কিন্তু মাত্র ১৫ দিনে যদি পাঁচ থেকে সাত কেজি ওজন ঝেড়ে ফেলা যায়! তখন উৎসাহ থাকতে থাকতেই ওজন যাবে ঝরে, সঙ্গে বন্ধুদের চোখ উঠবে চড়কগাছে।
ওজন কমানো নিয়ে জানতে চাইলে বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টিবিদ শামছুন্নাহার নাহিদজানালেন, ‘অবশ্যই ১৫ দিনে ৫ থেকে ৭ কেজি ওজন ঝেড়ে ফেলা যায়। সে ক্ষেত্রে ডায়েটের ধরন হবে নরম বা তরল, উচ্চ প্রোটিন, কম শর্করা এবং কম চর্বিযুক্ত। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় বিপাক কার্যক্রম সচল রাখতে প্রচুর পানি খেতে হবে। ব্যায়ামও কিন্তু করতে হবে।’
তবে মনে রাখতে হবে, নারী কিংবা পুরুষ, শরীরের ওজন, বয়স, উচ্চতা অনুযায়ী প্রতিবার খাবারের পরিমাণ, ধরন ও সময় কিন্তু পরিবর্তিত হবে। এবার খাবারের সময়ের দিকে খেয়াল করে দেখুন, ৮টা, ১০টা, ১২টা, ২টা অর্থাৎ প্রতি দুই ঘণ্টা অন্তর কিছু একটা খেতে হবে। নিদেনপক্ষে দিনে এটি হবে সাত থেকে আটবার। ওজন কমাতে গিয়ে শরীর দুর্বল কিংবা অসুস্থ হয়ে যাওয়াটা কাজের কথা নয়। তাই দুই ঘণ্টা অন্তর খেলে শরীর কর্মক্ষম থাকবে। এ সময়টা পানি খেতে হবে প্রচুর পরিমাণে।
এ ছাড়া বিএমআই অনুযায়ী প্রতিদিন ব্যায়ামের রুটিন মেনে খানিকটা ব্যায়ামও করতে হবে। খাওয়াদাওয়ায় এই কৃচ্ছ্রসাধনের পর কষ্টসাধ্য ব্যায়াম না করে অন্য কোনো উপায় আছে কি না জানতে চাইলে ফিটনেস ওয়ার্ল্ড হেলথ ক্লাবের প্রশিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, সহজ উপায় হলো হাঁটা। টানা ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট হাঁটলে রক্তে চলমান চর্বি নিঃশেষ হয়।
তারপর শরীরের সঞ্চিত চর্বি খরচ হতে থাকে। ভারী ব্যায়ামের বিকল্প হিসেবে হাঁটাকে প্রাধান্য দিতে পারেন। তাই বাড়ি ফেরার জন্য যানবাহন ব্যবহার না করে হেঁটে ফিরুন। এ ছাড়া অফিস কিংবা বাড়িতে লিফটে না উঠে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। এতে ওজন যেমন কমবে, হাড় ও হার্ট—দুটোই ভালো থাকবে।
যেমন হবে খাদ্যতালিকা
* সকাল ৮টা: স্যুপ (সবজি ও ডিমের সাদা অংশ দিয়ে তৈরি)।
* সকাল ১০টা: টক দইয়ের লাচ্ছি (চিনি ছাড়া)।
* দুপুর ১২টা: ফলের রস।
* বেলা ২টা: স্যুপ ক্লিয়ার (সবজি ও মুরগি)
* বিকেল ৪টা: ননিবিহীন দুধ কিংবা সয়া মিল্ক
* সন্ধ্যা ৬টা: ফলের রস কিংবা রায়তা
* রাত ৮টা: স্যুপ ক্লিয়ার
* রাত ১০টা: ননিবিহীন দুধ কিংবা সয়া মিল্ক।