Friday, May 3
Shadow

কাজ করতে গিয়ে বাজে সমস্যার সম্মুখীন হইনি : আজমেরি

আজমেরি‘ওহ্, আজমেরি আশা! পিয়া বিপাশার বোন’—অনেকে এভাবেই চেনেন তাঁকে। এতে কোনো দুঃখবোধ নেই আশার, ‘বরং প্রাউড ফিল করি, আমার ছোট বোনকে সবাই খুব ভালোভাবে চেনে। ও অল্প সময়ে খুব ভালো কিছু কাজ করেছে। বেশ মেধাবীও। স্বাভাবিকভাবেই ওর নামডাকটা বেশি।’

অভিনয় শুরু করেছিলেন ছয় বছর আগে। প্রথম নাটকেই সহশিল্পী তাহসান, ছিলেন বোন পিয়া বিপাশাও। এরপর অনেক নাটকই করেছেন। মাঝখানে একটু দূরে সরে গিয়েছিলেন। ঈদে আবার ফিরেছেন। এর পর থেকে বেশ কয়েকটি নাটক প্রচারিত হলো। বেশ ব্যস্ত সময় যাচ্ছে? ‘খুব একটা না। ঈদে কিছু নাটক করেছিলাম। সবগুলোর শুটিং হয়েছে নেপালে। বেশির ভাগেরই পরিচালক দীপু হাজরা। ঈদের পরও নেপালে গিয়ে কয়েকটা নাটক করে এলাম। একসঙ্গে অনেক শিল্পী, পরিচালক গিয়েছিলাম। ঘুরেফিরে সবাই প্রায় সব নাটকে অভিনয় করেছি। তাই সংখ্যাটা বলতে পারছি না। সে নাটকগুলোই এখন প্রচারিত হচ্ছে। এ কারণেই মনে হচ্ছে অনেক নাটক করছি। আসলে কিন্তু তা না। দেশে ফিরে সাত পর্বের একটা ধারাবাহিক করলাম। এই তো’—বললেন আশা।

নায়কদের মধ্যে কার সঙ্গে অভিনয়ে কমফোর্ট ফিল করেন? উত্তর দেওয়ার আগে কিছুক্ষণ চুপ মেরে রইলেন। অনেক ভেবে বললেন, ‘সম্প্রতি জোভানের সঙ্গে কাজ করেছি। বেশ সাপোর্টিভ, ওর সঙ্গে অভিনয় করে ভালো লেগেছে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আমি সিনিয়র শিল্পীদের সঙ্গে অভিনয় করার চেষ্টা করি। এটা কমফোর্ট জোন থেকে নয়, শেখার তাগিদ থেকে। ভুল হলে বড়রা শুধরে দেন। এতে আমার বেশ উপকার হয়।’

আজমেরি

শুধরে দেওয়া-নেওয়া বা একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে হৃদয়ে আঁচড় কাটার মতো কোনো ঘটনা ঘটেছে? উত্তরে একেবারেই অফিশিয়াল আশা, ‘আমি যখন কাজ করতে যাই তখন কাজই করি। অন্য কোনো দিকে মনোযোগ দিই না। যে কারণে আশপাশে ঘটে যাওয়া বিষয়গুলো আমাকে স্পর্শ করে না। এটুকু বলতে পারি, কাজ করতে গিয়ে আমার কোনো ব্যাড এক্সপেরিয়েন্স হয়নি। স্পটে যখন-তখন আমার মা-বোন চলে আসতে পারেন, সে রকম পরিবেশই থাকে।’

ব্যাড এক্সপেরিয়েন্স! মুখ ফসকে বেরিয়ে যাওয়া শব্দযুগলকে প্রশ্ন ভেবে উত্তর দিলেন, ‘কাজ করতে গিয়ে কোনো বাজে সমস্যার সম্মুখীন হইনি, এটাই মিন করছিলাম।’

হলিউডের পর বলিউডেও এখন হৈচৈ ‘মি টু’ আন্দোলন নিয়ে। আশার কথার পরিপ্রেক্ষিতে চলে এলো এই প্রসঙ্গও। বাংলাদেশের শোবিজ অঙ্গনে এমন যৌন হেনস্তার ঘটনা ঘটে কি? ‘আমার সঙ্গে এমন কিছু হয়নি’—দ্রুত বললেন আশা। ব্যাখ্যা করলেন একটু পরেই, ‘আমি সব সময় পরিশীলিত মানুষদের সঙ্গে কাজ করেছি। তাদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক কাজেরই। এর বাইরে কেউ আমাকে কখনোই কিছু বলেনি। এ কারণে আগেই বলেছি, আই হ্যাভ নো ব্যাড এক্সপেরিয়েন্স। বলতে পারছি না, অন্যদের সঙ্গে এমনটা হয় কি না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!

error: Content is protected !!