গাজীপুরের কাপাসিয়ায় জোড়া লাগানো শিশুর জন্ম হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে ভূমিষ্ট জোড়া শিশু এবং তার মা বর্তমানে সুস্থ রয়েছে।
তবে তাদের অভিভাবকের অনুরোধে তাদেরকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রেফার্ড করা হয়েছে।
জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ি ইউনিয়নের ডোয়াইবাড়ি গ্রামের মাসুদ রানার স্ত্রী রত্নার প্রসব বেদনা শুরু হলে কাপাসিয়ায় বেসরকারি শীতলক্ষ্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যায় গাইনি বিভাগের সার্জন ডা. হাসানুর রহমান সোহাগ ও ডা. মোসলেম উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে সিজারিয়ান অপারেশন শুরু হয়। অপারেশনের পর দুটি জোড়া লাগানো শিশুকে ডাক্তার সুস্থ অবস্থায় বের করে আনেন।
এ বিষয়ে ডা. সোহাগ সাংবাদিকদের জানান, ডাক্তারি পরিভাষায় এ জাতীয় রোগীকে কনজয়েন টুয়িন (জোরাকো এবডোমিনো পিগাস) বলা হয়। নবজাত কন্যা শিশু দুটির নাভী থেকে বুক পর্যন্ত জোড়া লাগানো থাকলেও প্রত্যেকেরই দুটি হাত, দুটি পা, দুটি মাথাসহ অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ স্বাভাবিক অবস্থায় আছে এবং তারা স্বাভাবিকভাবেই নড়াচড়া করছে। তবে একটি শিশুর ঠোঁট কাটা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে আমাদের দেশে সফলভাবে এ জাতীয় রোগী অপারেশন করে আলাদা করা এবং স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
নবজাতকদ্বয়ের পিতা ও পোশাক শ্রমিক মাসুদ রানা জানান, প্রায় সাত বছর আগে তার স্ত্রী একটি কন্যা শিশু সুস্থ অবস্থায় প্রসব করেছে। কিন্তু এবার এমন জোড়া লাগানো জমজ শিশু জন্মের পর তিনি অনেকটা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছেন। এ জাতীয় অপারেশন কোথায় কিভাবে করাতে হয় এবং কী পরিমাণ খরচ পড়বে সে বিষয়ে তার কোনো ধারণা নেই।
এ ব্যাপারে কোনো সরকারি বা বেসরকারি সহায়তা পেলে তার জন্য সুবিধা হবে বলে তিনি জানান। তাদের সুস্থতার জন্য তিনি সকলের কাছে দোয়া কামনা করেন মাসুদ রানা। গাজীপুরের খবর