class="post-template-default single single-post postid-18343 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

নারীদের কিছু জটিল রোগ

নারীদের

নারীদের কিছু জটিল রোগ

নারীরা মুখ বুঝে অনেক কিছুই সহ্য করে নিয়ে চুপচাপ বসে থাকেন। শারীরিক সমস্যার ক্ষেত্রেও বিষয়টির ব্যতিক্রম কিছু ঘটে না। যতোক্ষণ চলতে পারছেন ততোক্ষণ দেহে শত রোগ নিয়ে চুপ করে বসে থাকেন অনেক নারীই। যার ফলে সঠিক সময়ে চিকিৎসার অভাবে মারাত্মক আকার ধারণ করে থাকে অনেক শারীরিক সমস্যা। এছাড়াও নারীদেহের এমন মারাত্মক কিছু রোগ রয়েছে যার লক্ষণ প্রকাশ পেলেও প্রাথমিক ভাবে রোগটি সঠিকভাবে নির্ণয় করতে পারেন না চিকিৎসকগণ।

এইসকল নীরবঘাতক একেবারে শেষ পর্যায়ে গিয়ে ধরা পড়ে যার কারণে মৃত্যুবরণ করেন অনেক রোগী। তাই সতর্ক থাকতে হবে প্রত্যেককে। একটু অস্বাভাবিকতা নজরে এলেই লজ্জা না পেয়ে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যতো দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন ততো দ্রুত রোগ নির্ণয় সম্ভব হবে।

১) পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম
খুব সাধারণ হরমোনের তারতম্যের কারণে এই সমস্যাটি হয়ে থাকে প্রতি ১০ জনে অন্তত ১ জন নারীর। এবং এই সমস্যার কারণেই নারীদের সন্তান ধারণ ক্ষমতা লোপ পায়। অনিয়মিত মাসিক অথবা মাসিক না হওয়া, অতিরিক্ত চুল পড়া এবং অনিয়ন্ত্রিত ভাবে ওজন বেড়ে চলা এই সমস্যার প্রধান লক্ষণ। এই সমস্যাটি ধরতে কোনো পরীক্ষার প্রয়োজন হয় না। আপনার দেহে প্রকাশ পাওয়া লক্ষণের উপর নির্ভর করেই চিকিৎসা চালানো সম্ভব। তাই অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

পড়ুন  যেসব নারীর স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি

২) ক্রোনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোম
Chronic fatigue syndrome অর্থাৎ দীর্ঘস্থায়ী অতিরিক্ত শারীরিক দুর্বলতার সমস্যা নারীদের মধ্যে খুব বেশি দেখা যায়। চিকিৎসকগণ সঠিকভাবে বলতে পারেন না কেন নারীদের মধ্যে এই সমস্যাটি অত্যন্ত প্রবলভাবে দেখা দেয়। তবে অনেক গবেষণায় দেখা যায় এই সমস্যার মূলে রয়েছে ভাইরাল ইনফেকশন, হরমোনের তারতম্য ও অতিরিক্ত মানসিক চাপ। দৈনন্দিন সাধারণ কাজকর্মে খুব সহজেই হাঁপিয়ে উঠা এবং একেবারেই শারীরিক শক্তি না পাওয়া এই সমস্যার প্রধান লক্ষণ যা অবহেলা করেন অনেকেই। অনেকের কাছে এই সমস্যাটি তেমন মারাত্মক মনে না হলেও এই সমস্যায় দেহ ও মস্তিষ্ক স্থায়ীভাবে ক্ষতগ্রস্ত হয়।

৩) লুপাস
লুপাস মূলত ৪ ধরণের হয়ে থাকে যার মধ্যে systemic lupus erythematosus সমস্যাই বেশি দেখা দেয়। এটি মূলত দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার একটি সমস্যা যার কারণে আপনার নিজের এই ইমিউন সিস্টেমই আপনার দেহের শত্রু হয়ে দাঁড়ায়। আর এর ফলে ফুসফুস, কিডনি, হাড়ের জয়েন্ট, নার্ভাস সিস্টেম, ত্বক এবং রক্তের কর্মক্ষমতা নষ্ট হতে থাকে। অতিরিক্ত দুর্বলতা, হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা ও আড়ষ্টতা, স্মৃতিশক্তি নষ্ট হওয়া ইত্যাদি এই রোগের লক্ষণ। কিন্তু এই সাধারণ লক্ষণগুলো অন্যান্য অনেক শারীরিক সমস্যাতেই হয়ে থাকে বলে সহজে নির্ধারণ করা সম্ভব হয় না এই মারাত্মক রোগটি। ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়েসি যে কোনো নারীর এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।

পড়ুন  দশটি বিষয় যা করলে পুরুষসঙ্গী তার মহিলাসঙ্গীনিকে বেশী পছন্দ করবেন

৪) মাল্টিপল স্কেলেরোসিস
এই রোগটি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সাথে সম্পর্কিত আরেকটি সমস্যা। এই রোগে দেহের ইমিউন সিস্টেম মস্তিষ্কের নার্ভ রক্ষাকারী পর্দার উপর আক্রমণ করে থাকে এবং নার্ভ নষ্ট করে ফেলে। যার কারণে মস্তিষ্কের সাথে দেহের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় অনেক ক্ষেত্রে। ২০-৪০ বছর বয়সি নারীদের মধ্যে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। হাত পা বা কোনো অঙ্গ হুট করেই অবশ বোধ হতে থাকা, কোনো অনুভূতি না থাকা, চিনিচনে ব্যথা অনুভব হওয়া, দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা এই রোগের প্রধান লক্ষণ। এই রোগটি নির্ণয়য়ের সাধারণত কোনো পরীক্ষা নেই যার কারণে অনেক সময়েই এই রোগটি ধরা সম্ভব হয়ে উঠে না। তবে গত কয়েক বছর চিকিৎসকগণ optical coherence tomography ব্যবহার করছেন এই সমস্যাটি নির্ণয় করতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!