আটের দশকে এক ধরণের বিশেষ মাছের প্রজনন শুরু হয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। প্রথমদিকে সেই মাছ কেউ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে রাখার কথা ভাবতেন না। তার পর হঠাত্ করেই রটে যায়, ড্রাগন ফিশ নামের সেই মাছ বাড়িতে রাখলে নাকি সংসারের শ্রীবৃদ্ধি হয়, ধনসম্পত্তি বাড়ে। ব্যস্, তার পরই সেই ড্রাগন ফিশ নিয়ে কাড়াকাড়ি পড়ে যায় ধনীমহলে।
চিনের একাংশে এই মাছ নিয়ে বাড়াবাড়ি রকমের পাগলামি চলে। সেখানে নাকি এই মাছের প্লাস্টিক সার্জারি পর্যন্ত করা হচ্ছে। কোনও ধনী ব্যক্তি একটা মাছ কিনে বাড়ি নিয়ে গেলেন। তার পর সেই মাছের শরীরের কোনও অংশ হয়তো তাঁর পছন্দ হল না। চাইলেই তিনি সেই মাছের শরীরে পরিবর্তন ঘটাতে পারেন। মাছের প্লাস্টিক সার্জারি করতে তাঁর খরচ হবে সামান্য কিছু পরিমাণ অর্থ। যাই হোক, আসল কথা তো বলাই হল না। ড্রাগন ফিশের দাম। এক-একটা মাছের দাম ওঠে প্রায় তিন লাখ ডলার পর্যন্ত। সখপূরণের জন্য অনেকেই বাড়িতে নিয়ে যান ড্রাগন ফিশ।
সাধারণত তিন ফুট মতো লম্বা হয় ড্রাগন ফিশ। ধনী ব্যক্তিরা বাড়ির অ্যাকোয়ারিয়ামে পোষেন এই মাছ। তবে এখনও পর্যন্ত এই মাছ কেউ খেয়েছেন বলে রেকর্ড নেই। আসলে বাড়িতে এই মাছ রাখাটা নাকি চিনের ধনী শ্রেণীর একাংশের কাছে স্ট্যাটাস সিম্বল। তাই সময়ে সময়ে এই মাছের দাম লাফিয়ে বাড়তে থাকে। যত বেশি দাম, তত বেশি মান। এমনটাই মনে করেন চিনের সেই ধনীশ্রেণী।