class="post-template-default single single-post postid-13037 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

মৃত্যুর পরও মানুষ চারপাশের কথা শুনতে পায়!

মৃত্যুরহৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে গেলে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনও বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু, তা হতে বেশ খানিকটা সময় লাগে। ততক্ষণ পর্যন্ত ‘মৃত’ মানুষটির মস্তিষ্ক সজাগ থাকে।

নিউ ইয়র্কের ‘স্টোনি ব্রুক ইউনিভারসিটি স্কুল অফ মেডিসিন’ এর গবেষকরা জানিয়েছেন, হৃদযন্ত্রটি বন্ধ হয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা দেন। কিন্তু ‘মৃত’ ব্যক্তি আর কিছুক্ষণ বুঝতে ও শুনতে পান চারপাশের কথাবার্তা-আওয়াজ। কেননা, মৃত ব্যক্তির মস্তিষ্ক তখনও সজাগ। মৃত্যুর পর এমনই হয় জানান গবেষকরা।

সাধারণত, যখন কোন মানুষের হৃদযন্ত্র কাজ করা বন্ধ করে দেয়, তখনই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এবং হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে গেলে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনও বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু, তা হতে বেশ খানিকটা সময় লাগে। ততক্ষণ পর্যন্ত ‘মৃত’ মানুষটির মস্তিষ্ক সজাগ থাকে। তার পাশের মানুষজন কি কথা বলছে, সবই গ্রহণ করে তার মস্তিষ্ক।

কিন্তু, কতক্ষণ পর্যন্ত মস্তিষ্ক কাজ চালিয়ে যায় তা নিয়ে দুইটি মত পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে একদল চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা মত দেন এটি ৭ মিনিট। আরেকটি দল বলছেন এটি ১০ মিনিট। এই দলের সবাই একমত হয়েছেন যে ১০ মিনিটের বেশি মস্তিষ্ক সজাগ থাকে না।

এদিকে বলা হয়ে থাকে, কোন মানুষ যদি মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন, তাহলে সেই কথোপকথন পুরোটাই তার মনে থেকে যায়।

আর চিকিৎসাশাস্ত্রে এই ফিরে আসাকে বলা হয় ‘নিয়ার ডেথ এক্সপিরিয়েন্স’ (এনডিই)। এটার একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ অনিতা মুর্জানি। যিনি ৩০ দিন কোমায় থাকার পরে ফিরে এসেছিলেন সুস্থ জীবনে। তার সেই অনুভূতি ব্যক্ত হয়েছিল ‘ডাইং টু বি মি’ বইটিতে।

নিউ ইয়র্কের গবেষক দলের প্রধান স্যাম পার্নিয়া সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মৃত্যুর এত কাছ থেকে ফিরে আসা মানুষজনের মধ্যে এক অদ্ভুত পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। তারা ব্যক্তিজীবনে অনেক বেশি পজেটিভ হয়ে যায়। অন্য মানুষের প্রতি অনেক বেশি সংবেদনশীলও হয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। বলে জানিয়েছেন ওই গবেষকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!