কানাডায় ভর্তির সুযোগ থাকে বছরে তিনবার। জানুয়ারি, মে, সেপ্টেম্বরে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় সেশন শুরু হয়। তবে শিক্ষার্থীকে ছয় থেকে এক বছর আগেই আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করতে হয়।
একই সময়ে সেশন শুরু হয় মালয়েশিয়াতেও। দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে চাইলে সেশন শুরুর দুই মাস আগেই আবেদন করুন। অস্ট্রেলিয়ায় ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয় সাধারণত নভেম্বরে। কাঙ্ক্ষিত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি আবেদনের আগে গুছিয়ে রাখতে হবে দরকারি সব কাগজপত্র।
খরচ যেমন
খরচ কেমন হবে, তা নির্ভর করছে দেশ, বিশ্ববিদ্যালয় ও বিষয়ের ওপর। সাধারণত স্নাতক পর্যায়ের একজন শিক্ষার্থীর টিউশন ফি বছরে দেড় থেকে আট লাখ টাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন ফি বাবদ শিক্ষার্থীকে বছরে ১০ থেকে ৬০ হাজার টাকাও দিতে হয় কোনো কোনো দেশে।
ভর্তির জন্য যা লাগবে
একাডেমিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের পাশাপাশি শিক্ষার্থীকে ভাষা দক্ষতা পরীক্ষায় ভালো স্কোর থাকতে হবে। ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করতে চাইলে আইইএলটিএসে অন্তত ৫.৫ থেকে ৬.৫ থাকতে হয়। আমেরিকা ও কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে টোফেল-আইবিটি স্কোর থাকতে হবে ৬০ থেকে ১০০ (প্রোগ্রাম ও বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে)। এর সঙ্গে পড়াশোনার ব্যয়ভার বহনে সক্ষমতা প্রমাণের কাগজপত্র (ব্যাংক সলভেন্সি) দেখাতে হয়।
খোঁজখবর
বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের আগে খোঁজখবর নিয়ে জেনে নিন দরকারি তথ্য। সতর্ক হতে হবে বিষয় নির্বাচনেও। বিদেশে অনেক বিষয়েই পড়ার সুযোগ পাবেন; কিন্তু সব কটির চাহিদা আমাদের দেশে নেই। তাই চাহিদা আছে এমন বিষয়কেই প্রাধান্য দেয় বুদ্ধিমান শিক্ষার্থীরা। খোঁজখবর নিতে পারবেন অনলাইনে। এ ছাড়া অনেক বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সেমিনারের আয়োজন করা হয়, সেখানেও পাবেন ভর্তি তথ্য। আর্থিক সহায়তা অর্থাৎ বৃত্তির সুযোগ নিয়ে বিদেশে পড়াশোনা করতে চান, এমন শিক্ষার্থীরা নিয়মিত চোখ রাখতে পারেন দৈনিক পত্রিকা ও বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে (www.moedu.gov.bd) ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য মাউসের ক্লিকেই
বিদেশে পড়াশোনা শুরুর আগে ভর্তি, আবেদনের নির্দেশিকা ও প্রাসঙ্গিক খরচসহ সব তথ্যই পাবেন অনলাইনে।
যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়, ভর্তি ও পড়াশোনার দরকারি তথ্য পাবেন www.ukcisa.org.uk ওয়েবসাইটে। www.educationuk.org, www.ucas.com – এ দুটি সাইটও কাজে আসবে শিক্ষার্থীদের।
যুক্তরাজ্যের অনুমোদিত কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা পাওয়া যাবে ইউকে বর্ডার এজেন্সির এ লিংকে-www.ukba.homeoffice.gov.uk/studyingintheuk
অস্ট্রেলিয়ার তথ্য এই ওয়েবে- http://studyinaustralia.gov.au কানাডায় উচ্চশিক্ষার প্রয়োজনীয় সব তথ্য পাওয়া যাবে লিংকটিতে- www.cic.gc.ca/english/information/applications/student.asp
যে দেশেই পড়তে যেতে চান না কেন, সিদ্ধান্ত নিন খোঁজখবর নিয়েই।
সূত্র: কালের কণ্ঠ । সিলেবাসে নেই । তারিখ: ১৭-৮-২০১১
বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় সাধারণত বছরে দুই থেকে তিনবার ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়। যুক্তরাজ্যে ভর্তির সুযোগ বছরে দুবার- জানুয়ারি এবং সেপ্টেম্বরে।