প্রায় প্রতিদিনই কি মাঝরাতে হঠাৎই ঘুম ভেঙে যাচ্ছে? আর তারপর হাজার চেষ্টার পরও ভুম আসতে চাইছে না? এমন সমস্যায় কিন্তু অনেকেই পড়েছেন, কিন্তু চটজলদি কী করবেন তা ভেবে ঠিক করতে পারেননি।
প্রয়োজনের তুলনায় ঘুম বেশি বা কম হলেই তা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বেশি ঘুমানো, কম ঘুমানো, অনিদ্রা, ঘুম পাতলা হওয়া— ঘুম নিয়ে এই সব নানা জটিলতার কারণে আমরা আক্রান্ত হই এমন সব মারাত্মক রোগ-ব্যধিতে যেগুলি সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। তাই এই অসময়ে ঘুম ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। ভাবছেন, এমন হলে কী করবেন! আসলে এর জন্য হয়তো আমাদেরই কয়েকটি অভ্যাস দায়ি, যা বদলে ফেললেই সমস্যার সমাধান সম্ভব। আসুন এ বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক…
১) ঘুমের সময় এলেই আমাদের শরীর থেকে মেলাটোনিন হরমোনের নিঃসরণ শুরু করে। সাধারণত রাতেই এই হরমোন সক্রিয় ভাবে কাজ করে। ঘুমের সময় শুয়ে শুয়ে তাই মোবাইল বা ল্যাপটপ ঘাঁটলে এই হরমোনের নিঃসরণ বাধাপ্রাপ্ত হয়। তাই ঘুমের সময় এই সব কাজ-কর্ম থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।
২) মানসিক চাপ আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। আপনি যদি মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা নিয়ে ঘুমোতে যান, তাহলে আপনার অবচেতন মনে ওই বিষয়গুলি ক্রিয়াশীল থাকে। ফলে আপনার শরীর অবসন্ন হয়ে পড়লেও মন সজাগ থাকে। ফলে ঠিক মতো ঘুম হয় না। তাই মানসিক চাপ কাটাতে বা কমাতে রোজ ধ্যান করুন। ধ্যান বা মেডিটেশন মানসিক চাপ কমাতে খুবই কার্যকর!
৩) শোবার আগে মদ্যপান বা ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করুন। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মদ এবং নিকোটিন ম্যালাটোনিন নামের হরমোনের ক্ষমতা ও কার্যকারীতা হ্রাস করে। এই হরমোন আমাদের ঘুমের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে মদ্যপান বা ধূমপানের অভ্যাস সাময়িক ভাবে আমাদের স্নায়ুগুলিকে শিথিল করে দিলেও আমাদের মস্তিষ্কের কোষগুলিকে সক্রিয় করে দেয়। ফলে মদ্যপান বা ধূমপানের দীর্ঘমেয়াদী অভ্যাস ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাবেই।