রাজধানীতে বোমা হামলা , তিন পুলিশ আহত
রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় ককটেল (বোমা) হামলায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। সোমবার রাত ৮টার দিকে বঙ্গবন্ধু শপিং কমপ্লেক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই এলাকায় দুই মিনিটের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ছাড়া ঘটনার সময় ওই এলাকার আহাদ পুলিশ বক্স লক্ষ্য করেও বোমা হামলা চালানো হয়।
আহতরা হলেন, ট্রাফিক কনস্টেবল নজরুল ইসলাম (৩৭) ও মো. লিটন এবং কমিউনিটি পুলিশ মো. আশিক (২৬)। তাদেরকে প্রথমে রাজারবাগ পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (এডিসি) শিবলী নোমান বলেন, হঠাৎ করে এ ধরনের হামলা কেন তার গভীরে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। হামলাকারী কে বা কারা তা এখনো জানা যায়নি। ঘটনার তদন্ত চলছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ট্রাফিক পুলিশের মতিঝিল জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) বজলুর রহমান বলেন, তারা সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর দায়িত্বে ছিলেন। হঠাৎ দূর থেকে তাদেরকে লক্ষ্য করে একটি ককটেল হামলা চালানো হয়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে নজরুলের মাথায়, লিটন ও আশিকের পিঠে আঘাত রয়েছে।
এদিকে ঘটনার পরপরই থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ ও র্যাব ও সিআইডির টিম সেখানে ছুটে যান। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বর্তমানে ঘটনাস্থল ঘেরাও করে রেখেছে। বোমা ডিসপোজাল ইউনিটকে ডাকা হয়েছে। তারা এসে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখছে। সেই সঙ্গে ঘটনাস্থলের আশপাশের ভিডিও ফুটেজ জব্দ করে অপরাধীদের ছবি শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশের একাধিক সূত্র মতে, চলমান জঙ্গিবাদ বিরোধী অস্থিরতার মধ্যে কেউ সুযোগ নিয়ে এ হামলা চালিয়ে থাকতে পারে। বিশেষ করে দীর্ঘদিন ধরে এ এলাকায় ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে নানান অস্থিরতা চলছে। তারাও এ ঘটনা ঘটাতে পারে। আবার জঙ্গিরাও হামলা চালিয়েছে কিনা তদন্তে সে বিষয়টিও গুরুত্ব পাচ্ছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় বড় ধরনের বোমা হামলার পর দেশের সকল জেলা ও থানা এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে রাজধানীর আবাসিক হোটেল, ব্যাংক, সচিবালয়সহ রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ অফিসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। সেই সঙ্গে পুলিশের সকল ইউনিটকেও হামলা মোকাবিলায় সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।