সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত-র সঙ্গে নতুন ছবি। অন্য দিকে, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ‘দ্বিখণ্ডিত’-তে অভিনয়। আবার ‘হইচই’ সিরিজের চরিত্রহীন। সায়নী ঘোষ। যৌনতা থেকে প্রেম, খোলামেলা কথা বললেন সায়নী ঘোষ ।
‘হইচই’ ওয়েব সিরিজে আপনি কতটা খোলামেলা?
দেখুন, এটা শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে ‘চরিত্রহীন’। পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্য খুব যত্ন করে, এসথেটিকালি কাজটা করেছে। এটাই ‘চরিত্রহীন’-এর উদ্দেশ্য ছিল যাতে বডি এক্সপোজারের বিষয় যদি গল্পের প্রয়োজনেও আসে তবে সেটা খুব এসথেটিকালি শুট হবে। আমাদের ডিওপি ইন্দ্রনাথও চমৎকার কাজ করেছেন। দর্শক চরিত্রহীন দেখলেই বুঝতে পারবেন, ‘চরিত্রহীন’ কিন্তু কোনও সেক্স ওয়েব সিরিজ নয়। অযথা যৌনতা নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হয়নি। দেবালয় এত ভাল ডিরেক্ট করেছে! আমাকে বলত, তুই নিজেকে ভাঙ, বদলা। যেগুলো তোর সিগনেচার সেগুলো একদম বদলে ফেল। আমায় খুব হেল্প করেছে এই কাজটা।
কিন্তু ইদানীং ওয়েব সিরিজ মানেই যৌনতার হাতছানি। মানেন?
আসলে ওয়েবে তো কোনও সেন্সর বসেনি। তাই অনেক ক্ষেত্রেই ইচ্ছেমতো বিষয় নিয়ে এক্সপোজার হয়। কিন্তু একটু লক্ষ্য করলে বুঝবেন, হিন্দি বা ইংরেজি ওয়েব সিরিজ যে দিকে গিয়েছে সেখানে বাংলা থ্যাঙ্কফুলি কোথাও পিছিয়ে।
থ্যাঙ্কফুলি কেন?
এখনও আমরা অকারণ যৌনতা দেখানোর জন্য পাগল নই। আমরা কিছু বিষয়ে থেমে যাই। এই থেমে যাওয়া আমার মতে ভাল…
ইন্ডাস্ট্রিতে ন’বছর। আপনিও একটু থেমে থেমে চলছেন না?
আমি দৌড়তে চাই না। আমাকে আপনি কোনও বড় লবির মধ্যে দেখতে পাবেন না। এটাই আমি। আমার কাছে কিন্তু প্রচুর শর্ট কাট ছিল। চাইলেই অনেক কাজ। অনেক ছবি করে ফেলতাম। শর্ট কাটের রাস্তা, বড় পরিচালক, ব্যানার এ সব আমি পারব না। তাতে কাজ কম হবে। তবে তার সঙ্গে এটাও ঠিক যে, আমি মনে করি আমার অভিনয়, আমার অনেস্টি দিয়ে নিশ্চয়ই আমি আমার কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পৌঁছব।