হাঁপানি রোগের লক্ষণ

হাঁপানি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

 

দেশজুড়ে নিশ্বাস ফেলছে বিষাক্ত বাতাস। ঢাকা হোক বা নিজের প্রিয় শহর ধুলোধোঁয়ায় জর্জরিত শহরগুলির চালচিত্র  একই।

ফল ভুগছেন শহরবাসী। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হাঁপানি ।

শুধু দূষণই নয়, অনেকেই বংশহগত কারণে ক্রনিক হাঁপানির শিকার। কারও ক্ষেত্রে আবার অ্যালার্জি ডেকে আনছে রোগকে। কীভাবে বুঝবেন হাঁপানির শিকার আপনি? কী ভাবেই বা লড়বেন প্রাথমিক লড়াই। রইল বিশেষজ্ঞর পরামর্শ।

 

হাঁপানির লক্ষণ

 শ্বাসপ্রশ্বাসে হুইসেলের শব্দ

ঘন ঘন শ্বাস পড়া

মুখ ও অন্য যে কোনও গ্রন্থিতে অস্বাভাবিক ঘাম

কথা বলতে সমস্যায় পড়া

একটানা কাঁশি

বুকে কফ জমে থাকা

ঘরোয়া প্রতিকার

  • গরম চা হাঁপানির টানে উপশমের কাজ করে। তবে দুধ চা নৈব নৈব চ। অ্যাসিড রিফ্লাক্স দ্বিগুণ তিনগুণ বাড়িয়ে দেয় হাঁপানির টান। চলতে পারে গ্রিন টি বা লিকার চা।
  • গরম স্যুপেও মেলে উপশম। সহজপাচ্য স্যুপের পুষ্টিগুণ রোগীকে লড়াই করতে সাহায্য করে।
  • ইউক্যালিপটাস তেল হাঁপানিতে খুব কার্যকর। গরমজলে দু‍‌’ফোটা এই তেল ফেলে ভেপার নিলে উপশম পাওয়া যায়।
  • বুকে পিঠে সরষের তেল গরম করে মালিশ করা হাঁপানির টানে্র পুরনো দাওয়ায়ই। এতে কাজও হয় ভাল।

 

  • হাঁপানির টান উঠলে পিঠে বালিশ রেখে আধশোয়া থাকতে হয়। তাতে খানিকটা আরাম পাওয়া যায়।
  • প্রতিদিন সকালে জলে পাতিলেবু ফেলে খেলে দূরে থাকবে হাঁপানি। ভিটমিন সি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করবে।
  • প্রতিরাতে  এক চামচ মধু খেয়ে শুতে গেলে অনেকটাই আটকানো যায় শ্বাসকষ্ট।
  • প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই উপরোক্ত দাওয়াইগুলি উপশমের টোটকা, রোগমুক্তির নিদান নয়। হাঁপানি থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসকের দারস্থ হতেই হবে। নিতে হতে পারে সঠিক ডোজের ইনহেলার। সেই ডোজ ঠিক করতে পারেন একজন ডাক্তারই।