class="post-template-default single single-post postid-15574 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

ও রোজ রাতে ইঞ্জেকশন দিত, তারপর যৌনমিলনে নির্যাতন করতো

যৌনমিলনে‘ইঞ্জেকশন দিয়ে আচ্ছন্ন করে দিয়ে, আমার সঙ্গে অপ্রাকৃতিক যৌনমিলনে আবদ্ধ হয় আমার স্বামী। যখন ঘোর কাটে, তখন ইচ্ছের বিরুদ্ধে এভাবে যৌনতা করার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই। ও তখন গায়ে সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে আমায় চুপ করিয়ে দেয়।’ পুলিশ সুপারের অফিসে জনশুনানিতে গড়গড় করে বলে যাচ্ছিলেন ২৩ বছরের মেয়েটি। যা শুনে রাগ চেপে রাখতে পারেননি উপস্থিত মানুষজন। সঙ্গে সঙ্গে পারিবারিক হিংসার শিকার যুবতীর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ভারতের গোয়ালিয়র মহিলা থানার অফিসার ইন-চার্জ অনিতা মিশ্র।

জনশুনানিতে ওই তরুণী জানান, ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি তাঁর বিয়ে হয় ঢোলকপুরার এক যুবকের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে তাঁর উপর অত্যাচার শুরু করে দেন তাঁর স্বামী, শ্বাশুড়ি ও ননদ। ওই গৃহবধূকে দেহব্যবসা করতেও জোরাজুরি করতে থাকেন তাঁর স্বামী। তবে, অত্যাচারের এখানেই শেষ হয়নি। জনশুনানিতে অসহায় মেয়েটি চিত্‍‌কার করে জানিয়েছেন, তাঁকে নেশার ইঞ্জেকশন দিয়ে আচ্ছন্ন করে দেয় তাঁর স্বামী। এরপর তাঁর উপর চলে অকথ্য শারীরিক নির্যাতন। স্ত্রীর সঙ্গে অপ্রাকৃতিক যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন তাঁর স্বামী।

মেয়েটির যখন নেশা কাটে, তখন এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর পরিণতি হয়েছে আরও ভয়ংকর। সিগারেটের ছ্যাঁকায় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর গা-মুখ। বিয়ের পর দেড় বছরেই মেয়েটির জীবন নরকে পরিণত হয়েছে। দিনের পর দিন এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে, অবশেষে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন তিনি। সোজা চলে গিয়েছেন পুলিশ সুপারের জনশুনানিতে। তাঁর জীবনের মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা শোনার পরই তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এইসময়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!