class="post-template-default single single-post postid-14735 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

স্তন ঝুলে পড়ার কারণ ও প্রতিকার

স্তন ঝুলেবয়স বাড়ার সাথে সাথে একটি নির্দিষ্ট কৌনিক মাত্রায় স্তন ঝুলে পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু কিশোরী বয়সে স্তন ঢিলা হয়ে যাবার প্রবনতা স্বাভাবিক শাররীক পরিবর্তনের পর্যায়ে পড়ে না। কিশোরীর স্তন ঝুলে যাবার সম্ভাব্য কারণগুলোর মধ্যে আছে শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়া, সন্তান গর্ভধারণ, ধুমপান অথবা বংশগত কারণে বড় আকৃতির স্তন থাকা এবং বড় স্তনে প্রয়োজনীয় সার্পোট/সঠিক আকারের ব্রা পরিধান না করা।

কিশোরী স্তন : নারী স্তন অস্থিবন্ধনীতে অবলম্বন করে থাকে। যদি ঐ সকল অস্থিবন্ধনী প্রসারিত হয়, পেশীকলার শক্তি হ্রাস পাবার কারনে স্তনের প্রাকৃতিক অবস্থান সাধারনত নিচে নেমে আসে। স্তনবোঁটার স্থানচ্যুতি (স্তনের একদম নিচের দিকে চলে আসা) এবং স্তনের দুই পাশে চামড়া কুচকে যাওয়া থেকেও স্তন ঝুল সহজে অনুমান করা যায়।

স্তন ঝুলে পড়ার কারণ : স্তন ঢিলা হয়ে যাবার স্বাভাবিক কারণ হলো, স্তন অতিরিক্ত বড় এবং ভারী হয়ে যাওয়া, অথবা অপ্রতুল স্তন-সার্পোট। সন্তান জন্মদানের কারনে অর্থাৎ প্রসুতিকালীন সময় স্তনের আকার বড় হয়ে যাওয়া এবং স্তনধারনের কারনে তা ভারী হয়ে যায় এবং ফল স্বরূপ স্তন ঢিলা হয়ে যেতে পারে।

প্রসুতিকালীন স্তন ঝুলা : এখানে উল্লেখ্য যে, সন্তানকে স্তন পান করালে স্তনের আকারে কোন প্রকার পরিবর্তন হয় না। একইসাথে উচ্চ প্রভাব ব্যয়াম যেমন দৌড়ানো, নাচ করা ইত্যাদির সময় যদি স্পোটস ব্রা কিংবা স্তনের পুর্ন অবলম্বনে সামর্থ্য ব্রা ব্যবহার না করা হয় তবে তা থেকে স্তনের ঝুলে যাওয়া সম্ভব!

স্তন ঢিলা হয়ে যাওয়া : অনেক নারী চিন্তিত হন – সন্তানকে স্তনদানের সাথে স্তনের ঢিলা হয়ে যাবার সম্পর্ক আছে কিনা? কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে স্তনদানের সাথে স্তনের আকার এবং গঠনের পরিবর্তনের কোন প্রকার নেগেটিভ সম্পর্ক নেই। মাইয়োক্লিনিক ওয়েবসাইটের মতে প্রসুতিকালীন স্তন ঝুলার কারন হলো হঠাৎ স্তনের আকার পরিবর্তন এবং পরবতীতে তা আবার স্বল্প সময় ব্যবধানে কমে যাওয়া।

স্তন ঝুলে যাওয়ার সমাধান : কিশোরী বয়সে স্তনের ঝুলে যাওয়া রোধে এমন পদক্ষেপ নিতে হবে যেন স্তনেরঅস্থিবন্ধনী প্রসারীত না হয় এবং স্তন চামড়ার স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট নাহয়। যেহেতু প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ ধুমপান চামড়ার স্থিতিস্থপকতা দুর্বল করে দেয় তাই ধুমপায়ীর তুলনায় অধুমপায়ী নারীর স্তন শিথিলতার প্রবনতা কম। স্বাস্থ্যকর শাররীক ওজন রক্ষা করা এবং উচ্চ-প্রভাব ব্যয়াম এবং দৈনন্দিন জীবনযাপনে পর্যাপ্ত স্তন সার্পোট স্তনের ঝুলে যাওয়া প্রতিহত করতে পারে। ‘মেডিসিন ইন স্পোর্টস এন্ড এক্সসেরসাইজ‘ জার্নাল এর জুলাই ২০১০ সংখ্যায় ছাপা এক প্রতিবেদনে বলা হয় –

স্পোর্টস ব্রা : যে সকল স্পোর্টস ব্রা ক্রিয়াকালীন অধিক ওজনের স্তনকে সম্পুর্ন উত্তোলন এবং চেপে রাখতে সক্ষম তা নারীর অস্বস্তির সাথে সাথে স্তনের আকার/গঠনপরিবর্তন প্রতিহত করে।

স্তনের আকারের ব্যপারে সাবধানতা : স্তনের আকার/গঠনে যেকোন অস্বাভাবিক পরিবর্তন এবং স্তনবোঁটার স্থান, আকার কিংবা গঠন পরিবর্তন হয়তো অন্যকোন কঠিন সমস্যার পুর্বাভাস হতে পারে। আপনার উচিত স্তনের মাসিক স্ব-পর্যবেক্ষন করা। যেকোন হঠাৎ পরিবর্তন লিপিবদ্ধ করুন। আপনার স্তনের আকার সম্পর্কে কোন প্রকার অস্বাভাবিকতা আঁচ করলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে অস্বস্তি করবেন না। কারন লজ্জার কারনে সমস্যা প্রকটতা পেতে পারে।

স্তন ঝুলে যাওয়ার চিকিৎসা : কিছু ব্যয়াম, সঠিক আকারের ব্রা/অন্তঃবাস পরিধানের পাশাপাশি ঝুলে যাওয়া স্তন সুঢৌল করার একমাত্র উপায় হলো কসমেটিক সার্জারী। ব্রেষ্ট লিপ্টিং এবং স্তন বর্ধন সার্জারী নির্দিষ্ট মাত্রায় ঝুলে যাওয়া স্তনে কিছুটা উন্নতি আনতে পারে। তবে সার্জারীর মানে এই নয়যে সার্জারীকৃত স্তন আর কখনো ঝল/ঢিলে হবেনা। মধ্যাকর্ষন স্তনের পেশীকলায় পুর্বের ন্যায় প্রভাব ফেলতে পারে – তাই সার্জারীর এই ফলাফল ক্ষনস্থায়ী এবং স্বাভাবিক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!