মার্গট ও পল ব্রকম্যানের দাম্পত্য জীবনের ৫৬ বছর অতিবাহিত। এবং এই সুদীর্ঘ সময়ে স্ত্রীকে তিনি উপহার দিয়েছেন ৫৫ হাজার ড্রেস।
সেই কোন তরুণ বয়সে দেখা হয়েছিল মার্গটের সঙ্গে পলের। তখন দু’জনেই জার্মানির বাসিন্দা। এক নাচের আসরে মার্গটকে প্রথম দেখেন পল। দেখেই ভাল লেগে গিয়েছিল তাঁকে। তার পরে সবই যেন স্বপ্নের মতো।
মার্গট ও পল ব্রকম্যানের দাম্পত্য জীবনের ৫৬ বছর অতিবাহিত। এবং এই সুদীর্ঘ সময়ে স্ত্রীকে তিনি উপহার দিয়েছেন ৫৫ হাজার ড্রেস। সব যে একেবারে নতুন, তা নয়। এই বিশাল সম্ভারের মধ্যে বেশিরভাগ পোশাকই সেকেন্ড-হ্যন্ড এবং তাদের রয়েছে কোনও না কোনও ‘ভিন্টেজ ভ্যালু’।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘ডেলি মেল’-এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাত্র ১৩ বছর বয়স থেকেই নাচের প্রতি এক অমোঘ আকর্ষণ ছিল পল ব্রকম্যানের। এবং সেই সব ডান্স-হলে মহিলাদের পরনের সুন্দর সুন্দর পোশাক তাঁকে মোহিত করত।
মার্গটের সঙ্গে আলাপের পরে তাঁর জীবন অনেকটাই পালটে যায় বলে জানান পল। ’৫০-এর দশকে মার্গটের পরিবার চলে আসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। নিজের দেশ ছেড়ে পলও চলে আসেন মার্গটের পিছু পিছু। বর্তমানে ব্রকম্যান দম্পতি থাকেন লস এঞ্জেলেসে।
বিয়ের এতগুলো বছর কেটে গেলেও, পল কখনই ভুলতে পারেননি তাঁদের প্রথম দেখা। মার্গটের মনে না থাকলেও, পলের এখনও মনে আছে সেই সন্ধ্যায় কী পরেছিলেন মার্গট।
বিয়ের পরেও প্রতি সপ্তাহে ব্রকম্যান দম্পতি ‘বলরুম ডান্স’-এ অংশ নিতেন বলে জানান পল। এবং প্রতি সপ্তাহে মার্গটের জন্য তিনি কিনে আনতেন একটি করে নতুন ড্রেস। এমনও হয়েছে যে, একই দিনে মোট ৩০টি ড্রেস কিনে বাড়ি ফিরেছেন পল, জানিয়েছেন মার্গট। এ ভাবেই মার্গটের কালেকশানে জমে যায় ৫৫ হাজার ড্রেস। জানা গিয়েছে, এমন অনেক ড্রেসই রয়েছে যা এখনও পরেননি মার্গট।
মার্গটের পোশাক যখন অন্যের গায়ে। ছবি: ফেসবুক
বর্তমানে পলের বয়স ৮৩ বছর, মার্গটের ৬১। শারীরিক অসুস্থতা ও জায়গার অভাবে ব্রকম্যান দম্পতি এখন তাঁদের ড্রেসের কালেকশান বিক্রি করছেন। তবে সব নয়। নিজেদের পছন্দের ২০০টি ড্রেস রাখবেন পল।