Tuesday, May 7
Shadow

শরীয়তপুরের খবর : ‘আম্মু তুমি চলে যাও, আমি খালামনির কাছে ঘুমাই’

শরীয়তপুরের

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় এক শিশুকে তার খালা শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছে শিশুটির বাবা।

শনিবার বিকালে পৌরসভার সূর্যদিঘল এলাকার এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত শিশুর চাচা দেলোয়ার হোসেন দেওয়ান বাদী হয়ে ভেদরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।

পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।

মামলার বিবরণ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৪/৫ বছর আগে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার গুলমাইজ গ্রামের জনৈক মোহাম্মদ আলীর মেয়ে আঁখি আকতারের সঙ্গে ভেদরগঞ্জ পৌরসভার সূর্যদিঘল এলাকার ফরিদের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের তাদের পূত্র সন্তান আশরাফুলের জন্ম হয়। এর কিছুদিন পরে পারিবারিক কলহের জের ধরে আঁখি আকতার তার স্বামী ফরিদ দেওয়ানকে তালাক দেয়।

এ নিয়ে স্থানীয় ভাবে শালিস দরবার হয়। শালিসের রায় অনুযায়ী শিশু আশরাফুলকে মায়ের হেফাজতে রাখা হয়। যাবতীয় খরচ বাবা ফরিদ দেওয়ান বহন করবে।

শিশুর মা আঁখি আকতার সামসুর রহমান সরকারি ডিগ্রি কলেজে মাস্টার্সের ছাত্রী। শনিবার সকালে আশরাফুল ইসলাম অয়নের মা আঁখি তার শিশুটিকে ভেদরগঞ্জ পৌর এলাকার গৈড্যা নানা বাড়িতে রেখে প্রাইভেট পড়তে যান। মোবাইল ফোনে আশরাফুল ইসলাম অয়নের অসুস্থতার খবর পেয়ে আঁখি হাসপাতালে গিয়ে ছেলেকে মৃত অবস্থায় পান।

খালা মুন্সি ও নানা মোহাম্মদ আলী শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে শিশুটির বাবা দাবি করেন। এ ঘটনা পর শিশুর নানা, খালা নানি সহ অন্যান্যরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।

এ ব্যাপারে শিশু আশরাফুল ইসলাম অয়নের বাবা ফরিদ উদ্দিন দেওয়ান বলেন, আমার অবুঝ শিশুকে তার খালা ও নানা সবাই মিলে হত্যা করেছে। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মোস্তফা খোকন বলেন, শিশুটির ময়নাতদন্ত করে তার দেহের গুরুত্বপূর্ণ অর্গান ভিসেরা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। সেখান থেকে রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ বলা যাবে।

এ ব্যাপারে নিহত শিশু আশরাফুল ইসলাম অয়নের খালা মুন্নি মোবাইল ফোনে বলেন, শনিবার বিকালে তার বোন আঁখি প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার আগে অয়নকে খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুম পড়ানোর চেষ্টা করেন। এ সময় আঁখি তাড়াহুড়ো করে ঘুমপাড়ানোর চেষ্টা করলে অয়ন তার মাকে বলে- ‘আম্মু তুমি চলে যাও আমি খালামনির কাছে ঘুমাই।’

তিনি আরও বলেন, আমি অয়নকে ঘুম পাড়িয়ে গোসল করতে যাই। এ সময় অয়ন হঠাৎ জোরে চিৎকার করে। ভেজা কাপড়ে আমি এসে দেখি সে পড়ে আছে সাড়া শব্দ নেই। এ সময় বাড়ির লোকজন তাকে ভেদরগঞ্জ হাসাপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত শিশুর মা আঁখি আকতার পূত্র শোকে অজ্ঞান। কোনো কথাই সে বলতে পারেনি। বার বার সে বাবা অয়ন বলে চিৎকার দেয়। আর কিছুই সে বলতে পারে না।

ভেদরগঞ্জ থানার এসআই মো. ফারুক হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে ভেদরগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। শরীয়তপুরের

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!

error: Content is protected !!