Monday, December 23
Shadow

ল্যাবএইড হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ডা. আমজাদ হোসেনের পরামর্শ : ককসিডাইনিয়া : মেরুদণ্ডের শেষ প্রান্তে ব্যথা

মেরুদণ্ডের ব্যথা

ককসিডাইনিয়া : মেরুদণ্ডের শেষ প্রান্তে ব্যথা

মেরুদণ্ডের একেবারে শেষ প্রান্তে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। এর কারণে কোনো শক্ত জায়গায় বসাও অসম্ভব হয়ে যায়। মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করার জন্য এই অসুখটির নাম ককসিডাইনিয়া, যা বেশ ভোগায়। লিখেছেন ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. আমজাদ হোসেন

কোমরের ব্যথায় আক্রান্তদের এক ভাগেরও কম এই অসুখে আক্রান্ত হন। এতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা পুরুষের চেয়ে নারীদের পাঁচ গুণ বেশি। সাধারণত ৪০ বছরের পর এই রোগ বেশি হয়।

লক্ষণ

♦         কোমরের একেবারে শেষ প্রান্তে ব্যথা অনুভূত হয়

♦         শক্ত জায়গায় বসলে ব্যথা বাড়তে থাকে

♦         সাইকেল চালানো বা এ রকম কোথাও বসলে যেখানে সরাসরি পশ্চাদদেশে চাপ পড়ে, তাহলে ব্যথা বাড়ে

♦         কোষ্টকাঠিন্যের সময় ব্যথা বাড়ে

♦         অনেক সময় শারীরিক মিলনের সময় ব্যথা অনুভূত হয়।

 

কারণ

নির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়াও ককসিডাইনিয়া হতে পারে। এ ছাড়া অতীতের কোনো আঘাতের ফলে প্রদাহ, বাচ্চা প্রসবের পরে প্রদাহ বা ক্রমাগত পশ্চাদেদশে চাপ পড়ে এমন কাজ, যেমন—সাইকেল চালানোর ফলেও এই রোগের সৃষ্টি হতে পারে। আবার বাড়তি হাড়ের কারণেও এটি হতে পারে। অনেক সময় কিছু টিউমারের কারণেও ককসিডাইনিয়া হয়।

 

চিকিসা

ককসিডাইনিয়ায় আক্রান্ত হলে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সাধারণ ব্যথানাশক ওষুধ প্রয়োগ করে এবং বসার স্থানে কুশন ব্যবহার করে এই রোগ প্রতিরোধ করা যায়। তবে জটিল ক্ষেত্রে স্টেরয়েড, সার্জারি, কেমোথেরাপিও লাগতে পারে।

 

পরীক্ষা

মেরুদণ্ডের শেষ প্রান্তের ব্যথা ককসির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কি না সেটি নির্ণয় করতে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়। যেমন—এক্স-রে, এমআরআই, ডায়াবেটিসের অবস্থা নিরূপণ ইত্যাদি।  আবার অবশ করার ইনজেকশন দিয়েও নিশ্চিত হওয়া যায়, ব্যথাটি ককসি থেকেই উৎপত্তি কি না। যদি ককসি এলাকায় অবশ করার ইনজেকশন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যথা চলে যায়, তাহলে বুঝতে হবে, সেখান থেকেই ব্যথার উৎপত্তি। তখন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা চালাতে হবে।

 

প্রতিরোধেকরণীয়

চিকিৎসার চেয়ে রোগ প্রতিরোধই উত্তম। কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চললে ককসিডাইনিয়া প্রতিরোধ করা যায়। যেমন—

♦         সঠিক অঙ্গভঙ্গি মেনে চলা।

♦         সঠিকভাবে বসা, যাতে পশ্চাদেদশে বেশি চাপ না পড়ে।

♦         একটানা খুব বেশি সাইকেল না চালানো।

♦         শরীরের সঠিক ওজন বজায় রাখা।

♦         এসংক্রান্ত নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম করা।

 

https://www.youtube.com/watch?v=AoO_iZhlnGs&fbclid=IwAR087UtT5y2ImtuRqnFuSkLhhRNQSANoCqoNRJJairlzCPZdLhf7-BP3a6M

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!