নারীর শরীর আর রক্ত দেখে পৈশাচিক আনন্দ পান বিকৃতকাম এই ব্যক্তি। সে কারণে, নারীদের পোশাক চিরে দিয়ে শরীর আর রক্ত দেখার জন্য লোলুপ দৃষ্টিতে চেয়ে থাকতেন তিনি।
সেই বিকৃতকাম ব্যক্তির লালসার শিকার ভারতের শ্রীরামপুরের দুই নারী। শুক্রবার শ্রীরামপুর স্টেশনে নিত্যযাত্রীর ভিড়ে বিকৃতকাম ওই ব্যক্তি দুই নারীর লেগিংসে ব্লেড চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তরুণীদের চিৎকারে শ্রীরামপুর স্টেশনে কর্মরত রেল পুলিশের কর্মকর্তারা ধাওয়া করে ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেলে।
পরে জিআরপির জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যক্তি নিজের বিকৃতকামের কথা স্বীকার করে নেন। শেওড়াফুলি জিআরপি ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে।
রেল পুলিশ বলছে, ওই যুবকের নাম সমীর জানা। বাড়ি হুগলির চুঁচুড়ায়। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সমীর জানিয়েছেন, এর আগেও এ ধরনের বিকৃত কামনার বশবর্তী হয়ে ভিড়ের মাঝে নারীদের অসতর্ক মূহুর্তে ব্লেড দিয়ে আক্রমণ চালিয়েছেন। বিশেষ করে নারীদের লেগিংসের ওপর ব্লেড চালান সমীর। ব্লেডের আঘাতে অনেক সময়ই লেগিংস ছিঁড়ে গিয়ে রক্তপাত হয়। নারীরা লজ্জায় সে কথা প্রকাশ্যে আনতে পারে না। আর নারীদের শরীরের রক্ত দেখে উল্লাসে ফেটে পড়েন সমীর। ওই ব্যক্তির কীর্তি দেখে রীতি মতো বিস্মিত রেল পুলিশের কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওই যুবকের এ ধরনের আচরণের মধ্যে অবসেশনের একটা উপাদান আছে। এটা এক ধরনের বাতিক হতে পারে। এই ধরনের বাতিকগ্রস্তরা যে কোনো কাজ বার বার করতে চায়। অনেক সময় এ ধরনের কাজ করতে না চাইলেও, ইচ্ছার বিরুদ্ধে এই আচরণ করে বসে তারা। ওই যুবক যে নেহাতই মজা বা আনন্দ করার জন্যই নারীদের পোশাকে ব্লেড চালিয়ে রক্তাক্ত করছে, তা নাও হতে পারে। যুবকের দীর্ঘ সাইকো-অ্যানালিসিসের পরই এই ধরনের আচরণের প্রকৃত কারণ জানা যাবে। মোহিত রণদীপ বলেন, এটা আসলে এক ধরনের মানসিক অসুস্থতা।