মুনজেরিন শহীদের লেখা “ঘরে বসে Spoken English” বইটি কেমন তা জানতে চেয়ে একজন অনলাইন প্লাটফর্মে একটি প্রশ্ন করেছিলেন। সেটার উত্তরে অনেকে রিপ্লাই দিয়েছিলেন।
মো. আলমগীর হোসাইন লিখেছেন
মানে কম দামে বেশি
অবাক হলেন কি? আমিও অবাক হয়েছিলাম বইটি ভাল ভাবে দেখার পর, বইটি যে ভাবে প্রচার করেছিল মোটেও বইটি অতটা ভাল নয়, এই বই পড়ে কিছু শব্দার্থ আর কিছু বাক্যের উচ্চারণ ও অর্থ জানতে পারবেন, বই পড়া শেষ করেও আপনি ১০% ইংরেজিতে কথা বলত্র পারবেন না, এই বই পড়ে আপনার যে উপকার টা হবে সেটা হলো কিছু নতুন শব্দের সাথে পরিচিত হতে পারবেন সাথে পুরাতন কিছু জিনিসের রিভিশন হবে, এর বাহিরে কিছুই হবে না,
আর একটা কথা যেটা না বললেই নয় সেটা হচ্ছে এই বইয়ে লেখার থেকে পৃষ্ঠার গুরুত্ব বেশি দেওয়া হয়েছে, বুঝলেন না তো? বলতেছি, মানে ২/৪ লাইন দিয়েই ১ টা পৃষ্ঠা শেষ, আপনিই বলুন দুনিয়ায় এখন কি এমন বই চলে? প্রশ্ন রেখে গেলাম আপনার কাছেই।
সাজিয়া জেরিন লিখেছেন
ব্যাক্তিগতভাবে ইউটিবার, সেলিব্রেটিদের বই বের করা এইযে ট্রেন্ড, এটা আমি একদম ভালো চোখে দেখি না।
কারণ তাদের মূল টার্গেট হলো এদের ফলোয়াররা। এরাই মূলত বইগুলো কিনে। হুমড়ি খেয়ে পড়ে বইগুলোকে বেস্টসেলার বানায়। বইগুলোর বিষয়বস্তু কিন্তু ভিডিওতে যে কথাগুলো বলে ঘুরেফিরে তাই।
সাধারণ মানুষ যা কিনে তাদের চেনে বলে। তাহলে এদের বই প্রতিবছর পাবলিশ করার সার্থকতা কোথায়?
সৈয়দ আশরাফ আলী লিখেছেন
মুনজেরিন বইটি পড়ি নাই, তবে ইন্টারনেটে তার কিছু ইংরেজি বাক্যের অনুবাদ দেখেছি। টেন মিনিট ক্লাস একবার শুনেছি। প্রায় ২৫ ভাগ ভুলভাল ইংরেজি প্রতিশব্দ। যেমন, এক জায়গায় লিখেছে, কারো সাথে রাতের বেলা দেখা হলে বলতে হবে ,’গুড নাইট’। অথচ কে না জানে, গুড নাইট বলা হয় বিদায় নেওয়ার সময়? ভেবে দেখুন, একজন ইংরেজি ভাষাভাষী কেউ সন্ধ্যা কিংবা রাতের প্রথম প্রহরে আপনার বাড়িতে এলে ‘গুড ইভিনিং’ এর পরিবর্তে ‘গুড নাইট’ বললে তিনি ভাববেন, একী কান্ড আসতে না আসতেই বিদায় নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে কেন? এরকম অনেক উদাহরণ রয়েছে।
অল্পস্বল্প ইংরেজি ভাষার জ্ঞান সম্বল করে অন্যদেরকে ইংরেজি শিক্ষা দেওয়ার প্রবণতা দেখে অবাক হয়েছি। প্রচার বিজ্ঞাপনের চটকে অনেক অভিভাবক তাদের বাচ্চাদের ওয়ান মিনিট ক্লাসে ভর্তি করে পুলক অনুভব করেন। মুনজারিনকে অনুরোধ করব ভালোভাবে ইংরেজিটা শিখে অন্যকে শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করলে ভালো হয়।