class="post-template-default single single-post postid-16903 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে হলে কীভাবে কী করতে হয়

অস্ট্রেলিয়ায়

বিদেশে উচ্চশিক্ষার আশা নিয়ে অনেক শিক্ষার্থীই দেশের বাইরে পড়াশোনার সুযোগ খোঁজেন। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের কাছে অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করা বেশ জনপ্রিয়। তবে শুধু বাংলাদেশে নয়, উচ্চশিক্ষা গ্রহণের দিক থেকে অস্ট্রেলিয়া বর্তমানে বিশ্বের তৃতীয় জনপ্রিয়তম দেশ। বিশ্বের শীর্ষ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। তুলনামূলক অন্যান্য সমমানের দেশের তুলনায় কম খরচে এমন শান্তিপূর্ণ একটি দেশে মানসম্মত শিক্ষার কারণে উচ্চশিক্ষার গন্তব্য হিসেবে দেশটি প্রতিবছর হাতছানি দেয় হাজারো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীকে। তবে অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে আসার আগে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক খেয়ালে রাখতে হবে।

প্রস্তুতি নিতে হবে পরিকল্পনা করে

অস্ট্রেলিয়ায় স্টুডেন্ট ভিসাতে আবেদন করার আগে আবেদনকারীকে কয়েকটি দিক থেকে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। স্টুডেন্ট ভিসায় অস্ট্রেলিয়াতে আসতে হলে উদ্দেশ্য অবশ্যি শিক্ষাই হতে হবে। এর ব্যতিক্রম ভাবনা নিয়ে এ ভিসায় আবেদন না করাই শ্রেয়। আর সে ক্ষেত্রে সত্যিকার মেধাবী হওয়াটাই প্রাধান্য পায় সবার আগে। এর পরপরই অর্থনৈতিক ব্যাপারটা মাথায় রাখতে হবে। এখানে এসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও নিজের খরচ বহনের আর্থিক সচ্ছলতা আবেদনকারীর পরিবারের রয়েছে কিনা তা ভালো করে বিবেচনা করতে হবে। যদিও পড়াশোনার পাশাপাশি অর্থ উপার্জনের বেশ কতক সুযোগ রয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়, তবে সে উপার্জনে অনেক সময় খরচ চালাতে হিমশিম খান অনেকে। তাই এ বিষয়টাকে অনেকটা বোনাস হিসেবে ধরে রাখাই ভালো।

ইংরেজির দক্ষতা বাড়িয়ে নিতে হবে

ইংরেজি ভাষার দক্ষতা বুদ্ধিমত্তা যাচাইয়ের মাপকাঠি না হলেও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী হতে গেলে ইংরেজি ভাষার দক্ষতাই প্রধান সোপান হয়ে দাঁড়ায় বিদেশে পড়াশোনা করতে। বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশগুলোর চেয়েও অস্ট্রেলিয়ায় এর প্রয়োজনীয়তা ব্যাপক। ইংরেজির দক্ষতা প্রমাণ ছাড়া শিক্ষার্থী হিসেবে এ দেশে ভিসা পাওয়া অসম্ভব। তাই ইংরেজি ভাষা জ্ঞানে বেশ পাকাপোক্ত হওয়াটা খুবই জরুরি। বর্তমানে ইংরেজি ভাষা জ্ঞান প্রমাণ করার অনেক পরীক্ষা থাকলেও ‘আইইএলটিএস’ বেশি পরিচিত। অস্ট্রেলিয়াতে আবেদনকারী স্নাতক বা তার নিচে পড়তে চাইলে ইংরেজি ভাষা দক্ষতা প্রমাণের পরীক্ষায় অর্থাৎ আইইএলটিএস-এ ন্যূনতম সাড়ে ৫ পেতে হবে। কোর্স ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভেদে তা বেশি স্কোরেরও প্রয়োজন হতে পারে। আর আবেদনকারী স্নাতকোত্তর পড়তে চাইলে আইইএলটিএস-এ ন্যূনতম ৬ স্কোর থাকতে হবে। তবে আবেদনকারী ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থী হলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষা দক্ষতার প্রমাণের প্রয়োজন পড়ে না। তবে আবার অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির শর্তে বেশি স্কোর করারও প্রয়োজন পড়ে যা সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটই দেওয়া থাকে।

বিষয় নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ

বিদেশে পড়তে ইচ্ছুক এমন অনেকেই কোন বিষয়ে পড়তে যাবে সেটা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকেন। তারা কোন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে চান তা নির্ধারণ করতে পারেন না। নিজের পছন্দের বিষয় নিয়ে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যাবেন, এমনটাই স্বাভাবিক হওয়া উচিত। তবে দেখা গেছে, বেশির ভাগ শিক্ষার্থীরই উদ্দেশ্য থাকে স্টুডেন্ট ভিসায় বিদেশে গিয়ে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়া বা স্থায়ীভাবে বসবাস করা। সেটা দোষের কিছু নয়। তবে সঠিক বিষয় নির্ধারণ করা অতি গুরুত্বপূর্ণ। উন্নত দেশগুলোতে তাদের দেশের বাজারে কোন পেশার কতটুকু চাহিদা সেটার একটা ‘ডিমান্ড লিস্ট’ থাকে, যেখানে সেসব বিষয়ের বিস্তারিত উল্লেখ থাকে। তো, চাহিদা বেশি, সে পেশাগুলোর বিষয়ে পড়াশোনা করলে চাকরি পেতে সহজ হয়। ডিমান্ড লিস্টে নেই এমন বিষয় নিয়ে পড়তে গেলে এ দিয়ে স্থায়ীভাবে অভিবাসনের জন্যও আবেদন করার সুযোগ থাকে না বেশির ভাগ ক্ষেত্রে। এ ছাড়া অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই ডিমান্ড লিস্টে নেই এমন বিষয়ের টিউশন ফি বেশি দেখা যায়। আবার বিষয় ছাড়াও শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের নামধামের কারণেই সেমিস্টার ফি অনেক পার্থক্য হয়। সেগুলো আগেভাগে দেখে নেওয়া ভালো। কারণ অনেকেই এখানে এসে খরচ বেশি বলে বিষয় পরিবর্তন করতে চান। কিন্তু তখন বিষয় পরিবর্তন করা অনেক জটিল হয়ে ওঠে। এমনও হয় এই বিষয় পরিবর্তন করা নিয়ে অনেকের ভিসাও বাতিল হয়ে যায়। তাই বিষয় নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে খোঁজ-খবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যায় আর অস্ট্রেলিয়ার সরকারের ডিমান্ড লিস্টও ওয়েবসাইটে দেখে আসা যায় নিচের লিংকে:
<www.border.gov.au/Trav/Work/Work/Skills-assessment-and-assessing-authorities/skilled-occupations-lists>
এ ছাড়া, আজকাল এসব বিষয়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অনেক বিস্তারিত তথ্য দেওয়া থাকে, সেগুলো ঘেঁটেঘুঁটে দেখতে হবে।

শেষ তারিখ ও সর্বশেষ খবর জানতে হবে

যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়তে যাওয়ার ইচ্ছে, আবেদন করতে গিয়ে দেখা গেল ভর্তির শেষ সময়টাই পার হয়ে গেছে অথবা ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হলেও দেখা গেল কিছুদিন আগেই নির্বাচিত বিষয়টি ডিমান্ড লিস্ট থেকে বাতিল হয়ে গেছে। তাই যত দূর সম্ভব ভর্তি, ভিসা ও কাগজপত্র জমা দেওয়া সংক্রান্ত সকল নির্ধারিত তারিখ ও সর্বশেষ খবর সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে। ডিমান্ড লিস্টের হালনাগাদ সম্পর্কেও সুস্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে। এ জাতীয় সকল কাজের শেষ খবরাখবরের আপডেট রাখতে হবে নিপুণভাবে।

স্পনসর বা গ্যারান্টর নিশ্চিত করুন

অস্ট্রেলিয়ায় স্টুডেন্ট ভিসায় আসতে হলে ব্যাংকে টাকা দেখাতে হয়। বিষয়টা অনেকটা এ রকমই। অস্ট্রেলিয়ায় ভিসা আবেদন করতে গেলে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, এ দেশে এসে যাবতীয় ব্যয়ভার বহনের আর্থিক সামর্থ্য রয়েছে। এ জন্য আবেদনকারীর অভিভাবক বা আত্মীয়ের ব্যাংকে পর্যাপ্ত টাকা আছে সে প্রমাণ দেখাতে হবে। একে সাধারণত ‘স্পনসরশিপ বা গ্যারান্টর’ বলে। তবে অভিভাবকের সেই সামর্থ্য না থাকলে এমন একজন স্পনসরের প্রয়োজন হবে যিনি তার ব্যাংকে আবেদনকারীর জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা রাখবেন যা নিশ্চিত করবে যে, আবেদনকারীর পড়াশোনার খরচ তিনি চালাবেন। তবে এ জন্য কোনো নগদ অর্থ ব্যয় করতে হয় না। সাধারণত ব্যাংকে টাকা জমা রাখার প্রমাণপত্রই যথেষ্ট। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দূতাবাস তদন্ত করে দেখে এই টাকা সত্যি সত্যি আছে কি না অথবা বৈধ বা কর পরিশোধিত কিনা। আগে নিজেই নিজের স্পনসর হতে পারা যেত তবে এমন ঘটনা খুব কম। বর্তমান নিয়মে আত্মীয়-স্বজন অথবা অন্য কেউ স্পনসর বা গ্যারান্টর হতে পারে কিন্তু যতটুকু জানা যায় বাংলাদেশ থেকে ভিসা আবেদন করলে মা-বাবার আর্থিক সামর্থ্যতাকেই অর্থাৎ মা-বাবাকেই স্পনসর বা গ্যারান্টর হিসেবে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।

জীবনযাপন খরচ

১ জুলাই ২০১৬ থেকে ১২ মাসের জন্য খরচ একজন ছাত্রের জন্য ১৯ হাজার ৮৩০ ডলার দেখাতে হবে এবং যদি কোর্স ফি তিন বছরের জন্য ৫০ হাজার ডলার হয় তবে এক বছরের পরিমাণ ১৬ হাজার ৬৬০ ডলার আর সঙ্গে অন্যান্য খরচ করে স্পনসরের ব্যাংকে দেখাতে হবে।

অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার অভিপ্রায় হতে হবে অস্থায়ী

সমস্ত ছাত্র ভিসা আবেদনকারীদের এটা প্রমাণ করতে হবে যে তাদের অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে যাওয়ার অভিপ্রায় হচ্ছে অস্থায়ী। অর্থাৎ পড়াশোনা করে নিজ দেশের চলে আসার ব্যাপারটা নিশ্চিত হলেই ভিসা কর্মকর্তা ভিসা মঞ্জুর করেন।
ওপরের উল্লেখিত স্টুডেন্ট ভিসার সাধারণ ধারণার স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করতে হলে পরে ধাপে ধাপে নিচের বিষয়গুলো লক্ষ্য করতে হবে।

স্টুডেন্ট ভিসায় আবেদন করতে হলে

অস্ট্রেলিয়ায় স্টুডেন্ট ভিসায় আবেদন করতে হলে প্রথমেই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় নিবন্ধিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোর্সে ভর্তির জন্য আবেদন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরাসরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অথবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মনোনীত এজেন্টদের কাছে আবেদন করতে হবে। সাধারণত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের মনোনীত এজেন্টদের এ কাজের জন্য কমিশন দিয়ে থাকে। পূর্ণকালীন মেয়াদে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যদি ভর্তি মঞ্জুর করে তবেই স্টুডেন্ট ভিসায় আবেদন করা যাবে দেশটিতে।

যেখানে আবেদন করতে হবে

বাংলাদেশে অবস্থানরত আবেদনকারীরা এখন সরাসরি অনলাইনে ইমি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আবেদনপত্র পূরণ করতে পারেন। ওয়েবসাইটের এই লিংকে অনলাইন <online.immi.gov.au/lusc/login> আবেদন করা হয়।

ভিসা সংশ্লিষ্ট যেসব কাগজপত্র সাধারণত প্রদান করতে হয়

ভিসা সংশ্লিষ্ট সকল কাগজপত্র স্ক্যান করে ভিসা আবেদনের সঙ্গে যুক্ত করে দিতে হয়। কোনো কাগজ ইংরেজিতে না হলে সেটা অনুমোদিত অনুবাদকের কাছ থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করে যুক্ত করতে হবে।

আবেদনপত্রে যুক্ত করণীয় কাগজপত্র

*সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির অনুমতি সংক্রান্ত চিঠি (কর্নফারমেশন অব এনরোলমেন্ট)
*স্বাস্থ্য বিমার প্রমাণপত্র—সাধারণত ভর্তির অনুমতি সংক্রান্ত চিঠির সঙ্গেই থাকে।
*জাতীয় পরিচয়পত্র।
*জন্ম সনদ।
*বর্তমান ও আগের পাসপোর্টের ব্যবহৃত পাতা।
*শিক্ষাগত যোগ্যতা (সকল বোর্ড পরীক্ষার সার্টিফিকেট) ও কর্ম-অভিজ্ঞতা সনদ।
*অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে যাওয়ার কারণ উল্লেখ করে দেওয়া বিবৃতি যা ‘স্টেটমেন্ট অব পারপাস’ হিসেবে পরিচিত। যেখানে সংশ্লিষ্ট কোর্সের মাধ্যমে আবেদনকারী কীভাবে উপকৃত হবেন তার ব্যাখ্যা থাকবে।
*পূরণকৃত অর্থনৈতিক সামর্থ্যের (স্পনসর বা গ্যারান্টর) ফরম।
*স্পনসরের সঙ্গে আবেদনকারীর সম্পর্কের প্রমাণ হিসেবে জন্ম-সনদ, পাসপোর্ট কিংবা স্কুলের কাগজপত্র।
*স্পনসরের আয়ের উৎসের বিস্তারিত কাগজপত্র।
*সশস্ত্র বাহিনীতে কাজ করার ইতিহাস থাকলে সেখানে কাজের রেকর্ড ও ছাড়পত্র।
*কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট (১২ মাসের বেশি পুরোনো নয়)।
*বিবাহিতদের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী, সন্তানদের সম্পর্কের প্রমাণ হিসেবে জন্ম সনদ ও বিবাহ সনদ।
*স্বামী-স্ত্রী কেউ মারা গিয়ে থাকলে বা বিচ্ছেদ হয়ে থাকলে মৃত্যুসনদ বা বিচ্ছেদসংক্রান্ত কাগজপত্র।
*স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রমাণপত্র।

ভিসার আবেদন ফি ও জমাদান পদ্ধতি

ভিসা আবেদনপত্র পূরণ করা শেষ হলে আবেদন করার পূর্বে অবশ্যই ভিসা ফি দিতে হবে। অস্ট্রেলিয়ায় স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করতে ৫৬০ অস্ট্রেলিয় ডলার বা তার সমমূল্য টাকা ভিসা ফি হিসেবে অনলাইনে ক্রেডিট কার্ডেও পরিশোধ করা যায়।

ভিসা আবেদন করা হয়ে গেলে

ইমি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে স্টুডেন্ট ভিসায় আবেদন করা হয়ে গেলে ভিসাটি যাচাই করে কিছুদিনের মধ্যেই যদি প্রয়োজন হয় তাহলে অতিরিক্ত তথ্য চেয়ে ভিসা বিভাগ ইমেইল করতে পারে। এ ছাড়া ইমি অ্যাকাউন্টেই ভিসার অগ্রগতি সম্পর্কে জানা যাবে। ভিসা মঞ্জুর হয়ে গেলে ভিসা নম্বর ও শর্তাবলি জানিয়ে দিয়ে আবার ভিসা বিভাগ ইমেইল করে। আর ভিসা মঞ্জুর না হলে এর কারণগুলোও জানিয়ে দেওয়া হয়।

ভিসা হয়ে গেলে

ভিসা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সকল আবশ্যিক শর্ত এবং এক সেমিস্টারের টিউশন ফি জমা দিলে সাধারণত স্টুডেন্ট ভিসা মঞ্জুর হয়। তারপর উড়োজাহাজে চেপে স্বপ্নের পাখা মেলে ধরতে আর কোনো বাধা থাকে না। তবে একটা ধাক্কা অস্ট্রেলিয়া এসে অনেকই খান। সেমিস্টার ফি, বিমানের টিকিট, মাসখানিক চলার মতো নগদ অর্থ সব মিলিয়ে প্রায় লাখ দশেক টাকা খরচ করার পর কিছুদিনের মধ্যেই আবার যখন সেমিস্টার ফিসহ অন্যান্য খরচের জন্য বিশাল অঙ্কের টাকার প্রয়োজন পড়ে, তখন ধাক্কাটা অনেক বড় লাগে। বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর নিজের খরচটা নিজেকেই জোগাড় করতে হয়। এ দেশে আসা প্রায় সব শিক্ষার্থীরা এমনটাই করেন। কিন্তু বাংলাদেশে থাকতে সাধারণত যেহেতু কেউ কাজ করেন না, কিন্তু এখানে এসে খরচ জোগাড় করতে গিয়ে অনেকেই একাধিক রাতদিন কাজ করে হাঁপিয়ে ওঠেন। সে জন্য দেশে থাকতেই মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে আসতে হবে কঠোর পরিশ্রম করার, যদি না পারিবারিক অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হয়। এখানে কাজের ফাঁকে লেখাপড়া নয়, লেখাপড়ার ফাঁকে ফাঁকেই কাজ করতে হয়। পড়াশোনা অবিশ্যি পুরোপুরি ঠিকভাবে চালিয়ে যেতে হয়। কোর্স নির্দিষ্ট সময়েই শেষ হয়। ক্লাসে উপস্থিতির হার ও পরীক্ষায় পাশের গরমিল হলে ভিসা যেকোনো মুহূর্তেই বাতিল হয়ে যেতে পারে। আর এটা কথার কথা ভাবলে বিপদ নিশ্চিত।

কাউসার খান: অভিবাসন আইনজীবী। ইমেইল: kawsark@gmail.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!