‘প্রীতি’র শুটিংয়ের পর আপনার অনুভূতি কী?
অসাধারণ অনুভূতি। এটা মুখে বলা কঠিন।
কারণ কী?
ঘুরিয়ে–পেঁচিয়ে বলে লাভ নেই, অসাধারণ অনুভূতির কারণ পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম ভাই। তাঁর সঙ্গে কাজ করা মানেই তো বিশাল ব্যাপার। এর বাইরে আর কোনো কারণের দরকার নেই।
‘প্রীতি’তে আপনি একজন সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। কেমন ছিল সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা?
শুধু সাংবাদিক না, রীতিমতো অপরাধবিষয়ক সাংবাদিকতা করেছি। চরিত্রটি করতে গিয়ে বেশ মজা পেয়েছি। সাংবাদিকদের অনেক পরিশ্রম করে, ঘুরে ঘুরে একটা রহস্য উন্মোচন করতে হয়। এটা খুব উপভোগ করেছি। আমি তো চরিত্রের মধ্যে এমনভাবে ঢুকে গিয়েছিলাম যে মনে হচ্ছে সত্যি সত্যি সাংবাদিকতা করছি।
সিনেমা ও ওয়েব কনটেন্টের মধ্যে পার্থক্য কী?
আমার কাছে কোনো পার্থক্যই মনে হয়নি। অভিনয়ের জায়গা থেকে আমার কাছে আলাদা কিছু নেই। দুটিতেই তো অভিনয় করতে হয়।
আপনাকে চলচ্চিত্রে কম অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে।
চলচ্চিত্রই তো কম হচ্ছে। আসলে এটা নিয়ে অনেক কথা বলার আছে। কিন্তু এত অল্প সময়ে বলা কঠিন। আমাদের এখানে অনেক সমস্যা আছে। একজন এগিয়ে এলে দশজন পিছিয়ে যায়। এখানে সবাই রেষারেষি বা দলাদলি নিয়ে ব্যস্ত। ভালো করার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আমি একা কিছুই করতে পারব না। বসে বসে আফসোস করতে পারব শুধু।
যৌন মিলন দীর্ঘস্থায়ী করার কিছু কার্যকারী টিপস
সম্প্রতি কোন ছবির কাজ শেষ করলেন?
বাহাদুরি ছবির শুটিং শেষ করেছি। এ বছরই আমি আমার প্রযোজনার ক্ষত ছবির কাজ শুরু করব। আমি আমার ভক্তদের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এই প্রতিজ্ঞা থেকেই যেকোনো মূল্যে আমি এ বছরই এক দিন হলেও শুটিং করতে চাই।
একটা কথা শোনা যায়, ‘স্বপ্নজাল’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর আপনি গল্পনির্ভর সিনেমার দিকে আগ্রহী হয়েছেন…
সবচেয়ে বড় কথা হলো আমি এখন ‘না’ বলতে শিখেছি। সম্পর্কের খাতিরে এখন আর কোনো কিছুকে ‘হ্যাঁ’ বলি না। গল্প, চরিত্র পছন্দ হলে তবেই ‘হ্যাঁ’ বলি। এটাই হলো পরিবর্তন। আসলে ‘হ্যাঁ’ যত সহজে বলা যায়, ‘না’ তেমনই জোরেশোরে বলতে হয়।
শেষ তিন প্রশ্ন
আপনার একটা গোপন বিষয় বলুন, যেটা কেউ জানে না।
এটা তো বলা যাবে না, তাহলে সবাই জেনে যাবে।
হুট করে কেউ ‘আই লাভ ইউ’ বললে আপনি কী বলেন?
আমি ‘আই লাভ ইউ টু’ বলি।
তামিন হাসানকে আপনি ভালোবেসে তাম্মু বলে ডাকেন। তিনি আপনাকে কী নামে ডাকেন?
হা হা হা। এটা বলা যাবে না। তাহলে সবাই তার গার্লফ্রেন্ডকে ওই নামে ডাকবে।