, যেমন ঃ

i) হঠাৎ তাপমাত্রার কমতি (১৯° সেঃ এর কম)।
ii) পি, এইচ-এর কমতি (৪-৬)।
iii) এ্যালকালিনিটির কমতি (৪৫-৭৪ পিপিএম)।
iv) হার্ডনেস-এর কমতি (৫০-৮০ পিপিএম)।
v) ক্লোরাইড এর স্বল্পতা (৩-৬ পিপিএম)।

চিকিৎসা ঔষধ প্রয়োগ
ক. নিরাময়ের জন্য ০.০১ পিপিএম চুন ও ০.০১ পিপিএম লবন অথবা ৭-৮ ফুট গভীরতায় প্রতি শতাংশ জলাশয়ে ১ কেজি হারে চুন ও ১ কেজি হারে লবন প্রয়োগ করলে আক্রান্ত মাছগুলো ২ সপ্তাহের মধ্যে আরোগ্য লাভ করে।

প্রতিষেধক/প্রতিকার
ক. আগাম প্রতিকার হিসাবে আশ্বিন কার্তিক মাসে বর্ণিত হারে লবন ও চুনের প্রয়োগ করলে আসন্ন পরবর্তী শীত মৌসুমে মাছের ক্ষত রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে অব্যাহতি পাওয়া যায়।
এছাড়া সিলভারকার্প মাছে ক্ষতরোগ দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে –

রোগের লক্ষনকারণ
ক. উপকূলীয় অঞ্চলে মাছ চাষের পুকুর বন্যায়প্লাবিত হলে ক্লোরাইডের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির (৩০ পিপিএম এর অধিক) ফলে কেবল মাত্র সিলভার কার্প মাছে দ্রুত ক্ষত রোগ দেখা দেয়।

চিকিৎসা ঔষধপ্র য়োগ
ক. আক্রান্ত পুকুরে তিন ভাগের দুই ভাগ পানি মিঠাপানির দ্ধারা পরিবর্তন করা।
খ. প্রতি শতাংশ জলাশয়ে ৩/৪টি হারে চালতা ছেঁচে সারা পুকুরে ছড়িয়ে দিতে হবে।

প্রতিষেধক/প্রতিকার
ক. বর্ণিতহারে চালতা প্রয়েগের ফলে ক্ষতরোগ আক্রান্ত সিলভার কার্প দ্রুত আরোগ্য লাভ করে।
খ. পুকুরকে বন্যামুক্ত রাখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!