প্রতিটি রান্নাঘরে পাওয়া যায় এমন একটি মসলা হল লবঙ্গ। বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, পূর্ব আফ্রিকা এবং পাকিস্তানের মতো দেশগুলির অন্যান্য খাবারের মধ্যে লবঙ্গ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। মাথাব্যথা, মুখের রোগ, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, মাইক্রোবিয়াল ইনফেকশন, সাইনাস, ফ্লু এবং সাধারণ ঠাণ্ডা ইত্যাদির মতো স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো মোকাবেলার জন্য পরিচিত এটি।
দীর্ঘকাল ধরে অম্লতা তথা অ্যাসিডিটির চিকিৎসায় লবঙ্গ ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই লবঙ্গ খেলে বেঁচে যাবে আপনার প্রতিদিনকার গ্যাস্ট্রাইটিসের ওষুধের খরচা। লবঙ্গের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যগুলি পেরিস্টালিসিস (পাকস্থলীতে খাবারের গতি নিয়ন্ত্রণ) বৃদ্ধি করে, লালা উৎপাদন বাড়ায়, পাচনে সহায়তা করে এবং অ্যাসিড রিফ্লেক্স বন্ধ করে। এটি পেটের প্রদাহ কমায়। পেটের অন্যান্য রোগ যেমন বুক জ্বালা, অম্লতা এবং বদহজমেও উপকারী। লবঙ্গের ক্ষারীয় বৈশিষ্ট্য রয়েছে পেট এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল নালিতে উৎপাদিত অতিরিক্ত অ্যাসিডের প্রভাব বন্ধ করতে সহায়তা করে। এই বৈশিষ্ট্যই গ্যাস তৈরি হতে দেয় না।
যেভাবে অ্যাসিডিটির চিকিৎসায় ব্যবহার করতে পারেন:
একবার লবঙ্গের একটি টুকরো মুখে নিন, হালকা চিবিয়ে তার রস বের করে সেটি মুখেই রেখে দিন। আস্তে আস্তে ক্ষরিত হওয়া রস অ্যাসিডিটি কমিয়ে দেয়, অ্যাসিড রিফ্লেক্স হতে দেয় না। খাবার পরেই এক টুকরো লবঙ্গ মুখে রাখুন।




















